নদ-নদীর পানি বাড়ায় শেরপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারী বর্ষণ এবং গত চার দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে শেরপুর জেলার নদ-নদীতে পানি দ্রুত বাড়ছে। ইতোমধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে, যা নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল রাত ১০টায় এই নদীর পানির উচ্চতা বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল, যা রাতের দিকে কিছুটা কমলেও ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি এবং উজানের অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে পানি আবারও বাড়ে।
এ ছাড়াও সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর পাশের নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় আশপাশের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের মঙ্গলবার সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, ভোগাই নদীর পানি নকুগাঁও পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭৯ সেন্টিমিটার নিচে, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে এবং পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে ৬৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ২০ মে পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে, যা জনজীবন ও কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ অবস্থায় কৃষকদের পাকা ধান দ্রুত কেটে উঁচু স্থানে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘বৃষ্টি ও উজানের কারণে পানি বেড়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে