হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে: ড. ইউনূস
মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে শেখ হাসিনাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম স্কাই নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সকল প্রমাণ সরকারের কাছে আছে। তাকে ফেরত দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভারতের জবাবের অপেক্ষায় আছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই শেখ হাসিনার বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব কি না? এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেননি তিনি। বলেন, অভিযুক্ত অপরাধের সাথে জড়িত লোকের সংখ্যা এবং পরিসর বেশি হওয়ায় কাজ করতে “সময় লাগছে”।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, হাসিনার ১৫ বছরের শাসনে বিরোধী কণ্ঠ দমনে বন্দিশালা আয়নাঘরে চলে অমানবিক নির্যাতন। এর বীভৎসতা সবাইকে শুধু হতবাকই করেনি নৃশংসতার চরম পর্যায়কে তুলে ধরেছে।
তিনি আরও বলেন, “সবাই এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। পুরো সরকার (আওয়ামী লীগ) এর সাথে জড়িত ছিল। সুতরাং এটা বের করা কঠিন যে, কারা সত্যিই এবং উৎসাহের সঙ্গে এই অপরাধগুলো করছিল, আর কারা উচ্চপদস্থদের আদেশের অধীনে এসব কাজ করেছিল এবং কারা পুরোপুরি এসব অপরাধের সমর্থনকারী না হলেও এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছিল।”
শেখ হাসিনার ভাগ্নী টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলাটি খুবই গুরুতর। দেশে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এবং সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে।
এ ছাড়াও রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য তারা এখন একটি “নিরাপদ অঞ্চলের” সম্ভাবনা নিয়ে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে