'পুলিশি অভিযান থেকে বাঁচতে রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখছে মালিকরা'
গত রবিবার রাত থেকে পুলিশের অভিযানের পর থেকে রাজধানীর বেশিরভাগ রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখছেন মালিকরা বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর এবং বিকেলে রাজধানীর পান্থপথ এবং ধানমণ্ডি এলাকা ঘুরে দেখা যায় বেশিরভাগ রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে অনলাইনে খাবার বিক্রি করার জন্য যে ফোন ব্যবহার করা হয়, সেটিও বন্ধ করে দিয়েছে মালিকরা।
আজ দুপুরে রাজধানীর পান্থপথ স্কয়ার হাসপাতালের নিকটে মাদল রেস্তোরাঁকে তালাবদ্ধ দেখা যায়। পান্থপথ সিগনালের কাছে সালামস কিচেন গতকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের সব বুফে রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এসব খাবার দোকানগুলোর সবগুলোই নিজেরা এবং ফুডপান্ডার মাধ্যমে খাবার বিক্রি করে।
আজ একাধিক রেস্তোরাঁর নাম্বার অনলাইন থেকে নিয়ে ফোন করা হলে সেগুলো বন্ধ পাওয়া গেছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডে আগুনের ঘটনার পর অবৈধভাবে পরিচালিত বাণিজ্যিক ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে রবিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় পুলিশ।
অভিযানে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলা ভবনের অনুমোদনের পাশাপাশি জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি রয়েছে কিনা, নিরাপদ স্থানে রেখে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, এছাড়াও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়টি নজরদারি করা হয়। রবিবার রাত ১১টা পর্যন্ত পুলিশের অভিযান চলাকালে আটক করা হয় বিভিন্ন রেস্তোরাঁর অন্তত ৩০ জনকে। তাদের মধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক রয়েছেন।
ধামন্ডির একটি বিরিয়ানির দোকানের স্বতাধিকারী মোঃ শাহ আলম জানান, রাতে পুলিশ এসে তার বিরিয়ানির দোকানটি বন্ধ করতে বলেন। আবাহনি মাঠের কাছের এই দোকানটির মালিক জানান, পুলিশ জানায় ভবনটিতে রেস্তোরাঁ করার কোন অনুমোদন নাই বলে পুলিশ তাকে জানিয়েছে। তবে তাকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
রাজধানীর সাত মসজিদ রোডের কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবনটি সিলগালা করে দেয়ার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই ভবনটিতে রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন না থাকার কারণে ভবনটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
শুধু ধানমন্ডি নয় রাজধানীর অন্য যেসব এলাকায় আবাসিক ভবনে অবৈধভাবে রেস্তোরাঁ নির্মাণ করা হয়েছিল তার সবগুলোতে অভিযান চালানো হবে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে