দেশের ২২ জেলায় শিল্পকলায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন-লুটপাট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা এবং শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দেশের অন্তত ২২ জেলা ও উপজেলার শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।
শিল্পকলা একাডেমির গণসংযোগ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যকে জানান, দুর্বৃত্তরা হারমোনিয়াম, তানপুরাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, কম্পিউটার, প্রজেক্টর, ক্যামেরাসহ মিলনায়তনের জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুট করে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, “অফিসের ক্যামেরা, প্রজেক্টর, কম্পিউটার লুটপাটের পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমির কাগজপত্র। কয়েকটি জেলায় সিসি ক্যামেরাও নষ্ট করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “জেলা-উপজেলা পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি মিলিয়ে ২২টির বেশি শিল্পকলা একাডেমিতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।”
এসব ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ সম্পের্কে তিনি বলেন, “তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন জেলা থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।”
৫ আগস্ট দুপুরে ঝিনাইদহ ও চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা হয়। সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা না হলেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। কার্যালয়ের তালা ভেঙে নগদ অর্থ, প্রজেক্টর, ক্যামেরা, কি-বোর্ড, বক্স-কেবল, তানপুরাসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
তারও আগের দিন ৪ আগস্ট হামলা হয় সিরাজগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে। অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে সেখানে। এ সময় অফিসকক্ষসহ মনসুর আলী অডিটরিয়ামে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়, লুট করা হয় মালামাল।
বরিশাল, ময়মনসিংহ, লক্ষ্মীপুর, শেরপুর, নওগাঁ, বরগুনা, সুনামগঞ্জ, রংপুর, খুলনা, মানিকগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, টাঙ্গাইলের শিল্পকলা একাডেমিতেও হামলার খবর দিয়েছে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
জামালপুরের মেলান্দহ, মাদারীপুরের শিবচরসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া বরগুনা, সুনামগঞ্জ, রংপুর, খুলনা, মানিকগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, টাঙ্গাইলের শিল্পকলা একাডেমিতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে