৩০০ থেকে ৪০০ তুরস্কের ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তুরস্কের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলার চেষ্টা চালিয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কর্মকর্তারা বলেন, ভূপাতিত ড্রোনগুলোর ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এগুলো ছিল তুরস্কের ‘আসিসগার্ড সংগার’ নামের ড্রোন। এই ড্রোনগুলো নজরদারি ও নিখুঁত আঘাত হানার জন্য পরিচিত।

উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, ৮ মে রাত থেকে ৯ মে ভোরের মধ্যে পাকিস্তান ভারতের পশ্চিম সীমান্ত পেরিয়ে একাধিকবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। তাদের লক্ষ্য ছিল ভারতের সামরিক ঘাঁটিগুলো।

তিনি জানান, ওই সময় পাকিস্তানি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারী কামান দিয়েও গুলি চালায়।

ভারতের কর্মকর্তারা বলেন, ৩৬টি স্থানে একসঙ্গে ড্রোন পাঠানোর চেষ্টা হয়। ড্রোনগুলো লেহ থেকে সির ক্রিক পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় পাঠানো হয়। মোট ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন ব্যবহার করা হয় বলে তাদের ধারণা। ড্রোন হামলার পাশাপাশি তারা আরও কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

ভারতের দাবি, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেমন কাজ করে, তা বোঝা এবং গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাকিস্তান থেকে পাঠানো একটি সশস্ত্র ড্রোন ভারতের বাথিন্ডা সেনাঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করে। তবে ড্রোনটি ধরা পড়ে এবং ধ্বংস করে দেয়া হয়। জবাবে ভারতও পাল্টা হামলা চালায়। তারা পাকিস্তানের চারটি বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে আঘাত হানে। এর একটি হামলায় একটি রাডার ধ্বংস হয়।

ভারতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, পাকিস্তান শুধু ড্রোন নয়, কামান দিয়েও হামলা চালায়। কাশ্মীরের সুন্দর, উরী, পুঞ্চ, মেন্ধার, রাজৌরি, আখনূর ও উদমপুর এলাকায় ভারী কামান ও ড্রোন দিয়ে গুলি চালানো হয়। এতে ভারতীয় সেনাদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী, কর্নেল সোফিয়া কোরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং-এর উপস্থিতিতে এক কর্মকর্তা জানান, ভারতের পাল্টা গুলিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।