ট্রান্সকম গ্রুপ: ভাই হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই
ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমান ও তার ছেলেসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ভাইকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরই অংশ হিসেবে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লাতিফুর রহমানের ছেলে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের প্রস্ততি নিচ্ছে পুলিশের বিশেষ এ ইউনিট।
এ প্রসঙ্গে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত গুলশান পুলিশকে ময়নাতদন্তের জন্য আরশাদের মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন আদালত থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ার জন্য আবেদন করব। আদালত কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
এর আগে গত ২৩ মার্চ ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতার ছোট মেয়ে শাযরেহ হক তার বড় বোন ও গ্রুপের সিইও সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে তাদের ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
এই মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন-সিমিন রহমানের ছেলে ও ট্রান্সকম গ্রুপের হেড অব ট্রান্সফরেশন যারাইফ আয়াত হোসেন (২৯), এসকেএফ ফার্মাসিটিউক্যাল লিমিটেডের ম্যানেজার (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) ডা. মুরাদ (৫০), এসকেএফ ফার্মাসিটিউক্যাল লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম (৫৫), ট্রান্সকম লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া (৬০), ট্রান্সকম লিমিটেডের ট্রান্সকম গ্রুপ করপোরেট ফাইন্যান্সের পরিচালক মো. কামরুল হাসান (৬১), মো. জাহিদ হোসেন (৫৫), ট্রান্সকম লিমিটেডের ম্যানেজার (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) সেলিনা সুলতানা (৪৫), ট্রান্সকম লিমিটেডের ম্যানেজার (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন (৫০), বাবুর্চি রফিক (৫৫) এবং ব্যক্তিগত চালক মিরাজুল (৪০)। এজাহারে ৭ নম্বর আসামি জাহিদ হোসেনের কোনো পরিচয় দেওয়া হয়নি।
দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শাযরেহ। যা হত্যা এবং দলবদ্ধভাবে অপরাধ করার সঙ্গে সম্পর্কিত।
মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, সিমিন এবং অন্যদের আচরণ ইঙ্গিত করে যে, তারা লতিফুরের অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের বঞ্চিত করতে পরিকল্পিতভাবে আরশাদকে বিষ প্রয়োগ করে বা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বুধবার (২৭ মার্চ) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের প্রধান বনাজ কুমার মজুমদার জানান, ২১ মার্চ সিমিন রহমানসহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৬ জুন ঢাকার গুলশানের বাসায় নিজের শোয়ার ঘরে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে বলে জানান।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে