মিউনিক নিরাপত্তা সম্মেলন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যত উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধিত্বই করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬০তম মিউনিক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ ছিল বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৬০ বছর ধরে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র জার্মানিতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ১৯৬৩ সালে এই সম্মেলনের যাত্রা শুরু হয়। শুরুর দিকে এই সম্মেলনটি ছিল অনেকটাই পশ্চিমা বিশ্বকেন্দ্রিক। সেই সময় স্নায়ুযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছিল সে পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টিই প্রথম দিকে সম্মেলনে গুরুত্ব পেতো। এক সময় ঠান্ডা যুদ্ধ বা কোল্ড ওয়ারের পরিসমাপ্তি ঘটে। ঠান্ডা যুদ্ধের পরিসমাপ্তির পর মিউনিক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা ইস্যু এখানে আলোচিত হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একাধিকবার এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি এ সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল।
এবারের মিউনিক নিরাপত্তা সম্মেলন এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হলো, যখন ইউরোপ একটি যুদ্ধ মোকাবিলা করছে। ফিলিস্তিনে সংঘাত চলছে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। রাশিয়া মনে করছে, পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর জোট ন্যাটো এই যুদ্ধে পরোক্ষভাবে ইন্ধন জুগিয়েছে। ফলে ইউক্রেন রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকিতে পরিণত হয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরিবেশে ২০২৪ সালের মিউনিক নিরাপত্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের সরকার প্রধান অংশগ্রহণ করেন। ১০০ জন মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তি এবং অসংখ্য কূটনীতিক এই সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেন। এবারের সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ইস্যুগুলো আলোচনা করা। সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ পারস্পরিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সুযোগ পায়। সেখানে তারা নিজ নিজ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। এসব আলোচনাকালে বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময়ের সুযোগ পান বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতেও মিউনিক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক পর্যায়ে তার পররাষ্ট্র নীতি তুলে ধরার সুযোগ পায়। বাংলাদেশের জন্য এবারের মিউনিক নিরাপত্তা সম্মেলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিছু দিন আগে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়। শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে চতুর্থবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে। চতুর্থবার সরকার গঠন এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই ছিল শেখ হাসিনার প্রথম বিদেশ সফর। কাজেই বাংলাদেশের জন্যও এই সম্মেলন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ তার অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে সম্মেলনে শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো এই সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করল। গত এক দশকে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং অন্য কোনো ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশের সঙ্গে কিছুটা মতান্তর বা মতপার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। এ মতপার্থক্য নিরসনে এবারের সম্মেলন কিছুটা হলেও কাজে লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়।’ সদ্য সমাপ্ত মিউনিক নিরাপত্তা সম্মেলনে বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্র নীতির এই মূল বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তো ঐতিহাসিকভাবেই প্রতিষ্ঠিত। রাশিয়ার সঙ্গেও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। পশ্চিমা কোনো কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কিছুটা মতপার্থক্য বিভিন্ন ইস্যুতে তা নিরসনের এই সম্মেলন নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মিউনিক নিরাপত্তা সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ বেশ কিছু কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধ বন্ধ করে যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলাসহ মানবতার কল্যাণে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বান নানাভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি কামনা করে এ আহ্বানের মধ্য দিয়ে তা প্রতিফলিত হয়ে উঠেছে। সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশের সামর্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য এবং অগ্রগতি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের নিজস্ব মত আছে, উপস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে; বিশ্ব শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকেই বাংলাদেশ এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য নানাভাবে আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশ রাশিয়া অথবা ইউক্রেন কারও পক্ষ অবলম্বন না করে শান্তি স্থাপনের প্রতিই জোর দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী উচ্চ মাত্রার মূল্যস্ফীতির জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ অনেকটাই দায়ী। বাংলাদেশ বা এ ধরনের দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি কারও পক্ষ অবলম্বন না করেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা প্রসঙ্গে একাধিকবার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়। এ কথার মাধ্যমে শেখ হাসিনা কার্যত উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধিত্বই করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার কারণে উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলো যে মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী তাও সম্মেলনে তুলে ধরেছেন। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং কার্যকর ভূমিকা পালনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেছেন এবং পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইতালি এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নয়নের সুযোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলন চলাকালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরালো করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাসহ বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ নানা কারণেই ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই সাক্ষাতের ব্যাপারে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আগ্রহ স্বাভাবিকভাবেই বেশি ছিল। শেখ হাসিনা এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ঘটনা। যে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে সেই রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই ভালো। রাশিয়া মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ব্যবহার উপযোগী করার ক্ষেত্রে রাশিয়ার অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। রাশিয়া বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন করছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাশিয়ার বাংলাদেশের পক্ষে সব সময়ই শক্ত অবস্থান নিয়ে থাকে। বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে। ফলে দেশ দুটির মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার কূটনৈতিক সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমনই এক পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। অনেকের মনে আশঙ্কা থাকতে পারে এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের ঘটনা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ধরনের বিরূপ প্রভাব ফেলবে কি না? আমাদের মনে রাখতে হবে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক নিতান্তই একটি কূটনৈতিক ঘটনা। এখানে কোনো দেশকে সমর্থন বা বিরোধিতা করার বিষয় ছিল না। এই বৈঠক বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মৌলিক নীতিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে জাতিসংঘসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
বাংলাদেশ সব সময়ই অন্য দেশের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আসছে। বাংলাদেশ যেমন ইউক্রেনের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ রাশিয়ার নিরাপত্তার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেছে। বাংলাদেশ ইউক্রেন ইস্যুতে এক ধরনের ভারসাম্য রক্ষার নীতি অনুসরণ করে চলেছে। এক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির বাস্তব প্রতিফলন প্রত্যক্ষ করি। ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনাকালে বাংলাদেশের অবস্থান এবং দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত জোরালো যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইউক্রেনের দায়িত্ব রয়েছে। যুদ্ধের ব্যাপারে ইউক্রেনের অবস্থান অত্যন্ত কট্টর। বাংলাদেশ সেই অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য প্রকারান্তরে ইউক্রেনকে ইঙ্গিত দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের যে ভয়াবহতা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন। এই যুদ্ধের সঙ্গে যারা কোনোভাবেই যুক্ত নয়, তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধি হিসেবে শেখ হাসিনা অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বার জানিয়েছেন।
লেখক: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুলিখন: এম এ খালেক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে