বর্ষায় ধানমন্ডি-পান্থপথে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা: মেয়র তাপস
ধানমন্ডি, পান্থপথ, কাঁঠালবাগানসহ আশপাশের এলাকায় এবারের বর্ষায় জলাবদ্ধতা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশ আয়োজিত 'নিরাপদ নগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪' অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ওই এলাকার বৃষ্টির পানি নিরাপদে নেমে যাওয়ার জন্য মাধ্যম ছিল হাতিরঝিল; কিন্তু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য হাতিরঝিল ভরাট করে সংকুচিত করা হচ্ছে। এতে পানির প্রবাহ কমে যাবে। নিষ্কাশনে হবে ধীরগতি। এ কারণে ওই এলাকায় এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে জনসংখ্যার ঘনত্বকে মাথায় রেখেই। তবে ঢাকা মুখী অভিবাসনের যে স্রোত, তা থামতে না পারলে উন্নয়নের সুফল পাওয়া যাবে না।
তিনি জানান, ঢাকাকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করতে হলে তিনটি কাজ আমাদের করতে হবে। তা হচ্ছে শহরকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। কঠোর আইনের প্রয়োগ করতে হবে। আইন বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তবে আমাদের কাজের মাধ্যমে শহরের বাসযোগ্যতা আরও বাড়বে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, নগরের সংকট সমাধানে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। গ্রাম হবে শহর, শহর হবে বাসযোগ্য এই স্লোগানে যেতে হবে। এই শহরকে আমরা ভালোবাসি, এ জন্য এই শহরকে বাসযোগ্য করতে কাজ করতে হবে। তাহলে সামনের দিনে এই শহরকে এখনকার চেয়ে আরও বাসযোগ্য করা সম্ভব হবে।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও আগুন লাগে। এই শহর কতটা নিরাপদ? তা আমাদের প্রশ্নেই ঘাটতি ফুটে ওঠে। পৃথিবীর মেগাসিটির তালিকায় ঢাকা আয়তনের দিক থেকে ৪০তম, অথচ জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে প্রথম। এই শহরে ৫ লাখ গাড়ি চলার ব্যবস্থা আছে, অথচ চলে ১৬ লাখ গাড়ি। ঢাকায় রাস্তা, গাছ, জলাশয় অনেক কমলেও বাড়ছে শুধু মানুষ।
নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লান্যার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নগরায়ন ও পরিবেশ সম্পাদক স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান, সাংবাদিক অমিতোষ পাল, রাজু আহমেদ, রাশেদ মেহেদী, বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড- ২০২৪ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হেলিমুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পাঁচ ক্যাটাগরিতে নগর সাংবাদিকতার জন্য 'বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪' দেওয়া হয়। তারা হলেন, নগর সংস্থার অনিয়ম ও দুর্নীতি ক্যাটাগরিতে নিউ এইজের রাশেদ আহমেদ, নগর পরিকল্পনার সীমাবদ্ধতা ও সম্ভবনা ক্যাটাগরিতে বণিক বার্তার আল ফাতাহ মামুন, নগর সংস্থার সেবা ও জনদুর্ভোগ ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি অমিতোষ পাল ও লতিফুল ইসলাম, অনলাইন ক্যাটাগরিতে সারাবাংলা. নেটের রাজনীন ফারজানা ও টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির নাজমুল সাঈদ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে