২০২৪ সালের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রবি আজিয়াটার সাফল্য
অর্থনৈতিক অস্থিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও বাজার বিশৃঙ্খলার মধ্যেও কৌশলগত বিনিয়োগ এবং দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে মুনাফার ধারা অব্যাহত রেখেছে ‘রবি আজিয়াটা পিএলসি’। ২০২৪ সালে রবি ৯ হাজার ৯৫০ দশমিক ২ কোটি টাকার রাজস্ব অর্জন করেছে যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এছাড়াও, ভয়েস রাজস্ব দশমিক ৭ শতাংশ এবং ডাটা রাজস্ব ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে।
তবে, ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তুলনায় ভয়েস রাজস্ব ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে, তবে ডাটা রাজস্ব মাত্র দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। বাজার প্রতিযোগিতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং নতুন সিম কর বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকের ব্যয় সংকোচন এবং নতুন গ্রাহক প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এসবের পরও রবির গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৬৭ লাখে পৌঁছেছে, তবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
এ সময় ফোরজি ব্যবহারে উন্নতি লক্ষ করা গেছে, সারা দেশে ১৮ হাজারের বেশি ফোরজি টাওয়ার স্থাপন করে রবি ৯৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ জনসংখ্যার জন্য ফোরজি কাভারেজ নিশ্চিত করেছে। ২০২৪ সালে রবির ইবিআইটিডিএ আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৮১ দশমিক ৬ কোটি টাকায় পৌঁছেছে এবং ইবিআইটিডিএ মার্জিন ৪ দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে ৫১ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে।
রবি সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে ৬ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা, যেটি মোট রাজস্বের ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৪ সালে কর পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ৭০৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১ দশমিক ৩৪ টাকা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রবির পরিচালনা পর্ষদ প্রতি শেয়ার ১.৫০ টাকা হারে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে, যা ২০২৪ সালের কর পরবর্তী মুনাফার ১১১ দশমিক ৮ শতাংশ। বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২১ এপ্রিল ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে।
রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও এম. রিয়াজ রাশিদ বলেছেন, ‘আমরা একটি পরিবর্তনশীল বাজারে দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি এবং গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে কাজ করছি। নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ও করনীতি এমন হওয়া উচিত যাতে টেলিকম খাতের সুষম ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং রবি’র মতো অপারেটররা আরও এগিয়ে যেতে পারে’। তিনি সিম কর বাড়ানোর ফলে ডিজিটাল সেবার প্রসার বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তবে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও, রবি তার শেয়ারহোল্ডারদের প্রাপ্য প্রদান, অবকাঠামোতে বিনিয়োগ এবং টেকসই টেলিযোগাযোগ খাতের নীতিনির্ধারণে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে