Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

কোটা আন্দোলনে পূর্ব রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা: তদন্ত প্রতিবেদন

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে চলা সহিংসতার সময় ভাঙচুর করা হয়েছে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন ট্রেনের বগি। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলপথ। এতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রেলওয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

রেলওয়ের সূত্র বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় চারটি ট্রেনের ৪০টি বগি ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব তাণ্ডবের পর রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের দপ্তর প্রধানদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটি বলেছে, দুষ্কৃতকারীরা রেলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে, চারটি ট্রেনের ৪০টি কোচ ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭টি, চট্টলা এক্সপ্রেসের ১৩টি, জামালপুর এক্সপ্রেসের ৬টি, পারাবত এক্সপ্রেসের ৮টি ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ২টি বগি ভাঙচুর করা হয়। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের চারটি বগি পুরোপুরি পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়াও চট্টলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী কমিউটারের ইঞ্জিন ভাঙচুর করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রেলওয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়। গত ১৮ থেকে ২৩ জুলাই বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল না করায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে।

তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্যমতে, পূর্বাঞ্চলের আওতায় ঢাকা বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইন্টারনেট পুরোপুরি সচল না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এ ব্যাপারে প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী সুশীল কুমার হালদার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাণিজ্যিক বিভাগের, এরপর যান্ত্রিক বিভাগের।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ