অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়ে ‘ভারমুক্ত’ হলেন শান্ত
গত অক্টোবরে হঠাৎ করেই নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন বলে খবরের শিরোনামে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তখন জানা গিয়েছিল, ব্যক্তিগত কারণে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের (টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) কোনটিতেই অধিনায়কত্ব করতে চান না এই ক্রিকেটার। এবার চূড়ান্ত ভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়লেন তিনি।
তবে শুধু টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন এই অধিনায়ক। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) চূড়ান্ত ভাবে শান্ত জানিয়ে দিয়েছেন যে, টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন না। ফলে আগামী মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।
একটি জাতীয় দৈনিককে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, ‘শান্ত ফাইনালি বলে দিয়েছে, সে আর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব করবে না। আমরাও এটা মেনে নিয়েছি। তবে যেহেতু আপাতত আমাদের টি-টোয়েন্টি খেলা নেই, হাতে সময় আছে; এখনই নতুন অধিনায়ক নিচ্ছি না। তবে যদি চোটের সমস্যা না থাকে, ওয়ানডে ও টেস্টে শান্তই অধিনায়ক থাকবে। সেভাবেই কথা হয়েছে।’
এদিকে, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে নতুন অধিনায়ক হিসেবে এখন লিটন কুমার দাসের নামই সবার চেয়ে এগিয়ে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তার নেতৃত্বে ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই বড় সাফল্যই মূলত এগিয়ে রাখছে লিটনকে। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদও আলোচনায়, তবে তাসকিনের চোটের ঝুঁকি এবং মিরাজের দলে স্থায়ীত্ব না থাকায় তারা কিছুটা পিছিয়ে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন ফরম্যাটেই অধিনায়ক করা হয়েছিল শান্তকে। কিন্তু দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি পারফরম্যান্সে অতটা উজ্জ্বল নন শান্ত। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রান-খরায় ভুগছেন। সর্বশেষ ১৯ ম্যাচে তার ব্যাটে ফিফটি নেই। এতেই সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। চোটের কারণে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের কোনো সিরিজেই খেলতে পারেননি শান্ত। তার পরিবর্তে টেস্ট ও ওয়ানডের নেতৃত্বের ভার ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের কাঁধে। তবে টি-টোয়েন্টির দায়িত্বে ছিলেন লিটন দাস।
শান্তর অধিনায়কত্বে গত অক্টোবরে হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে