নেটওয়ার্ক শেয়ারিং নিয়ে রবি-বাংলালিংকের যৌথ উদ্যোগ
একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে দেশের অন্যতম দুটি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও বাংলালিংক। মোবাইল নেটওয়ার্কের মান ও গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশব্যাপী ফোর-জি’র প্রসার বাড়াতে এই যৌথ উদ্যোগ অপারেটর দুটির।
বিশ্বে টেলিযোগাযোগ শিল্পে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর যৌথ ব্যবহার জনপ্রিয় ও স্বীকৃত। এর মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানই টেকসই পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতি সমুন্নত রাখতে পারে। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও টেলিযোগাযোগ সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হয়। এতে সেবার মান ও মূল্য সংযোজন পরিষেবায় (ভিএএস) বেশি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়।
টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এ ধরনের যৌথ উদ্যোগ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে প্রেস রিলিজে বলা হয়।
প্রেস রিলিজে আরও বলা হয়, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পকে অন্যতম চালিকাশক্তিতে রুপান্তর করতে আমরা কাজ করছি। টেলিযোগাযোগ একটি অপরিহার্য সেবা, যা গ্রাহকদের ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু হিসাবে কাজ করে। বাংলালিংক ও রবির মধ্যে এই যৌথ উদ্যোগ নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে। এর পাশাপাশি এটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেশের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারকেও উৎসাহ প্রদান করবে। রবি ও বাংলালিংকের এই যৌথ উদ্যোগ দেশজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনকে আরও উন্নত করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
এ বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে রবি ও বাংলালিংক-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এই সময়োপযোগী ও গতিশীল উদ্যোগ দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সেবা ও দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে নেটওয়ার্ক শেয়ার-এর প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সম্ভ্যব্যতা যাচাই করা। প্রয়োজনীয় নীতিগত পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর যৌথ ব্যবহার শুরু হবে।
আমাদের লক্ষ্য হলো সকল গ্রাহকের জন্য শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ সংযোগ নিশ্চিত করা, যেন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জিত হয়। এই ধরনের দূরদর্শী উদ্যোগের প্রতি সর্বদা সমর্থন দেয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিপিএএ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বিটিআরসি-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহ্জাহান মাহমুদ, বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, বাংলালিংক-এর চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমানসহ রবি ও বাংলালিংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে