ইউক্রেনে আরও আগেই হামলা চালানো উচিত ছিল: পুতিন
ইউক্রেনে আরও আগে হামলা চালানো উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন পুতিন।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের হামলার আগে ‘পদ্ধতিগত প্রস্তুতি’ প্রয়োজন ছিল। এটিকে তিনি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে উল্লেখ করেন।
চার ঘণ্টার এই সংবাদ সম্মেলনে পুতিন সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা, রাশিয়ার পরমাণু নীতির আগ্রাসী অবস্থান এবং অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনটিতে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার মানচিত্র ছিল, যেখানে ইউক্রেনের সংযুক্ত অঞ্চলগুলোও দেখানো হয়।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিন বলেন, যুদ্ধ শেষ করতে তিনি ‘সমঝোতায়’ রাজি। তবে এই সমঝোতার বিষয়বস্তু স্পষ্ট নয়।
‘রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব’ নিয়ে পুতিন বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের ওপর নির্ভরশীলতা কমেছে। এটিকে তিনি ইউক্রেন আক্রমণের একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন।
সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন নিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এটি ক্রেমলিনের পরাজয় নয়। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, পরিস্থিতি ‘জটিল’।
পুতিন জানিয়েছেন, ক্ষমতাচ্যুত আসাদ এখনও তার সঙ্গে কথা বলেননি। তবে তিনি দ্রুত এই বিষয়ে কথা বলবেন।
তিনি আরও জানান, রাশিয়া সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে দুটি সামরিক ঘাঁটি রাখার বিষয়ে আলোচনা করছে। এই ঘাঁটিগুলো ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত এবং রাশিয়া সেগুলো মানবিক কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনাও করছে।
পুতিন বলেন, তিনি চার বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে ট্রাম্প চাইলে তিনি দেখা করতে প্রস্তুত।
চীনের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘গত দশকে রাশিয়া-চীনের সম্পর্ক এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা আমাদের ইতিহাসে আগে কখনো হয়নি।’
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে