Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

নির্বাচনের অর্থনীতি মূল্যস্ফীতিতে বড় ধাক্কা দিচ্ছে

Salehuddin  Ahmed

সালেহউদ্দিন আহমেদ

বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিডিউল ঘোষণা করেছে। গত ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ছিল মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ দিন। ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৩০টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ২ হাজার ৭৪১ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এ নির্বাচনি সিডিউল প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নির্বাচন সিডিউল বাতিলের জন্য আন্দোলন করছে। তারা দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করছে। সরকারি দল এবং বিরোধী দলগুলো নির্বাচন নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। মোট কথা রাজপথ এখন ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে তা দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলে এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু জটিল সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো আরও জটিল এবং প্রকট আকার ধারণ করেছে। সরকার এখন নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে খুব একটা মনোযোগ দিতে পারছে না। ফলে বিদ্যমান সমস্যাগুলো ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এক ধরনের শঙ্কা আছে। সরকার এখন নৈমিত্তিক কাজ ছাড়া তেমন কোনো কাজ করছে না বা নতুন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের স্ফীতি কমে যাচ্ছে। আমদানি ব্যয় মেটানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যদিও সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য চেষ্টা করছে কিন্তু খুব একটা সফলতা অর্জিত হচ্ছে না।

আমরা যদি দেশের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোকে সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করতে চাই, তাহলে দেখবো, অর্থনীতি এ মুহূর্তে বেশ কিছু জটিল সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে সবার আগে উল্লেখ করতে হয় উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিষয়টি। এরপর বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের স্ফীতি ক্রমেই কমে যাওয়া, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য ক্রমেই বাংলাদেশের প্রতিকূলে চলে যাওয়া ইত্যাদি। করোনার প্রভাব কাটানোর আগেই শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হবার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এর প্রভাব আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতেও পড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী অর্থনীতিতেও মূল্যস্ফীতি এক পর্যায়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল, যা ছিল দেশটির বিগত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব আমেরিকা (ফেড) বারবার পলিসি রেট বাড়িয়ে এবং অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের মূল্যস্ফীতির হার অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পলিসি রেট বৃদ্ধিসহ নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে; কিন্তু এসব ব্যবস্থা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। গত অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এটা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি। এ মুহূর্তে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই সবচেয়ে জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কষাঘাতে সাধারণ মানুষ খুবই বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারছেন না। মূল্যস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে মানুষের আয় সেভাবে বাড়ছে না। একইভাবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাজারে প্রচুর অর্থের সমাগম ঘটতে পারে, যা বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। এতে সমস্যা আরও জটিল হবে। মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের স্ফীতি কমে যাচ্ছে। স্থানীয় মুদ্রার মূল্যমানও কমে যাচ্ছে। এটা নানাভাবে অর্থনীতিতে সমস্যা সৃষ্টি করছে।

বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কমে যাবার কারণে আমদানিকারকরা প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। উল্লেখ্য, সব পণ্য আমদানিই কিন্তু খারাপ নয়। অপ্রয়োজনীয় এবং বিলাসজাত পণ্য যত কম আমদানি করা যায়, দেশের অর্থনীতির জন্য ততই মঙ্গল; কিন্তু শিল্পে ব্যবহার্য মূলধনী যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল এবং মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি কমে গেলে ভবিষ্যতে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। নির্বাচনের আগে সরকারের বাজেট ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুৎপাদনশীল খাতে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পেলে তা মূল্যস্ফীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। আমাদের দেশের আর্থিক ভিত্তি যেটা আছে, তা নির্বাচনের আগে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। মানুষের জীনবধারণের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে; কিন্তু আয় আনুপাতিক হারে বাড়ানোর কোনো সুযোগ সৃষ্টি হবে না। ফলে পরিস্থিতি আরও জটির আকার ধারণ করতে পারে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব ক্ষেত্রেই এক ধরনের শিথিলতা দেখা দিতে পারে। যেহেতু জাতীয় নির্বাচকে কেন্দ্র করে এক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তাই অর্থনীতির প্রতিটি সেক্টরে এক ধরনের স্থবিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এই অনিশ্চিত অবস্থায় নতুন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে সময়ক্ষেপণ করতে পারে। অর্থাৎ তারা ‘ধীরে চলো’ নীতি অনুসরণ করবে।

আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়-বাণিজ্য অনেকটাই মন্থর হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন উভয় ক্যাটাগরির ব্যবসায়-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসতে পারে। অর্থনীতিতে সবচেয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের মাঝে মজুরি নিয়ে সৃষ্ট অসন্তোষ। সরকার তৈরি পোশাক শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করেছে বটে কিন্তু এই মজুরি কাঠামো তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আবারও যে কোনো সময় তৈরি পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করতে পারে। তৈরি পোশাক শ্রমিকদের অসন্তোষ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে তা নিয়ে মালিক পক্ষ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার এসব নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানা প্রশ্ন রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন শ্রম অধিকার নিয়ে যেসব কথা বলছে, এটা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। তারা সব দেশের শ্রমিকদের জন্যই এসব অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য এসব শর্ত বাস্তবায়ন চায়। আমাদের দেশে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ সুশাসনের ব্যাপারে ঘাটতি রয়েছে। নির্বাচনি ডামাডোলে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনের বিষয়টি আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। নির্বাচনের আগে সবাই এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকবে। দায়িত্ব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবে। যারা বিনিয়োগকারী তারা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকবে। রাজনৈতিক কারণে মানুষ ও যানবাহনের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। সেই অবস্থায় মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবে চলবে না। ব্যবসায়-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজে লেখাপড়া এবং অন্যান্য কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে বাধ্য। বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা আত্মকর্মসংস্থান করছে। তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

একটি বাণিজ্যিক সংগঠনের একজন শীর্ষ নেতা বলছেন, প্রতিদিন অবরোধ-হরতালের কারণে ৬ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এক দিনের হরতাল বা অবরোধে কত টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়, তা নিরূপণ করা কঠিন। তবে এটা তো কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না যে, হরতাল-অবরোধের কারণে মানুষের জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হয়। স্বাভাবিক আর্থিক কার্যক্রম মন্থর হয়ে পড়ে। উৎপাদন কমে যায়। এতে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন সবচেয়ে বেশি। সার্বিকভাবে মানুষের জীবনযাত্রার মান কমে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নিয়ে কোনো শঙ্কার কারণ নেই। রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন; কিন্তু রিজার্ভ নিয়ে যে এক ধরনের শঙ্কা আছে, এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নিয়ে যে শঙ্কা আছে তাকে স্বস্তির পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবের ভারসাম্য অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

বাংলাদেশের মতো অর্থনীতিতে সুদের হারের স্পর্শকাতরতা কম। আমাদের দেশের উৎপাদন কার্যক্রমের সিংহভাগ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে পরিচালিত হয়। কাজেই বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সুদ হার বাড়ানো বা কমানোর প্রভাব সেখানে খুব একটা পড়বে না। আমি মনে করি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সুদ হার বাড়ানোর বিষয়টি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কার্যকর অবদান রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক পলিসি রেট একাধিকবার বাড়ালেও ব্যাংক ঋণের সুদের হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করা হয়নি। উন্নত দেশগুলোতে পলিসি রেট বাড়িয়ে যেভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে আমাদের দেশে সেটা পুরোপুরি সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এখন সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো। কোনোভাবেই যেন সাপ্লাই চেইন বিপর্যস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা।

একই সঙ্গে আমাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভর না করে স্থানীয় পণ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। তাই আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কার্যকর এবং পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এসএমই সেক্টরের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এসএমই সেক্টরের উদ্যোক্তারা যাতে সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণ পেতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদন বাড়িয়ে সেই পণ্য ও সেবা যাতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পেতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পণ্য গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে আসার সময় যাতে চাঁদাবাজদের খপ্পরে না পড়ে সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখতে হবে। বাজারে যে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি, একজন উৎপাদক তার পণ্য যাতে ভোক্তার নিকট পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে সমন্বিতভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও মনিটর করতে হবে।

লেখক: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ

অনুলিখন: এম এ খালেক

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ