তাসকিনের ইতিহাস গড়া ম্যাচে রাজশাহীর জয়
জয়ের পথ তৈরি করে রেখেছিলেন তাসকিন আহমেদ। বিপিএলে ইতিহাস গড়া বোলিংয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের লাগাম টেনে দেন। ব্যাটিংয়ে বাকি কাজ সিদ্ধ হস্তে সেরেছেন এনামুল হক বিজয়। দুর্বার রাজশাহীকে দাপুটে জয় এনে দিতে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন রায়ান বার্লও। তাতেই ঢাকা পেয়েছে টানা দুই হারের স্বাদ, রাজশাহী পেয়েছে ৭ উইকেটের বড় জয়।
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক ম্যাচ হেরে নেমেছিল দুদল। আসরের শুরুর ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ঢাকা। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে লড়াই চালিয়েও পেরে ওঠেনি রাজশাহী। আজ ভুল করেনি এনামুল ব্রিগেড। ঢাকার ১৭৫ রানের লক্ষ্য পার করেছে অনেকটা হেসেখেলেই। ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তোলার দিনে বলও থেকেছে ১১টি বাকি।
বৃহস্পতিবার টসভাগ্য পক্ষে আসেনি এনামুলের। তবে ব্যাটিংয়ে ঠিকই কাজ করেছেন। বোলিংয়ে তাসকিনের তাণ্ডব চালানো দিনে ব্যাট হাতে আলো কেড়েছেন রাজশাহীর অধিনায়ক। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে করেছেন ৭৩ রান। এনামুল ৪৬ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন ৯ চার ও ৩ ছয়ে। অধিনায়কের সঙ্গে অপর পাশে তাণ্ডব চালিয়েছেন জিম্বাবুয়ের হার্ডহিটার ব্যাটার বার্ল। তিনিও পান ফিফটির দেখা। খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস।
অবশ্য ইনিংসের গোড়াপত্তন ভালো হয়নি রাজশাহীর। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যর্থ হন জিসান আলম। শূন্য রানে জিসান ফেরার আগে মোহাম্মদ হারিসকে প্রথম ওভারেই ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ৫ বলে হারিস আনেন ১২ রান। বরিশালের বিপক্ষে তাণ্ডব চালানো ইয়াসির আলীর ব্যাটও বেশিক্ষণ চলেনি। ২০ বলে ইয়াসির ২২ রানে ফেরার পর আর ভুল করেনি রাজশাহী। বাকি পথ অবিচ্ছিন্ন ১০৬ রানের জুটিতে পারি দেন এনামুল ও বার্ল।
ম্যাচের আগের গল্পে প্রায় পুরোটা জুড়ে তাসকিন। কখনও গতিতে পরাস্ত করেছেন, কখনও দেগেছেন বাউন্সার। ঢাকার ব্যাটারদের কখনও ইয়র্কার ছুড়ে উপড়ে দিয়েছেন স্টাম্প। তবে তাসকিনের তোপ জারি ছিল শুরু এবং শেষে। বাকি সময়ে ঠিকই রান তুলে নিয়েছিল ঢাকা। দেড়শ ছাড়িয়ে দুইশর পথে হাঁটা ঢাকাকে অবশ্য অল্পতেই বেঁধে রেখেছিলেন তাসকিন। ১৯ রান খরচায় নেন ৭টি উইকেট। বাকিদের সবাই ছিলেন যথেষ্ট খরুচে।
তাসকিনে রাঙা দিনটিতে ব্যাট হাতে ঢাকার শাহদাত হোসেন দিপু। ৫০ রান করতে তরুণ এই ব্যাটার খরচ করেন ৪১ বল। ঢাকার হয়ে দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে তিনে নামা স্টিফেন ইসকিনজির ব্যাটে। ২৯ বলে এই বিদেশি ক্রিকেটার ৬ চার ও ২ ছক্কায় সাজান ইনিংস। বাকিদের কেউই রাখতে পারেননি মান। লিটন দাস ফিরেছিলেন শূন্য রানে। অধিনায়ক পেরেরা করেন ২১ রান। এরপর শেষদিকে তোপ দাগেন তাসকিন। বনে যান বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তার বোলিংয়ে রাঙা দিনটিতে সহজ জয়ও পায় রাজশাহী। ১৯ রানে ৭ উইকেট শিকার, তাসকিনের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনিই।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে