কোটা সংস্কার: রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা
সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
রবিবার (১৪ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি দাওয়া সংবলিত স্মারকলিপিটি পেশ করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলে ছিলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, সার্জিস আলম, আরিফ হোসেন, হাসিব আল ইসলাম, উমামা ফাতেমা, রিফাত রশিদ, সুমাইয়া, আব্দুল হান্নান মাসুদ, মো. মাহিন সরকার, আব্দুল কাদের ও মেহেরান নিসা।
স্মারকলিপিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ, মামলা তুলে নেয়া ও কোটা সংস্কারের এক দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গণপদযাত্রা শুরু হয়। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর গুলিস্তানের নূর হোসেন চত্বরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের দিকে রওনা হন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল বাংলাদেশে। তার মাঝে ৩০ শতাংশই ছিল মুক্তিযোদ্ধা কোটা। বাকি কোটার মাঝে ১০ শতাংশ নারী কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য এবং এক শতাংশ কোটা ছিল প্রতিবন্ধীদের। ওই বছরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে। তাদের দাবির মুখে সেই বছর পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তবে ২০২১ সালে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে পাবার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন এবং গত ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দেয়া সর্বশেষ রায়ে বলা হয়েছে, ‘সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন, পরিবর্ধন করতে পারবে। কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারবে।’
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে