এমপি আনার হত্যাকাণ্ড
উদ্ধার হাড়-মাংস মানুষের, বলছে ফরেনসিক রিপোর্ট
কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা দেহাংশ এবং হাড়গোড় মানুষের (পুরুষ) বলে প্রাথমিক ফরেনসিক রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদী ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা এখন ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য আদালতের অনুমোদন নেবেন। কারণ উদ্ধার হওয়া মাংস ও হাড়গোড় এমপি আনারের কি না তা নিশ্চিত হতে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে তিনি আরও বলেন, ‘এর জন্য কূটনৈতিক অনুমতির প্রয়োজন হবে। আমরা আশা করছি যে, এমপির মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন শেষ রাউন্ডের ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য ভারতে আসবেন। ডিএনএ ম্যাচিং শেষ করতে আরও কিছু দিন সময় লাগতে পারে।’
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অনুমতি পাওয়ার পরে সংস্থাটি (পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি) এমপি আজিমের পরিবারের কাউকে ডিএনএ নমুনা দেয়ার বিষয়ে আদালতের কাছে অনুমতি চাইবে। অনুমতি পেলেই তার পরিবারের কোনো সদস্যকে কলকাতায় এসে ডিএনএ নমুনা দিতে বলা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, আজিমকে হত্যার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র বা সরঞ্জাম খুঁজে বের করার দিকে নজর দেওয়া হবে। গত সপ্তাহে নেপাল থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা সিয়াম হোসেনই জিনিসগুলি সংগ্রহ করেছিলেন এবং যে দোকান থেকে তিনি সেগুলো কিনেছিলেন সেখানে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে এক তদন্তকারী জানিয়েছেন, সিআইডি টিম একটি ইলেক্ট্রিক চাঁপাতিও খুঁজছে। যেটি আজিমের দেহ কেটে ফেলার কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে