পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে
বৃহৎ এক মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান। ভূরাজনৈতিকভাবেও দেশটি গুরুত্বপূর্ণ। দেশটি পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ। তাদের হাতে এই অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বের নীতি-নির্ধারকরা সর্বদাই চিন্তিত। অনেকের আশঙ্কা ২০৩০ সালের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র মজুদে পাকিস্তান হবে বিশ্বের তৃতীয় অধিকারী দেশ। পশ্চিমা অনেক দেশেই এতে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরকমও অভিযোগ আছে যে, পাকিস্তানের অনেকে জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। এরকম কিছু গোষ্ঠীর সদস্যরা জানিয়েছে, হাতে পেলে তারা পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করতে চায়। ধর্মবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে তারা পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করতে চায়, এটা অনেককেই হতভম্ব করে দিয়েছে।
পারমাণবিক বোমা বানানোর সিদ্ধান্ত পাকিস্তান নেয় মূলত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে যাবার পর এবং ১৯৭৪ সালে ভারত পারমাণবিক বোমা বানানোর পর। সাধারণ অস্ত্রে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের তখন এক বিরাট ভারসাম্য তৈরি হয়। তখন পাকিস্তানের মনে হয় পারমাণবিক বোমা থাকলে ভারতের সঙ্গে বড় ধরনের সংঘাত সে সামাল দিতে পারবে। তারপর থেকে ভারতের হুমকি ঠেকাতে পাকিস্তান পারমাণবিক বোমা বানানোর কাজ শুরু করে।
ভারত তার পারমাণবিক কৌশলের কথা ঘোষণা করে ২০০৩ সালে; কিন্তু পাকিস্তান এটা গোপনই রেখেছিল এতদিন। এর পরিবর্তে পারমাণবিক নীতি সম্পর্কে তারা আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে মাঝে মাঝে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। এই গোপনীয়তা পাকিস্তানকে আরও স্বাধীনতা দিয়েছে তাদের নীতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, যেখানে ভারত তার নিয়মিত পারমাণবিক সামরিক সক্ষমতা উন্নত করেছে।
১৯৪৫ সালের আগস্টে জাপানের হিরোশিমায় ফেলে দেওয়া লিটল বয় পারমাণবিক অস্ত্রের মক-আপ। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম তাদের ওপর পারমাণবিক আক্রমণ না হলে তারাও পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে না, পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাকিস্তান এমন নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে, কখনো প্রথমে পারমাণবিক বোমা হামলা চালাবে না। ভারতেও ঠিক একই নীতি। পাকিস্তান বিশ্বাস করে সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখার জন্য তাদেরও পারমাণবিক সক্ষমতা থাকা উচিত। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে যে রাজনৈতিক চরমপন্থা দেখা দিয়েছে তাতে ভারত যে যে কোনো সময়ে পারমাণবিক বোমা হামলা করবে না এতে বিশ্বাস নেই।
পারমাণবিক অস্ত্র কমানোর বিষয়ে চুক্তি করার জন্য ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান; কিন্তু ভারত এ কথা আমলে নেয়নি। পাকিস্তান বলেছে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কেবল আত্মরক্ষার জন্য। প্রধানত ভারতের বিরুদ্ধেই তাদের এই সাবধানতা। অন্যদিকে পারমাণবিক অস্ত্র-সংক্রান্ত ভারতীয় নীতি আরও সহজ, তাদের কোনো বিশেষ শত্রু নেই। সরাসরি কথা না বললেও ২০০১-২০০২ সাল থেকে ভারত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে পাকিস্তানকে দোষারূপ করে আসছে যে, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে। এদিকে পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে ঠিক একই কাজ করছে। অন্য দেশগুলোকে বোঝাতে চেষ্টা করছে যে, ভারত সন্ত্রাসবাদ ও ফ্যাসিবাদকে মদদ দিচ্ছে।
আজকের দুনিয়ায় কোনো দেশে শুধু বিধ্বংসী অস্ত্র থাকলেই হয় না, এর চাপ সামলানোর জন্য স্থিতিশীল সরকার ও শক্তিশালী সংগঠনিক ব্যবস্থাও থাকতে হয়। তা না-হলে অন্য দেশগুলো সেই দেশকে ক্রমাগত চাপে রাখে। কারণ, যে দেশগুলো রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল নয় সেই দেশগুলো বিপজ্জনক হতে পারে, অবিশ্বস্ত হতে পারে। ধর্মীয় প্রভাবযুক্ত দেশগুলো পশ্চিমাদের একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। পাকিস্তান যদি এ ক্ষেত্রে শান্তি বজায় রাখতে পারে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে তাহলে সমস্যা নেই; কিন্তু পাকিস্তান কি তা পারবে?
পাকিস্তানের করাচিতে আইডিয়াস ২০০৮ সালে প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র । ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ একটি সামরিক শক্তি। পারমাণবিক অস্ত্রসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে তারা করে যাচ্ছে। এখন যদি পাকিস্তানের একটা সুগঠিত সরকার থাকে, সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি সামঞ্জস্য থাকে এবং দীর্ঘদিনের জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থা সুস্থিতিশীল থাকে তাহলে তা পাকিস্তানের জন্যই ভালো হবে। এখন পাকিস্তানের রাজনৈতিক মতাদর্শ ঠিক করে দেয় সামরিক বাহিনীর লোকজন। আর পাকিস্তানে নিজের প্রভাব বাড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীকেই সমর্থন দিচ্ছে।
পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা পাকিস্তান নিজেই অর্জন করেছে। পারমাণবিক বোমা তৈরিতে তারা দেশীয় ইউরেনিয়াম ব্যবহার করেছে। তার অস্ত্র কর্মসূচির কারণে পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তির বাইরে কাজ করছে। পারমাণবিক প্ল্যান্ট বা উপকরণ বাণিজ্যে পাকিস্তানের প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে। দুই বছর আন্তঃসীমা কলহে জড়িত থাকার পর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ-বিরতি চুক্তি করেছে। ফলে তারা উল্লেখযোগ্য সংঘর্ষ এড়াতে পেরেছে। এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা চলছে। এটা ফের আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। ইসরায়েলেও কাছেও পারমাণবিক বোমা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। যদিও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এটা কখনো স্বীকার করেনি। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে এমন খবর বারবারই চাউড় হয়েছে; কিন্তু ইরান সব সময়ই এই দাবি অস্বীকার করেছে। পারমাণবিক অস্ত্র না থাকলেও তাদের কাছে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে দূরপাল্লার অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে তা সম্প্রতি দেখাই গেছে।
ইরানের মতো ইসরায়েলকে ধ্বংস করে দেয়ার কথা বলে না পাকিস্তান, তবে সব ফোরামেই ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে। তাও ইসরায়েলের জন্য তেহরানের চেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ ইসলামাবাদ। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ করার জন্য দেশগুলোর কী পদক্ষেপ নিতে পারে, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো তা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে জরুরি তৎপরতা দেখা গেছে। কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করে শুধু কথার ফুলঝুরি ছোটানোর জন্য মুসলিম নেতাদের সমালোচনা করেছেন অনেকে। এই সমালোচনা সমগ্র ইসলামি বিশ্বে স্পষ্ট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর থেক এশিয়ার দেশগুলোও কীভাবে নিজেদের সম্পর্কযুক্ত এতে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের বন্ধন আরও নিবিড় হয়েছে, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি হচ্ছে ভারত। এখন ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই চীনকে নিয়ে চিন্তিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র দখলে নিতে পারে চরমপন্থিরা। অথবা দেশটিকে সত্যিকারের গণতন্ত্র কায়েম হতে পারে। যদি সত্যিই এটা ঘটে তাহলে তা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে পাকিস্তান হয়তো চীনের কাছে সাহায্য চাইতে পারে। তাহলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সংকট ও দূরত্ব আরও বাড়বে। এটাই বড় চিন্তার বিষয়, কারণ, কেউই চায় না এই দুই পরাশক্তির মধ্যে মারণঘাতী যুদ্ধ বাধুক। পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনো হয়তো সেই অবস্থায় যায়নি; কিন্তু যেতে কতক্ষণ?
বিদেশি হুমকি এড়াতে ১৯৭৬-৭৭ সালের মধ্যে ডিভাইসের নকশা প্রস্তুত করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বে পাকিস্তান পারমাণবিক ডিভাইসের বিকাশ শুরু করে। ছবি: সংগৃহীত
আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের এক অস্বভাবিক মিত্র, এরকই বিবেচনা অনেকের। দেশটি পরিচালিত হয় অদক্ষ রাজনীবিদ দ্বারা এবং দক্ষ মিলিটারি দ্বারা। দেশটির রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয় অভ্যন্তরীণ চরমপন্থা। এটা সামলানো না গেলে বড় ধরনের হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। যদিও এসবের মধ্যেই পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র সুরক্ষার মধ্যেই আছে, এটা প্রশংসনীয়; কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কতদিন সেগুলো নিরাপত্তায় থাকবে সেটাই শঙ্কার বিষয়।
সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যকে ধারাবাহিকভাবে সমর্থন করে আসছে পাকিস্তানের জেনারেলরা। শরিফ এবং ভুট্টো-জারদারি গোষ্ঠীর জেনারেল এবং তাদের বেসামরিক মিত্ররা দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্ব শক্তির সঙ্গে তার মেলাতে ব্যবহার করতে পারেন, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে তো বটেই। ইমরান খানের মতো ব্যক্তিরা যখন বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে মিল রেখে পাকিস্তানের ভূমিকা পরিবর্তন করতে চায় তখন কিছু ঝামেলায় পড়তে হয়। যার ফলে ইমরান খান যে তার রাজনৈতিক জীবনে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি পড়েন এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার দীর্ঘ ইতিহাস আছে পাকিস্তানের। এশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র হিসেবে পাকিস্তানকেই বিবেচনা করা হয়। চীনের সঙ্গেও পাকিস্তানের শক্ত অর্থনৈতিক বন্ধন কৌশলগত সম্পর্ক আছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ও তার মিত্রদের সঙ্গেই পাকিস্তান বেশি সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি পাকিস্তানকে সেইভাবে দেখেশুনে না রাখে তাহলে পাকিস্তান আবার চীনের প্রভাবে গিয়ে পড়বে, যুক্তরাষ্ট্রের সেইরকম আশঙ্কাও আছে। তাই পাকিস্তান যেন চীনের দিকে খুব বেশি ঝুঁকে না যায়, সে দিকে সব সময় কড়া নজর রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টিতেই পাকিস্তান তার জাতীয় নিরাপত্তা নীতি এবং নেতৃত্বের বিবৃতিগুলোতে জোর দিয়েছে। চীন-মার্কিন টানাপোড়েন নিয়ে পাকিস্তানের কোনো সুদূর পরিকল্পনা নাও থাকতে পারে; কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চিত আছে, এটাই ভবিষ্যৎ পরিস্থিতিকে জটিল কর তুলতে পারে।
২০১৩ সালে বিবিসির এক বিশেষজ্ঞ মতামতে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, সৌদি আরব পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করেছে। পাকিস্তানের হাত ধরে সৌদি আরবও পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করতে চেয়েছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেখা গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরানও পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অনেক দেশই এখন পাকিস্তানকে পারমাণবিক অস্ত্র শক্তিশালী করতে চাচ্ছে। যেহেতু সংযুক্ত আরব আমিরাত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণের বন্ধুতে পরিণত হচ্ছে, ইরান যদি এখন পাকিস্তানের বন্ধু হয়ে যায় তাহলে তো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপদ। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি পাকিস্তান সফরের দুই মাস পরেই তাদের সীমান্তজুড়ে সংঘাত দেখা যাচ্ছে। ব্যাপারটা কি কাকতালীয়? হয়তো না!
ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরকে বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখছে। পাকিস্তান দেখছে ভারতেরও সুপার পাওয়ার হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষা আছে। দক্ষিণ এশিয়ার বড় ভাই হয়ে ওঠার দিকে যাচ্ছে ভারত। একই সঙ্গে পশ্চিমাদের ইসলামবিরোধী মনোভাবের ওপর ভিত্তি করে মুসলিম বিশ্বও ধীরে ধীরে সংঘটিত হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক আঞ্চলিক সংঘাতের উদ্বেগ; কিন্তু যদি কোনো কারণে বড় ধরনের যুদ্ধ বাঁধে এই অঞ্চলে, আর সেই যুদ্ধে যদি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হয় তাহলে কী ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে ভাবা যায়! সেরকম কিছু হলে পাকিস্তান থাকবে এর কেন্দ্রবিন্দুতে। হয় অপরাধী হয়ে, না হয় অপরাধের শিকার হয়ে।
সাইমন মোহসিন: রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশ্লেষক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে