Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

কোটা ইস্যুতে হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে নিষ্পত্তি করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, ‘কোটা পদ্ধতি নিয়ে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন এবং এটার বিরুদ্ধে এভাবে আন্দোলন করা এটাতো সাবজুডিস। তাদের মতো সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আমরা কোনো কথা বলতে পারি না। যেহেতু হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, তাই আদালত থেকেই সমাধান আসা উচিত।’

যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রবিবার (৭ জুন) সকালে গণভবনে দলটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার প্রধান বলেন, পড়াশোনা বাদ দিয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের আন্দোলন করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলনের নামে (কোটা বিরোধী) এখন যা চলছে তা হলো পড়াশোনার সময় নষ্ট করা। এটার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমার মনে হয় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে একটা কথা আমি না বলে পারছি না, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে কোটা সেটা বাতিল করতে হবে। নারীদের কোটা বাতিল করতে হবে, এ ধরনের নানা কথা শোনা যাচ্ছে। সেটা একবার বাতিল করা হয়েছিল কিন্তু ফলাফলটা কি?

শেখ হাসিনা বলেন,পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার হিসাব যদি দেখা যায় তাহলে আগে কোটা থাকাতে মেয়েরা যে সংখ্যায় সুযোগ পেত সেই সুযোগ কিন্তু এই গত কয় বছরে পায়নি। এটা হলো বাস্তবতা।

তিনি আরও বলেন, এমনকি অনেক অনেক জেলা, প্রত্যন্ত অঞ্চল সেসব অঞ্চলের মানুষগুলো কিন্তু বঞ্চিত থেকে গেছে। তারাও চাকরি পাচ্ছে না। আর এ রকম বঞ্চিত হওয়ার কারণেই কেউ মামলা করে, যাতে হাইকোর্ট একটা রায় দেয়। হাইকোর্টের রায়টা আমরা সব সময়ই মেনে নেই। কিন্তু আমরা এখন দেখলাম যে, কোটা বিরোধী আন্দোলন আবার গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলন করছে, সেখানে মেয়েরাও করছে।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। যদিও স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণির চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা চলে আসছিল। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ২০১৮ সালের অক্টোবরে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনী) সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ সময় সার্বজনীন পেনশন স্কীম প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কীম আমরা দিয়েছি এটা সকলের জন্য। এটা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারে। যেটা আমরা করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র সরকারি চাকরিজীবী, তারাই পেনশন পায় আর বাকীরা বঞ্চিত থাকে। কাজেই কেউ যাতে বঞ্চিত না থাকে সেজন্য এই পেনশন স্কীমে বিভিন্ন স্তর দিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি আমাদের যুব মহিলা লীগের প্রত্যেকেই এই সার্বজনীন পেনশন স্কীমে যুক্ত হতে পার। যুক্ত হতে পার নিজেদের একটা ভবিষ্যতের জন্য।

শেখ হাসিনা বলেন, যখন মানুষের বয়স হয়ে যাবে বা তারা কর্মক্ষম থাকবে না এর মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবকা নির্বাহের জন্য একটি নিশ্চিত অর্থ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। এটা কিন্তু আজীবন পাবে। আমি মনে করি যারা আমাদের রাজনীতির সাথে যুক্ত তাদের এ ধরনের পেনশন স্কীমে ঢোকা দরকার। আর যারা একেবারে প্রান্তিক বা নিন্ম আয়ের মানুষ রয়েছে, তাদের জন্য এতে বিশেষ প্রণোদণা দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যুব মহিলা লীগ সবসময়ই আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিল। অনেক সময় তারা পুলিশের হাতে নির্যাতিত হয়েছে তাই নয়, যুব মহিলা লীগের ওপর অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন করেছে বিএনপির অস্ত্রধারী নেতাকর্মীরাও। তাদের সেই অত্যাচারের অনেক ছবি, চিত্র অনেক কিছুই এখনো রয়েছে। অত্যাচার-নির্যাতনকালে মা-বোন বলে তারা কোনো সমীহ করেনি।

তিনি আরও বলেন, তারা এতই জঘন্য প্রকৃতির নির্যাতন করেছে, যেটার নিন্দা করার ভাষা আমার নেই। কারণ তারা সে সময় মানুষ নয় জানোয়ারের থেকেও অধম জীবে পরিণত হয়েছিল। তারপরেও সকল বাধা অতিক্রম করে প্রত্যেকটা সংগ্রামে যুব মহিলা লীগ রাজপথে থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি তাঁকে গ্রেপ্তারের সময় বাধা দিতে গিয়ে অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারা বরণ করেন। যাদের অনেককে ছোট বাচ্চা ঘরে রেখেও কারাগারে যেতে হয়েছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ