Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে

M A  Khaleque

এম এ খালেক

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিসংখ্যান মোতাবেক, গত নভেম্বর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এটা গত চার মাসের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। শহর এবং গ্রাম সর্বত্রই মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উপনীত হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থনীতিতে মুদ্রার জোগান কমিয়ে এনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা; কিন্তু বাস্তবে কোনো ব্যবস্থাই উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হচ্ছে না। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো লক্ষণ এখনো দৃশ্যমান হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়তই মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ধাবমান রয়েছে।

একটি জনপ্রিয় সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নামার জন্য উচ্চ মূল্যস্ফীতি এককভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। মানুষ কোনো কল্প কাহিনি শুনতে চায় না। তারা বাজারে গিয়ে সামর্থ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে চায়। বিশেষ করে যেসব পণ্য না হলে চলেই না, তারা সেই পণ্যগুলো তুলনামূলক সস্তা মূল্যে ক্রয় করতে চায়; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য এমনি যে উন্নয়নের কল্প কাহিনি শুনতে শুনতে বধির হয়ে যাবার অবস্থায় রয়েছে; কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের সেই বোবাকান্না শুনতে পাচ্ছে না। বিগত সরকারের আমলে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে সাফল্য প্রদর্শনের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করত। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, বিগত সরকারের আমলে বিবিএস মূল্যস্ফীতির হার কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দেখাত। আর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেখাত। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির যে হার দেখানো হচ্ছে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। প্রকৃত মূল্যস্ফীতির হার ১৫ শতাংশ থেকে ১৭ শতাংশ হবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

বিবিএস রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্মোহভাবে অর্থনীতি এবং অন্যান্য খাতের পরিসংখ্যান তুলে ধরা, যাতে সেই পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারিত হতে পারে; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, অতীতে কোনো সরকারই এই সংস্থাটিকে স্বাধীনভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দেয়নি। ফলে বিবিএস বিভিন্ন ইস্যুতে যে তথ্য পরিসংখ্যান প্রকাশ করে থাকে তার ওপর সাধারণ মানুষের তেমন কোনো আস্থা নেই। নেতিবাচক ইস্যুতে পরিসংখ্যান কমিয়ে দেখানো এবং ইতিবাচক বিষয়ে কৃতিত্বকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানোই যেন এই সংস্থাটির দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যাতে কোনো মহলই তাদের সঠিক পরিসংখ্যান প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই দাবি উঠেছে তাদের সঠিকভাবে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরার মতো পরিবেশে কাজ করতে দেয়ার জন্য।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কীভাবে মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারণ করে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত তিন ভাবে তুলনা করে মূল্যস্ফীতির হার হ্রাস বা বৃদ্ধি পেয়েছে তা নির্ধারণ করে থাকে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বছরভিত্তিক তুলনা। যেমন,২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের মূল্যস্ফীতি কত ছিল তার সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সার্বিক মূল্যস্ফীতির তুলনা করলে যে চিত্র পাওয়া যায় তাকে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। আবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের মার্চ মাসের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মার্চ মাসের মূল্যস্ফীতির হারের মধ্যে যে পার্থক্য তার ভিত্তিতেও মূল্যস্ফীতি হ্রাস-বৃদ্ধি ক্যালকুলেট করা হয়। আবার মাস ভিত্তিক মূল্যস্ফীতির হিসাব নির্ধারণ করা হয়। যেমন, গত অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি কত ছিল আর নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কত হয়েছে তার পার্থক্যের ভিত্তিতেও মূল্যস্ফীতি গণনা করা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মূল্যস্ফীতি ক্যালকুলেট করে তাকে বলা হয় কনজুমার্স প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই। এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বাস্কেটে থাকা পণ্যগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে তার ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী অথবা নিম্নমুখী প্রবণতা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে শহরের জন্য মূল্যস্ফীতি নির্ধারণের জন্য ৪২২টি পণ্যমূল্য এবং গ্রামের জন্য ৩১৮টি পণ্যমূল্যকে বিবেচনায় নেয়া হয়। এর মধ্যে খাদ্য পণ্যের সংখ্যা ২৪২টি। অবশিষ্ট পণ্যগুলো নন-ফুড আইটেম। এই পণ্যগুলোর মধ্যে কোনো একটি বা দুটি পণ্যের মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতিকে প্রভাবিত করে না। অর্থাৎ এই পণ্যগুলোর মোট মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধিকে বিবেচনায় নিয়ে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়। প্রতিটি জেলার নির্ধারিত কিছু হাট-বাজার থেকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহ করেন।

সেই তথ্যের ভিত্তিতেই হিসাব করা হয় মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে না হ্রাস পাচ্ছে। কনজিউমার্স প্রাইস ইনডেক্সের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। যেসব পণ্য এই পদ্ধতিতে বিবেচনায় রাখা হয় তার মধ্যে এমন কিছু পণ্যও আছে যাদের ভোক্তা তুলনামূলকভাবে খুবই কম। এসব পণ্যের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি ভোক্তা জীবনে খুব একটা প্রভাব ফেলে না। যেমন, কোরবানির ঈদের সময় ছুরি-চাকুর চাহিদা বৃদ্ধি পায়; কিন্তু বছরের অন্য সময় এই পণ্যটি তেমন একটা ব্যবহৃত হয় না। তাহলে প্রোডাক্ট বাস্কেটে এই পণ্যটি রেখে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হলে তার আপেক্ষিতকা ততটা থাকে না; কিন্তু চালের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধির সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব রাখে। কারণ মানুষ বিত্তবান বা বিত্তহীন যে ক্যাটাগরিরই হোন না কেনো তাকে খাবার খেতেই হয়। কাজেই চালের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব তাকে সইতেই হয়। জানা গেছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আগামী কিছুদিনের মধ্যে কোর ইনফ্লেশন শীর্ষক একটি পদ্ধতিতে মূল্যস্ফীতি হিসাবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

সর্বস্তরের মানুষ ব্যাপকভাবে গ্রহণ বা ভোগ করে এমন ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যকে কোর ইনডেক্স ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এসব পণ্যের মূল্যের ওঠানামার ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হিসাবায়ন করা হবে। গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা বিরাজ করছে; কিন্তু কোনোভাবেই তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। করোনা উত্তর বিশ্ব অর্থনীতি যখন উত্তরণের পর্যায়ে ছিল ঠিক সেই সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার সময় বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ছিল স্বাভাবিক পর্যায়ে। ইউক্রেন এবং রাশিয়া মিলিতভাবে বিশ্বের মোট দানাদার খাদ্যে ৩০ শতাংশ জোগান দিয়ে থাকে; কিন্তু যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন তার উৎপাদিত খাদ্য পণ্য বিশ্ববাজারে সরবরাহ করতে পারেনি। ফলে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে তীব্র খাদ্যাভাব দেখা দেয়। সাম্প্রতিক কালে আমরা বিশ্বব্যাপী যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা প্রত্যক্ষ করি তার পেছনে উৎপাদন হ্রাস জনিত কারণ দায়ী ছিল না। বরং পরিবহন সংকটের কারণেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করে ৯ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। ফেডারের রিজার্ভ ব্যাংক অব আমেরিকা (ফেড) অন্যান্য ব্যবস্থার পাশাপাশি পলিসি রেট (কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণকালে সিডিউল ব্যাংকগুলো যে সুদ প্রদান করে) ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে। এর উদ্দেশ্য ছিল বাজারে অর্থ সরবরাহ কমিয়ে আনা। পলিসি রেট বৃদ্ধির কারণে সিডিউল ব্যাংকগুলো ব্যাংক ঋণের সুদের হার আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি করে। পলিসি রেট বৃদ্ধি করা হলে বাজারে অর্থ সরবরাহ কমে যায় ঠিকই কিন্তু এতে ব্যক্তি বিনিয়োগ মন্থর হযে পড়ার আশঙ্কা থাকে; কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তা ঘটেনি। কারণ পলিসি রেট বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন শ্রেণির সঞ্চয় স্কিমের সুদের হারও বেড়ে যায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নাগরিক বিভিন্ন দেশে অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন উচ্চ সুদ পাবার প্রত্যাশায় তারা বিনিয়োগ বিদেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিজ দেশে নিয়ে আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি অনুসরণ করে বিশ্বের অন্তত ৭৭টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদ হার বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকও একাধিকবার পলিসি রেট বাড়িয়েছে। আগে যেখানে পলিসি রেট ছিল ৫ শতাংশ এখন তা ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও এক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতির হার ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। এখন তারা পলিসি রেট কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। শ্রীলঙ্কার মতো সমস্যাগ্রস্ত একটি দেশের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে এখন তাদের মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে নিচে নেমে এসেছে।

প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ ব্যাংকও তো পলিসি রেট বারবার বৃদ্ধি করেছে তাহলে মূল্যস্ফীতি কমছে না কেনো? বাংলাদেশ ব্যাংক পলিসি রেট বৃদ্ধি করলেও ব্যাংক ঋণের সুদের হার কিছু দিন আগ পর্যন্তও সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে রেখেছিল। ফলে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই সুযোগে একটি সুবিধাভোগি মহল ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে তা অন্য খাতে প্রবাহিত করেছে অথবা বিদেশে পাচার করেছে। তবে আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে, শুধু পলিসি রেট বৃদ্ধি বা মুদ্রানীতির মাধ্যমে উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা রোধ করা যাবে না। আমাদের দেশের মোট ব্যবহার্য পণ্যের ৭৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে জোগান দেয়া হয়। মাত্র ২৫ শতাংশ পণ্য বিদেশে থেকে আমদানি করা হয়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে থাকে। ফলে গ্রামে তৃণমূল পর্যায়ের একজন উৎপাদক যে পণ্যটি ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হন সেই পণ্যটিই ভোক্তা পর্যায়ে এসে ১০০ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়।

বাজারের ওপর সরকারের ন্যূনতম কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক করা না গেলে কোনো উদ্যোগই উচ্চ মূল্যস্ফীতি ঠেকানোর ক্ষেত্রে শতভাগ সফলতা দিতে পারবে না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ সংস্কার বা নির্বাচন কখন হবে তা নিয়ে চিন্তিত নয়। তারা চিন্তিত তাদের পকেটের অবস্থা নিয়ে। সরকার প্রতিদিন একজন মানুষের বাড়িতে তিন বেলা খাবার পৌঁছে দেবে এটা মানুষ কখনো প্রত্যাশা করে না। তারা নিজের আয় দ্বারা বাজার থেকে পরিবারের জন্য পণ্য ক্রয় করার মতো সামর্থ্য অর্জন করতে চায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একমাত্র অগ্রাধিকার হওয়া উচিত কীভাবে পণ্য মূল্য কমিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা যায় তা নিশ্চিত করা।

এম এ খালেক: অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি ও অর্থনীতিবিষয়ক লেখক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ