পর্ব ১
শেখ হাসিনার ‘পদত্যাগ’ কোনো ম্যাটার করে না
বীর মুক্তিযোদ্ধা জেড আই খান পান্না। প্রবীণ আইনজীবী। আইনি সহায়তা সংস্থা ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্রের’ চেয়ারম্যান। বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ও গণঅভ্যুত্থানে তার বলিষ্ঠ অবস্থান উল্লেখ করার মতো। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানেও ছাত্রদের হয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম, আইন, সংবিধান ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বিষয়ে ‘ভিউজ বাংলাদেশ’-এর মুখোমুখি হয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গিরীশ গৈরিক ও হাসান শাহাদাত তৌহিদ।
ভিউজ বাংলাদেশ: মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা যে পদত্যাগ করেছেন এমন ‘পদত্যাগপত্র’ আমার কাছে নেই। এই কথাকে উপজীব্য করে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলছেন, তিনি মিথ্যাচার করছেন। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
জেড আই খান পান্না: কে মিথ্যা বলছে, আর কে সত্য বলছে- এ কথা তো আর আমি বলতে পারব না। তবে একটি প্রশ্ন আছে, সেটা হলো, তার কাছে যদি পদত্যাগপত্র না থাকে, আমার মনে হয় না থাকার কথা, কারণ সেই সময় তিনি পাননি, আর এটা কোনো ম্যাটার করে না এখন।
পদত্যাগ না করলেও তিনি দেশত্যাগ করেছেন। এটা তো সত্যি। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করেছেন, এটা তো হতে পারে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় নেই আজ তো এটা প্রমাণিত সত্য। সেখানে পদত্যাগপত্র থাকল কি, থাকল না- এ প্রশ্নটা তো অবান্তর। কারণ, তিনিই তো সংবিধানের ওপর দিয়ে উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করিয়েছেন। সংবিধান রক্ষা করার জন্য তারা শপথবব্ধ হয়েছেন।
ভিউজ বাংলাদেশ: ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেছেন, এটা যদি ‘পদত্যাগ’ হয়ে থাকে, তাহলে এটা নিয়ে এত কথা হচ্ছে কেন?
জেড আই খান পান্না: রাজনৈতিক আলোচনা তো হতেই পারে। বিভিন্ন দৃষ্টিতেই হতে পারে। আবার মূল রাজনীতি আরেক দিকে ঘুরানোর জন্যও হতে পারে। নানারকম রাজনৈতিক চাল আছে। রাজনীতির আরেক নাম কূটনীতি। কূটনীতি শব্দটা এসেছে কৌটিল্য থেকে, যিনি এই উপমহাদেশের বিখ্যাত পণ্ডিত। কূটনীতি শব্দটা যদিও এখন আমরা ভালো শব্দ হিসেবে ব্যবহার করি; কিন্তু এর গ্রাম্যরূপ হচ্ছে কূটনা বা কূটনী। এই কূটনামির জন্যও হয়তো এই আলোচনা হতে পারে।
ভিউজ বাংলাদেশ: এখন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যে ধরনের আলোচনা হচ্ছে, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এই ইস্যুটি নিয়ে আর কী জটিলতা হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
জেড আই খান পান্না: পরবর্তীতে কখন ক্ষমতায় আসবে? আরেকটা নির্বাচনের পর তো। আসলে হয়তো তারা তখন বলবে, দিয়েছিলাম বা দেই নাই। যে কোনোভাবেই এটা অপ্রাসঙ্গিক। অপ্রাসঙ্গিক কারণ, বাস্তবে তিনি দেশত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী পদে তিনি আর নেই। তিনি পদত্যাগ করলেন কি করলেন না, এতে কী আসে যায়। পদত্যাগ করলেও ওনার চেয়ার খালি। না করলেও চেয়ার খালি। এটা তো অপ্রাসঙ্গিক একটি বিষয়। আমার মনে এটা দিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অন্যদিকে ঘুরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভিউজ বাংলাদেশ: সংবিধান কমিটি গঠিত হয়েছে, অনেকে বলছেন সংবিধান সংস্কার করতে হবে, কেউ বলছেন পুরো সংবিধান বাতিল করে নতুন করে লিখতে হবে। এর প্রয়োজনীয়তা এ মুহূর্তে আমাদের রাষ্ট্রে আছে কি না?
জেড আই খান পান্না: কোনো মুহূর্তেই নাই। আরও ২০০ বছর পরে হতে পারে। আমেরিকার সংবিধান কবে হয়েছে? সংবিধান তো স্বাধীনতার ঘোষণা। এর পর থেকে অনেক সংশোধনী আছে; কিন্তু পুনর্লিখন কিন্তু হয়নি। ভারতের সংবিধান তো ৭০-৮০ বছর হয়ে গেল, তেমন পরিবর্তনের দরকার হয়নি। পুনর্লিখনেরও দরকার হয়নি। লিখিত সংবিধান আরও আছে অনেক দেশের। সেভাবে আবার নতুন করে লেখার দরকার হয়নি। সংবিধান লেখার মতো পণ্ডিত ব্যক্তির অভাব আছে আমাদের দেশে। আর পণ্ডিত ব্যক্তি থাকলেই বা লিখতে যাবেন কেন? প্রয়োজন না থাকলে পরে কেন এটার পরিবর্তন দরকার? এর যথযথ উপযুক্ত উত্তর কিছু আমরা আজ পর্যন্ত পাইনি।
ভিউজ বাংলাদেশ: যদি পুনর্লিখন না করে তাহলে কি সংস্কার হতে পারে?
জেড আই খান পান্না: সংস্কার করতে পারে। এটর্নি জেনারেল যেটা বারবার বলছে, আর্টিকেল ৭০ পরিবর্তন দরকার। তাহলে পার্লামেন্টে ব্যালেন্স অব পাওয়ার আসবে। তাহলে মেম্বারদের একটি বাক-স্বাধীনতা যেন থাকে। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতা যেন থাকে। তাহলে দল আর অটোক্রেটিক হতে পারে না। দল আর ডিক্টেটরশিপ চালাতে পারে না। দলের আনুগত্য থাকতে হবে; কিন্তু দল থেকে যে মেম্বারশিপ চলে যাবে এমন না। তখন দলের ভেতর একটা পরিবর্তন আসতে পারে। কোয়ালিশন হতে পারে। আর তারা যদি কেউ কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট আনতে চায়, আনতে পারে। যেমন ১৯৭২-এর সংবিধানে ছিল বিচারপতি অপসারণের দাবিটা থাকবে পার্লামেন্টের হাতে। সেটা সংশোধন করে নিয়ে আসছে সুপ্রিয় জুডিশিয়াল কাউন্সিলরের কাছে। সেসব পরিবর্তন করতে পারে। এর জন্য পুনর্লিখনের দরকার নেই।
ভিউজ বাংলাদেশ: এখন সংবিধান সংস্কার কমিশনে যিনি আছেন, অধ্যাপক আলী রিয়াজ, তিনি আইনজীবী বা সংবিধান-বিশেষজ্ঞ নন, এখন সেই কমিটির পক্ষে কি বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার করা সম্ভব বলে আপনি মনে করেন?
জেড আই খান পান্না: তাদের তো একটা কমিটি আছে। সংস্কার করা সম্ভব। আইডিয়াটা দিবে মিনিস্ট্রিতে, সেখানে ড্রাফট কমিটি আছে বিসিএসের। ওরা কিন্তু ড্রাফট করতে করতে এক্সপার্ট হয়ে যায়। যেমন, একজন বিচারপতি ছিলেন, যিনি এক দিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের চেয়ারে বসেননি; কিন্তু বিচারপতি হয়েছিলেন পরে। বিচারপতি আব্দুল কুদ্দুস। জিয়াউর রহমানের যত আইন সব তিনি করেছেন। এরশাদেরও সময়ও তিনি করেছেন। এরশাদই তাকে জাস্টিস বানিয়েছেন। এরকম অনেকে আছেন এক্সপার্ট ড্রাফটস ম্যান। এরা ড্রাফট করতে করতে এক্সপার্ট হয়ে যান। এরকম অনেকে আছেন, যাদের বলে দিলে তারা ড্রাফট করে দিতে পারেন।
ভিউজ বাংলাদেশ: একটা সমালোচনা হচ্ছে, আলী রিয়াজ আমেরিকার নাগরিক, তিনি বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার করতে পারবেন কি না, এই প্রশ্ন কতটা যৌক্তিক?
জেড আই খান পান্না: এটা যৌক্তিক প্রশ্ন। সম্পূর্ণ যৌক্তিক। তার লয়ালিটি কোথায়? বাংলাদেশের প্রতি না আমেরিকার প্রতি? যদি বলা হয় দুদেশের একটিতে তিনি থাকবেন, তাহলে কোন দেশে থাকবেন? তিনি কি আমেরিকার ইন্টারেস্টের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। মনে হয় না।
ভিউজ বাংলাদেশ: আলী রিয়াজ আমেরিকার নাগরিক, এবং আমেরিকার নাগরিক হতে হলে একটি হলফনামায় সই করতে হয়, আমেরিকার বাইরে কোনো রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে নির্দিষ্ট সময় পর পর বিবৃতি দিয়ে জানাতে হবে।
জেড আই খান পান্না: এটা আমি জানি না। কারণ আমি আমেরিকার নাগরিক না। আমি বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের নাগরিকের কী করণীয় আমি জানি। সে যদি বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের ওপর তার আনুগত্য থাকতে হবে। আনগত্য ছাড়া গ্রহণযোগ্য না।
ভিউজ বাংলাদেশ: সম্প্রতি ৭ মার্চ, ১৫ আগস্টসহ বিশেষ ৮টি জাতীয় দিবস বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। বিশেষ করে ৭ মার্চ যে বাতিল করতে চায়, আমরা জানি ৭ মার্চ বাংলাদেশ জন্মের এক বিশেষ প্রেক্ষাপট। ৭ মার্চ যদি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের কী করণীয় বা রাষ্ট্রের এখন কী করণীয়?
জেড আই খান পান্না: ছুটি দেয়া বা না দেয়া নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই। কারণ, ১ মে শ্রমিক দিবস হয়েছে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকদের ওপর গুলি করার কারণে। আমেরিকায় গিয়ে দেখলাম ওখানে মে’ডে নেই। আমি গিয়ে দেখলাম মে’ডে উপলক্ষে ছুটি নেই, অনেকে জানেনই না মে’ডে কী; কিন্তু অনেকে আবার পালন করেন। ৭ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনের একটি মাইলস্টোন। এটা আওয়ামী লীগের না। দলমত নির্বিশেষে বাঙালি জাতির জন্য একটি মাইলস্টোন। ছুটি দিক বা না দিক। এটা আমাদের পালন করতেই হবে।
ছুটি দেয়া মানে একটু সম্মান দেখানো এই দিনটার। আর ১৫ আগস্ট সম্পর্কে আমার মন্তব্য হচ্ছে, ১৫ আগস্ট ছুটি পালন করতে দেননি, তাহলে ১১ সেপ্টেম্বর মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র মৃত্যুবার্ষিকী কেন প্রেস ক্লাবে পালন করতে দিলেন, এতে কী প্রমাণিত হয়? এটা পজেটিভ না। এটা কিছুতেই প্রগতির পক্ষে না। এটা কিছুতেই বাঙালি জাতির কল্যাণের জন্য না। হেযবুত তওহীদ যারা করেন, তারা একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চান। তারা নিজেরা কতটা ইসলাম পালন করেন জানি না। মালয়েশিয়ার মাহাথির মুহাম্মদ যেটা বলেছেন, আমরা খাবারের বেলায় হারাম-হালাল খুঁজি। রুজির বেলায় খুঁজি না।
৭ মার্চ আমাদের জাতির জন্য একটা মাইলস্টোন। একটা সংকেত। যার যা আছে তা নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়। এটা যে কত বড় অনুপ্রেরণা এটা আজ আমি বুঝাতে পারব না। ‘জয় বাংলা’ লাখো মানুষকে জাগিয়েছে। স্লোগান ঢেউয়ের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। আজকের দিনে তো সেটা সম্ভব না। এরা তো কেউ পয়সা দিয়ে আসে নাই। আজকাল যেমন পয়সা দিয়ে মিছিলে লোক পাওয়া যায়। মওলানা ভাসানী যখন ডাক দিতেন নিজের পয়সা খরচ করেই মানুষ তার সভায় অংশ নিয়েছে।
অনেক বড় বড় বড় মানুষও সন্তোষে গিয়ে খোলা মাঠে পড়ে থেকেছেন। আজকের দিনে কী এটা সম্ভব? আজকে বৈশাখী মেলা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। আমরাও মেলায় যেতাম। অনেক খেলনা ছিল, পুতুল ছিল। বাঁশি কিনতাম, মিঠাই কিনতাম। আজকে মানুষ চৈত্রসংক্রান্তি ভুলে গেছে, নবান্ন উৎসব উঠে গেছে। সেসব ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে।
ভিউজ বাংলাদেশ: ছাত্রদের মধ্যে থেকে দুজন উপদেষ্টা হয়েছেন। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নাহিদ ইসলাম। তারা দুজনেই বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা নন। এই কথাটাকে আপনি কেমনভাবে দেখছেন?
জেড আই খান পান্না: রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকে এ কথা বলছেন, এটা রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকে বলুক। যে, হ্যাঁ, মানি না। বঙ্গবন্ধু তো নিজে থেকে জাতির পিতা হননি। জনগণই তাকে জাতির পিতা বানিয়েছে। আমরাই স্লোগান দিয়েছিলাম তখন, আমরা আপনাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী না, বাঙালি জাতির পিতা হিসেবে দেখতে চাই। এটা মীমাংসিত সত্য। তিনি ফাদার অব দ্য নেশন।
ঐতিহাসিক ও মীমাংসিত সত্য। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সত্য, ২ মার্চ মীমাংসিত সত্য, ২৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার, বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখেই সেদিন ইশতেহার পাঠ হয়েছিল, এটা মীমাংসিত সত্য। এখন কী দিবস পালন হলো কি হলো না, তাতে কিছু আসে-যায় না; কিন্তু তিনি আমাদের জাতির ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছেন। আমরা অনেক জাতীয় ব্যক্তিত্বের জন্ম দিবস-মৃত্যু দিবস পালন করি না, তারা তো আছেন। দিবস পালন না করার মধ্য দিয়ে ওই ব্যক্তির কিছু আসে-যায় না। ১৫ আগস্ট পালন না করলে বঙ্গবন্ধুর কিছু যায়-আসে না; কিন্তু জাতির আসে-যায়।
৩২ নম্বরের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হলো; কিন্তু ওই বাড়িটা তো আমাদের ইতিহাসের অংশ। ১৯৭২-এর আমি আওয়ামী লীগ করি না; কিন্তু ওই বাড়িতে গিয়ে তো আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছি। অনেক বিখ্যাত লোক ওই বাড়িতে আসছেন। ওই বাড়িটা পুড়িয়ে দিল? সারা জাতি দেখেছে। মনে রাখবে। ক্ষমতা থেকে সরুক এরা তখন দেখবে। কোথায় কর্নেল রুশীদ, ফারুক?
আওয়ামী লীগের ভুলটা কোথায়? ভুলটা হলো, দিনের ভোট রাতে দেয়া। বিস্ময় সৃষ্টি করার মতো দুর্নীতি। দুর্নীতিবাজদের আশ্রয় দেয়া। আমার মতে শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত না; কিন্তু দুর্নীতিপরায়ণদের তিনি প্রশ্রয় দিছেন। এই সরকারও দিচ্ছে।
(চলবে)
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে