তামাক নিয়ন্ত্রণ
অন্তর্বর্তী সরকার থাকতেই কার্যকর পদক্ষেপ চায় উন্নয়ন সহযোগীরা
২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা এবং এসডিজি অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে তামাকজনিত অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনার লক্ষ্যপূরণ ব্যাহত হচ্ছে নানাভাবে। এক্ষেত্রে মূল বাধা বিদ্যমান আইনের সংশোধনী এনে কার্যকরী ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’ প্রণয়ন এবং কঠোর বাস্তবায়নে উদ্যোগের অভাব। দেশে যেহেতু নির্বাচিত সরকার ও জাতীয় সংসদ নেই, সেহেতু অধ্যাদেশ জারি করে এ পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকেই তাগিদ দিয়েছেন উন্নয়ন সহযোগী এনজিও ও বিশেষজ্ঞসহ তামাকবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত তরুণরা।
২০১৭ সালে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ লক্ষ্যে বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩)’ এ দুর্বলতা থাকায় সেটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু রাজনৈতিক চাপে গত সাত বছরেও আলোর মুখ দেখেনি সিদ্ধান্তটি।
বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি এর প্রকল্প কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল বলেন, অন্যদিকে ‘পণ্য মোড়কজাতকরণ বিধিমালা ২০২১’ এবং ‘ভোক্তা অধিকার আইন’ অনুসারে কোনো পণ্যের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও এ আইন একেবারেই মানছে না সিগারেট কোম্পানিগুলো। আবার ৫৯ শতাংশ ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের (জর্দ্দা ও গুল) মোড়কে উৎপাদনের তারিখ পাওয়া গেলেও বিড়ি ও সিগারেটের প্যাকেটে সেই হার মাত্র ৩ শতাংশ। উৎপাদনের তারিখ না দিয়ে করফাঁকিরও সুযোগ নিচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে নির্ধারিত সময়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী না দেওয়ার সুযোগও নিচ্ছে তারা।
উন্নয়ন সহযোগীরা বলছে, কোনো অন্যায় বা কারো কাছে নতি স্বীকার না করে চাপমুক্তভাবে কাজে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার। তাই আইন প্রণয়নসহ এর কঠোর প্রয়োগে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার এখনি সময়। কর্মপরিকল্পনা ও পরামর্শ-সুপারিশমালা দিতে নানা কর্মসূচিও চালিয়ে যাচ্ছে তামাকবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সদ্যনিযুক্ত মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান ভিউজ বাংলাদেশকে জানান, তবে বিষয়টি আন্ত:মন্ত্রণালয়ভূক্ত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমন্বিত সভা করা যায়নি। স্বাস্থ্যের সাথে যুব ও কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা- এই তিনটি মন্ত্রণালয় একসাথে হয়নি।
এই দূরত্ব ঘোচানোর আহ্বান জানিয়ে যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে এবং সে অনুসারে কাজ করছে, সেহেতু সমন্বিত কাজের এখনই সময় বলে মতামত দেন তিনি।
মো. সাইদুর রহমান বলেন, আবার গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়নে শত শত দেশি এনজিও অন্যতম প্রধান ভূমিকা রাখলেও তাদের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে মাত্র নয়টি। সব এনজিওকে এই প্রক্রিয়ার আওতায় আনা গেলে দেশের লক্ষ্যমাত্রা, এসডিজি এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। আর তামাক গ্রহণ বন্ধের প্রচারণা উচ্চবিদ্যালয় বা মাধ্যমিক স্তর থেকেই শুরু করতে হবে। শিক্ষক এবং অভিভাবকের ভূমিকা এখানে প্রধান থাকবে। নতুন শুরুতে সেসব সঠিক পদক্ষেপও নিতে হবে এখনই।
বাধাগ্রস্ত আইন সংশোধনের উদ্যোগ
২০০৩ সালের ১৬ জুন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কনট্রোল (এফসিটিসি)- এ স্বাক্ষর এবং পরের বছরের ১০ মে এটি অনুসমর্থন করে বাংলাদেশ সরকার। এফসিটিসিরই আলোকে জনস্বাস্থ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ২০০৫ সালে প্রণীত হয় ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’। ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর ধারাবাহিকতায় প্রণয়ন করা হয় ২০১৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা’।
কিন্তু এফসিটিসি’র সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় ২০১৭ সালে সংশোধনী প্রস্তাব প্রণয়নের কথা জানায় তখনকার সরকার। ২০২২ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সংশোধনী প্রস্তাব প্রণয়ন করে এবং ১৬ জুন এসব সংশোধনী প্রস্তাব জনমত যাচাইয়ের জন্য জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। সে সময় ১৬৯ জন সংসদ সদস্যসহ ১৬ হাজার জনেরও বেশি নাগরিক ইতিবাচক মতামত দেন। ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর চূড়ান্ত সংশোধনীটি প্রাথমিক যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চূড়ান্ত সংশোধনীটি মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উপস্থাপিত হলেও অজ্ঞাত কারণে তা অনুমোদন না করে ফেরৎ পাঠানো হয়।
উন্নয়নমূলক সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুওর (ডর্প) এর নির্বাহী পরিচালক এইচ এম নোমান বলেন, সরকারের ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম। আইনটি সংশোধনের অপেক্ষায় আজ পর্যন্ত দপ্তরে দপ্তরে টেবিলে টেবিলে ঘুরছে’। এ সমস্যা লাঘবে স্বাস্থ্য এবং আইন উপদেষ্টার আশু পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য
ডর্প ইয়ুথ চ্যাম্পিয়ন ও গবেষণা কর্মকর্তা তাবাসসুম খানম রাত্রি ভিউজ বাংলাদেশকে বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে আইনি কাঠামোর যৌক্তিক সংস্কারের কথা উঠলেই আমরা দেখেছি যে, বাধা দিতে চলে আসে বিভিন্ন সংগঠন এবং তামাক কোম্পানিগুলো। এমনকি সরকারি উদ্যোগের বিরোধিতা করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠনও। যেমন, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এসোসিয়েশন (নাসিব) ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সংশোধিত তামাক আইন পাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলো’।
তার অভিযোগ, সংশোধনী ঘিরে তামাক কোম্পানিগুলোর কূটকৌশল অবলম্বন এবং হস্তক্ষেপ চলছেই।
প্রজ্ঞা’র তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রকল্পের প্রধান হাসান শাহরিয়ার ভিউজ বাংলাদেশকে বলেন, ছয়ভাবে তামাক কোম্পানিগুলো প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেগুলো হলো- সরকারি দপ্তরে (এনবিআর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) চিঠি দেওয়া, ফ্রন্ট গ্রুপ ও এসোসিয়েশন, তথাকথিত বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একপেশে বক্তব্যের মাধ্যমে নীতিনির্ধারণকারী কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করা, থার্ড পার্টি টেকনিক, কলাম বা নিবন্ধন এবং পেইড মিডিয়া ক্যাম্পেইন।
এ ধরনের অন্তত ২০টি ঘটনার রেকর্ড প্রজ্ঞ ‘র কাছে আছে বলেও জানান তিনি।
ডর্প এর উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান বলেন, ২০০৩ সালে স্বাক্ষরকৃত এফসিটিসি ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে শক্তিশালী ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’ প্রণয়নের পাশাপাশি তামাক কোম্পানিগুলোর প্রভাব বিস্তার বন্ধ করাও জরুরি।
কেন এবং কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বিএমএ ভবনে মতবিনিময় সভা করে প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা। প্রজ্ঞা জানায়, জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এর ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর আওতায় এ বছর প্রকাশিত টোব্যাকোনোমিকস সিগারেট ট্যাক্স স্কোরকার্ডেও উঠে এসেছে বাংলাদেশের হতাশাজনক চিত্র।
কম দাম, সহজলভ্যতা, করকাঠামো এবং খুচরা মূল্যে করের অংশ- এই চারটি বিষয় বা ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে সিগারেট ট্যাক্স স্কোরকার্ড তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৫ এর মধ্যে মাত্র ১.১৩, যা আগে ছিল ২.৩৮। চারটি ফ্যাক্টরেই খারাপ করেছে বাংলাদেশ। তবে সহজলভ্যতায় শূন্য পাওয়ায় এবারের স্কোর অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানান প্রজ্ঞা’র হাসান শাহরিয়ার।
মূল্যস্ফীতি এবং আয় বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়ানো, নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সম্পূরক শূল্ক খুচরা মূল্যের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ করা এবং সিগারেটে বহুস্তর বিশিষ্ট আ্যডভ্যালোরেম কর পদ্ধতির পরিবর্তে ইউনিফর্ম স্পেসিফিক বা মিক্সড (স্পেসিফিক ও আ্যডভ্যালোরেম) কর পদ্ধতি প্রচলনে সিগারেট ট্যাক্স স্কোরকার্ডে বাংলাদেশের উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে বলেও ওই মতবিনিময় সভায় জানানো হয়।
সিটিএফকে বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ম্যানেজার আব্দুস সালাম ভিউজ বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমাদের দেশের তামাকপণ্যে চার ধরনের কর কাঠামো আছে। তামাকপণ্য ভোক্তাদের প্রায় ৭৫ শতাংশ লোক নিন্মস্তরের সিগারেট সেবন করেন। নিন্ম আয়ের এসব মানুষেরা আয়ের চারভাগের এক ভাগই সিগারেট সেবনে ব্যয় করেন। নিন্মস্তরের সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দিলে ওই ৭৫ শতাংশ ভোক্তার কাছেই সিগারেট ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। তখন কমবে ধূমপানের হারও’।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায়ে তামাক কোম্পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) উদ্যোগী হতে হবে। সিগারেটের খুচরা মূল্যের ওপর শতাংশ হিসেবে করারোপের পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হলেও সরকারের কর আয় বাড়বে ও সিগারেট কোম্পানির করফাঁকির সুযাগ কমবে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের ‘সিগারেটে কার্যকর করারোপ’ শীর্ষক সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের ড. সুজানা করিম বলেন, ‘তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রয়োজনীয়তা জনপরিসরে তুলে ধরার পরও এক্ষেত্রে অগ্রগতি না হওয়ার পেছনে প্রভাবশালী মহলের হাত রয়েছে’।
প্রোগ্রামের সভাপতি বিআইডিএস-এর গবেষণা পরিচালক ড. এসএম জুলফিকার আলী বলেন, ‘দেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সিগারেটে করারোপের গতানুগতিকতা থেকে বের হয়ে কার্যকর করারোপের সূবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। শুধু করারোপেই নয়, অন্যান্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ারও এখনি সময়’।
যা চান তরুণরা
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো অডিটোরিয়ামে 'তামাক বিরোধী ইয়ুথ কনভেনশন ২০২৪' এবং ২৮ সেপ্টেম্বর শেওড়াপাড়ায় প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে ডর্প। অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’ পাসের দাবি জানান দুই আয়োজনে অংশ নেওয়া তিন শতাধিক তরুণ।
ডর্প ইয়ুথ চ্যাম্পিয়ন স্নাতকের শিক্ষার্থী কামরুন নাহার সিনথিয়া ভিউজ বাংলাদেশকে বলেন, ‘আইন পাসে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই আমরা অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’ পাসের দাবি জানিয়েছি, যেন যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা এটিকে পূর্ণাঙ্গ আইন হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে।
তিনি জানান, তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণে ছয়টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন তরুণেরা। সেগুলো হলো- তামাকপণ্যের খুচরা বিক্রি ও প্রচার বন্ধে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন, তামাক কোম্পানিগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম, ই-সিগারেট, ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাত এবং সব ধরনের তামাকপণ্যের খুচরা ও খোলা বিক্রি নিষিদ্ধ করা। সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করারও দাবি তাদের।
সিটিএফকে বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, ‘চলতি সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন কর্মশালায় আমরা দেখেছি, তামাকবিরোধী আন্দোলনকারী তরুণেরা দাবি জানাচ্ছেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’ পাস করা হোক’।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে