ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১০ জনের প্রাণহানি, দেড় লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় রোববার রাতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এতে এখন পর্যন্ত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান।
তিনি আরও জানান, এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৭টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৭টি ইউনিয়ন ও ৯১৪টি পৌরসভায় ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিহতদের মধ্যে ভোলা ও বরিশাল জেলায় তিনজন করে এবং সাতক্ষীরা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালী জেলায় একজন করে মারা গেছেন।
মুহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হলো- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর।
তিনি বলেন, দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং ৮ লাখের বেশি মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। এর পাশাপাশি ৫২ হাজার ১৪৬টি গৃহপালিত পশু রাখা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষকে চিকিৎসা দিতে ১ হাজার ৪৭১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং এর মধ্যে ১ হাজার ৪০০টি টিম সক্রিয় রয়েছে। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ১৫ জেলায় ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ টন চাল, ৫ হাজার ৫০০ টন শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য বাবদ দেড় কোটি টাকা এবং গো-খাদ্যের জন্য দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ সময় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা শুনেছি এবং এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কর্মসূচি চূড়ান্ত হলে আমরা আপনাদের জানাবো।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে