ভারতের আরেকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান, দাবি শেহবাজের
ভারতীয় বিমান বাহিনীর আরেকটি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নিশ্চিত করেছেন যে, কাশ্মিরের পামপুর এলাকায় গত ৬-৭ মে রাতে ভারতের আরেকটি যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০ ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী।
এর আগে পাকিস্তান দাবি করেছিল, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান রয়েছে। সর্বশেষ ঘটনায় মোট ভূপাতিত যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ছয়ে পৌঁছাল।
বৃহস্পতিবার কামরার একটি বিমান বাহিনী ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই সাফল্যের জন্য বিমান বাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের বিমান বাহিনীর অসাধারণ দক্ষতা এবং মাতৃভূমি রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।’ তিনি পাইলট, প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, প্রধানমন্ত্রী বিমান বাহিনীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের দ্রুত ও কার্যকর প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘ভারতের আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সংযম ও কৌশলগত দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তাদের নিখুঁত ও দ্রুত জবাব শত্রুর সামরিক অবকাঠামোয় বড় ধাক্কা দিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে যে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান কখনো পিছপা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর প্রতিটি শাখা যেভাবে সচেতনতা ও সাহসিকতা দেখিয়েছে, তাতে পুরো জাতি গর্বিত। সেনাপ্রধানের যোগ্য নেতৃত্বে তারা আবারও প্রমাণ করেছে যে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা দুর্ভেদ্য।‘
শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার ও জাতি—উভয়েই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় আমাদের বাহিনী প্রস্তুত এবং কোনও আগ্রাসন ঘটলে তার উপযুক্ত, সময়োপযোগী এবং কঠোর জবাব দেওয়া হবে।’
এদিকে পাকিস্তানের দাবির বিপরীতে ভারত যুদ্ধবিমান হারানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র বলেছে, যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি স্বাভাবিক। এই নীরবতা নিয়ে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে নানা জল্পনা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বেড়েছে। কাশ্মির ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও জটিল করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন এই অঞ্চলের পরিস্থিতির উপর রয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে