Views Bangladesh Logo

বইমেলায় রাসেল আশেকীর মহাকাব্য সিরিজ ‘দেহবাতি’

মর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কবি রাসেল আশেকীর মহাকাব্য সিরিজ ‘দেহবাতি’। গ্রন্থটি রাসেল আশেকীর মহাকাব্যের পঞ্চম সিরিজ। ৬৪ পৃষ্ঠার এই কাব্যগ্রন্থ ১৬টি পর্বে গ্রন্থিত হয়েছে। কাব্যগ্রন্থটি নতুন শব্দ-উপমা, নতুন মেটাফোর-মেটাফিজিক্স, আধ্যাত্মিক ও মহাজাগতিক ভাবনার স্ফূরণে স্ট্রিং তরঙ্গের খনি এবং মানুষ নামের একটি অন্তরগ্রহের জাগরণী, রক্তে লেখা একটি ভাষাভূমি থেকে অন্তরশিল্পের শিল্পভূমি। বইটি প্রকাশমাত্রই কবি ও কবিতাপ্রেমী পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। প্রথম মুদ্রণ শেষের পথে। কাব্য সিরিজটি প্রকাশ করেছে ‘শান্তির প্রবেশ’। প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। পরিবেশক ‘পানকৌড়ি প্রকাশন’। স্টল নম্বর ১১৬। শান্তি শুভেচ্ছা: ২৫০ টাকা।

মহাকাব্য সিরিজ ‘দেহবাতি’ সম্পর্কে:
একমনে একধ্যানে একটানা ৩৬ বছর কবিতার সঙ্গে বসবাস কবি রাসেল আশেকীর। ১০ থেকে ২০ লাখ মন্ত্রমুগ্ধ পাঠক-শ্রোতা-গণমানুষের সামনে সুমধুর কণ্ঠে পাঠ করেছেন নিজের কবিতা। সারাজীবন ব্যয় করছেন একটি কবিতার জন্য যা কালক্রমে হয়ে উঠছে একটি মহাকাব্য। প্রাকৃতিক-আধ্যাত্মিক ও মহাজাগতিক পরাবাস্তবতার এই মহাকাব্যটি নতুন ভাষা শব্দ উপমা অনুপ্রাস মেটাফোর মেটাফিজিকস ও স্ট্রিং তরঙ্গের খনি, মানুষ নামের একটি অন্তরগ্রহের জাগরণী আর অন্তরভাষার ভাষাভূমি থেকে অন্তরশিল্পের শিল্পভূমি। যেখানে এই ভাসমান মানুষের দ্বীপ, মানববাজার এবং বঙ্গবন্ধু এসেছেন নতুনরূপে নতুনতর মাত্রায়। সেইসঙ্গে কবির হৃদয়প্রজ্ঞায় এসেছেন মহাবিশ্বের বিস্ময়কর চরিত্র গণিত শাহ, প্রিন্সনূর, মানবিকা, প্রজ্ঞাবতী, প্রেমকুমারী, বিশ্বকন্যা, বঙ্গসুন্দরী ও ভুবনসুন্দরী নামের প্রমুখ নতুন চরিত্র। যারা এই পৃথিবীর এই দেশের মাটি জল আলো-বাতাস-রোদের নতুন মানুষ। প্রত্যেকেই পারস্পরিক প্রেম সম্প্রীতি ও সুসম্পর্কের সুধায়, একতা সততা ও সাহসের পরম্পরায়, মায়াসুর প্রযুক্তির লীলায়, গিরগিটিরূপ ডেভিলম্যানদের বশীকরণ শিক্ষায়- সর্বোপরি পরিবর্তন ও রূপান্তরের মধ্য দিয়ে সহজ জীবন ও শান্তির পৃথিবী গড়ার নতুন কারিগর।

লেখক জানান, মহাকাব্যটি চূড়ান্ত হলেও মূলনাম প্রকাশ হয়নি। পাঠকের পাঠের স্বার্থে মহাকাব্যটি প্রকাশ হচ্ছে সিরিজ আকারে ভিন্ন ভিন্ন সিরিজ নামে। ‘দেহবাতি’ মহাকাব্যের পঞ্চম সিরিজ এবং ১৬ পর্বের একটি মহাকাব্যগ্রন্থ। এই সিরিজের শুরুতেই পিতার হিতোপদেশে কবি উপলব্ধি করেছেন মহাকাব্যের নতুনরূপ নতুনশক্তি এবং সৃষ্টি করেছেন এক একটি অন্যকথার কবিতা। যাদের সমষ্টি এই মহাকাব্য। এই মহাকাব্যের প্রতিটি সিরিজ প্রতিটি পর্বের কবিতা- আলো, শব্দ ও সংগীতের আবহে নতুন দর্শন বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক ভাবের নির্যাসে সৃষ্টি, যা বাংলাভাষায় রচিত পৃথিবীর নতুন মহাকাব্য। মূল কথা, জগতের কঠিন অন্ধকার ভেঙে ‘দেহবাতি’ জ্বলে ওঠামাত্রই বিশ্বব্যাপী শুরু হলো নতুন মহাকাব্যের শুভযাত্রা।

এই মহাকাব্যের কাব্যসূত্র হলো:
লাইট+সাউন্ড+মিউজিক = পোয়েম
সায়েন্স+ফিলোসোফি+স্পিরিচুয়ালিটি=পোয়েট্রি

কবি সম্পর্কে:
কবি রাসেল আশেকীর জন্ম বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঊষালগ্নে ৪ নভেম্বর ১৯৭১ সালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার চরচাপ্তা গ্রামে। পিতা সুফি দরবেশ শেখ আবদুর রউফ। মাতা শান্তি-সাধবী বেগম বিছুরুন নেসা। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করলেও রাসেল আশেকী মূলত প্রাকৃতিক-আধ্যাত্মিক ও মহাজাগতিক শিক্ষায় শিক্ষিতজন।

তিনি পেশায় কবি, লেখক, সাহিত্যিক, উন্নয়ন উদ্যোক্তা ও শান্তিকর্মী। মহাকাব্যের চারটি সিরিজসহ তার প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থের সংখ্যা ২২। ৯০ দশক থেকে প্রায় তিন যুগ ধরে তার কবিতা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যয়ে সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং বিশ্ব দরবারে সমাদৃত।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ