ব্যাংকিং ও অর্থনীতির কিছু থিওরি নিয়ে সাধারণ আলোচনা
কথায় বলে, ‘কোনো কিছু না জানা অন্যায় নয়, জানতে না চাওয়া অন্যায়। আর সবচেয়ে বড় অপরাধ বা অন্যায় হচ্ছে, না জেনে জানার ভান করা।’ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অজানা বিষয়ে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন না। তারা এমনভাব করেন যেন সব কিছুই তিনি জ্ঞাত আছেন। অনেকেই কোনো বিষয়ে পাণ্ডিত্য ফলাতে চেষ্টা করেন; কিন্তু বিষয়টি তিনি নিজেই ভালোভাবে জানেন না। একজন মানুষের পক্ষে সব কিছু জানা সম্ভব নয়। তবে জানার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালানো প্রয়োজন। যাতে কোনোভাবেই অজ্ঞতার বেড়াজালে আটকে অপমানিত হতে না হয়। পরস্পর মতবিনিময় করা একটি বিষয়ে জ্ঞানার্জনের জন্য শ্রেষ্ঠ উপায় হিসেবে গণ্য হতে পারে। আমরা যারা ব্যাংকিং এবং অর্থনীতি নিয়ে কাজ বা চর্চা করি তাদের প্রায়শই বিভিন্ন নতুন নতুন টার্ম বা সূত্রের সঙ্গে পরিচিত হতে হয়। এগুলো সম্পর্কে সাধারণ বা প্রাথমিক জ্ঞান না থাকলে বিব্রত হতে হয়। তাই এখানে ব্যাংকিং এবং অর্থনীতির এমন কিছু টার্ম বা সূত্র সম্পর্কে আলোচনা করব, যা আমরা প্রায় প্রতিদিনই শুনতে পাই। উল্লেখ্য, আমি এখানে যে আলোচনা করব, তা খুবই সাধারণ মানের আলোচনা। এটা কোনো বিশেষজ্ঞ অভিমত নয়। কাজেই ভুল-ভ্রান্তি থাকাটাই স্বাভাবিক।
প্রথমেই উল্লেখ করতে চাই কনজুমার্স সারপ্লাস বা ভোক্তার উদ্বৃত্ত নামে যে অর্থনৈতিক থিউরি আছে, সে প্রসঙ্গে। অর্থনীতিতে একটি চমৎকার থিউরি আছে, যার নাম কনজুমার্স সারপ্লাস বা ভোক্তার উদ্বৃত্ত। এর মূল কথা হচ্ছে, একজন ভোক্তা নির্দিষ্ট কোনো পণ্য কিনতে যে অর্থ ব্যয় করার মানসিকতা নিয়ে বাজারে যান তিনি যদি বাজারে গিয়ে বাস্তব ক্ষেত্রে সেই পণ্যটি তার প্রত্যাশিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে ক্রয় করতে পারেন তাহলে তিনি এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি লাভ করেন। এটাই ভোক্তার উদ্বৃত্ত; কিন্তু বর্তমান সময়ের একজন ভোক্তা সাধারণত প্রত্যাশিত দামের চেয়ে কম দামে কোনো পণ্য ক্রয় করতে পারেন না। বরং তাকে প্রতিনিয়তই প্রত্যাশিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দিয়ে একটি পণ্য ক্রয় করতে হয়। এই অবস্থাকে আমরা অর্থনীতির পরিভাষায় কি বলবো তা অর্থনীতিতে লেখা নেই। এটাকে কি তাহলে আমরা কনজুমার্স ডিপ্রেশন বলবো? হয়তো বা তাই।
গ্রস প্রফিট এবং নিট প্রফিট বলে দুটি শব্দ আছে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে। গ্রস প্রফিট হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট বছর বা সময়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে যে পার্থক্য সেটাই। গ্রস প্রফিট হিসাব করা হয় ট্যাক্স এবং অন্যান্য পাওনা পরিশোধের আগেই। যেমন কোনো কোম্পানি হয়তো ২০২২-২৩ অর্থবছরে হয়তো ১ লাখ টাকা আয় করেছে। এর মধ্যে তার ব্যয় করতে হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। তাহলে সেই কোম্পানির অপারেটিভ প্রফিট হবে ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্য থেকে কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রদান এবং বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স প্রদানের পর হয়তো তার হাতে থাকল ২৫ লাখ টাকা। এটাই হবে বর্ণিত সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নিট মুনাফা।
ব্যাংকিং আইনে ঋণ হিসাব রাইট অব বা অবলোপন বলে একটি টার্ম আছে। অবলোপন শব্দটি উচ্চারিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের মনে এমন একটি ধারণার সৃষ্টি হয় যে, ব্যাংক হয়তো ঋণের দাবি ত্যাগ করেছে অথবা ঋণ মওকুফ করে দিয়েছে। আসলে এটা মোটেও ঠিক নয়। ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ মর্মে তথ্য প্রকাশ করেছিলেন যে, ব্যাংকের অবলোপনকৃত ৪০০ প্রকল্পে নিকট পাওনা ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার মতো। রাতেবেলায় একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক আমাকে ফোন করে জানতে চান যে প্রকল্প অবলোপন করা হয়েছে তার কাছে ব্যাংকের ঋণ পাওনা থাকে কীভাবে? আমি বুঝতে পারি ভদ্রলোক অবলোপন সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না। তাকে আমি সাধ্যমতো অবলোনের বিষয়টি অবহিত করি। এখনো অনেকেই মনে করেন, ঋণ হিসাব অবলোপন অর্থ হচ্ছে বকেয়া ঋণের দাবি ত্যাগ করা, যা মোটেও ঠিক নয়। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে কোনো ঋণ হিসাবকে খেলাপি ঋণের লেজারে অন্তর্ভুক্ত না করে অন্যত্র সংরক্ষণ করাকেই ঋণ হিসাব অবলোপন বলা হয়। ব্যাংক কখনোই অবলোপনকৃত ঋণের দাবি ত্যাগ করে না। অবলোপনকৃত ঋণ হিসাব থেকে ঋণের কিস্তি আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়। কোনো ঋণ হিসাব মন্দমানে শ্রেণিকৃত হবার পর ৫ বছর অতিক্রান্ত হলে উপযুক্ত আদালতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করার পর সেই ঋণ হিসাবকে অবলোপন করা যেত। কিছু দিন আগে এই নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন কোনো ঋণ হিসাব মন্দমানে শ্রেণিকৃত হবার পর তিন বছর অতিক্রান্ত হলেই সেই ঋণ হিসাব অবলোপন করা যাচ্ছে। এ জন্য শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণের বিধান বাতিল করা হয়েছে। ৫ লাখ টাকার কম ঋণাঙ্কধারি প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিধান বাতিল করা হয়েছে। ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই ঋণের দাবি ত্যাগ করে না। তবে অবলোপনকৃত ঋণ হিসাব থেকে কিস্তি আদায় হবে না বলেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করে। যে কারণে অবলোপনকৃত ঋণ হিসাব থেকে কোনো অর্থ আদায় হলে তা সরাসরি ব্যাংকের মুনাফায় যুক্ত হয়।
প্রসঙ্গক্রমে লোন প্রভিশনিং বা ঋণ সঞ্চিতির প্রতি দৃষ্টি দেয়া যেতে পারে। ব্যাংক নিজের অর্থে ব্যবসায় করে না। তারা জনগণের নিকট থেকে আমানত আকারে অর্থ সংগ্রহ করে সেই অর্থ দিয়ে উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদান করে। ব্যাংক আমানতকারীদের ব্যাংকে সংরক্ষিত তাদের অর্থের ওপর যে সুদ প্রদান করে এবং ঋণ গ্রহীতাদের নিকট থেকে যে সুদ আদায় করে এর মাঝে যে পার্থক্য সেটাই স্প্রেড। যেমন কোনো ব্যাংক আমদানিকারীদের ৮ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করছে এবং ১২ শতাংশ হারে সুদ আরোপ করে উদ্যোক্তা বা সাধারণ ঋণ গ্রহীতাদের ঋণ দিচ্ছে, তাহলে সেই ব্যাংকের স্প্রেড হবে ৪ শতাংশ (১২-৮=৪) এই স্প্রেড থেকে ব্যাংক কর্মীদের বেতন ভাতা এবং ট্যাক্সসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর পর যেটা উদ্বৃত্ত থাকে সেটাই ব্যাংকের মুনাফা বা লাভ। ব্যাংকিং সেক্টরের সব ধরনের ঋণ হিসাবকে তাদের কিস্তি পরিশোধের ভিত্তিতে কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। প্রত্যেক শ্রেণির ঋণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য নির্দিষ্ট হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। যেমন কোনো ঋণ হিসাব থেকে নিয়মিত কিস্তি আদায় হলে তাকে নিয়মিত ঋণ হিসাব বলা হয়। এই শ্রেণির ঋণ হিসাবের জন্য এক শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। যে ঋণ হিসাব মাঝে মাঝে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলেও আবার ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধিত হয় এমন ঋণ হিসাবকে সাব-স্ট্যান্ডার্ড বা নিম্ন মানের ঋণ হিসাব বলা হয়। এ ধরনের ঋণ হিসাবের বিপরীতে ২০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। যে ঋণ হিসাব থেকে ঋণের কিস্তি আদায়ের ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সন্দিহান হয়ে পড়ে সেই ধরনের ঋণ হিসাবকে ডাউটফুল বা সন্দেহজনক ঋণ হিসাব বলা হয়। এই শ্রেণির ঋণ হিসাবের জন্য ৫০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। কোনো ঋণ হিসাব থেকে কিস্তি আদায়ের সম্ভাবনা না থাকলে সেই ঋণ হিসাবকে মন্দ ঋণ বা লোকসান বলে আখ্যায়িত করা হয়। মন্দ ঋণ হিসাবের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। ঋণ হিসাব শ্রেণিবিন্যাসের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেয়া আছে।
ব্যাংকিং সেক্টরে লোন অ্যাকাউন্ট রিশিডিউলিং বা ঋণ হিসাব পুনঃতপশিলীকরণ বলে একটি টার্ম প্রায়শই শোনা যায়। ঋণ হিসাব পুনঃতপশিলীকরণ বলতে কোনো ঋণ হিসাব থেকে কিস্তি আদায়ের সমসসীমা পুনঃনির্ধারণকে বুঝায়। যেমন কোনো একটি কোম্পানির ঋণের কিস্তি পরিশোধের নির্ধারিত সময় হয়তো ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু কোম্পানিটি নির্ধারিত সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধে অপারগ। এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যাংকে নগদ ডাউন পেমেন্ট হিসেবে জমা দিয়ে তার ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বর্ধিত করে নিতে পারেন। আগে কোনো ঋণ হিসাব পুনঃতপশিলীকরণ করতে হলে ১০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ডাউন পেমেন্ট আকারে ব্যাংকে জমা দিতে হতো। কয়েক বছর আগে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট জমা দিয়ে ঋণ হিসাব এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছরের জন্য পুনঃতপশিলীকরণের সুযোগ দেয়া হয়। আগের আইনটি ছিল আন্তর্জাতিক মানের; কিন্তু সেই আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। ঋণ হিসাব পুনঃতপশিলীকরণ হচ্ছে ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করেই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোম্পানিকে খেলাপি ঋণ মুক্ত দেখানোর একটি সহজ উপায় বা পদ্ধতি।
আমরা প্রায়শই কালো টাকা এবং অপ্রদর্শিত অর্থের কথা শুনি। অনেকেই মনে করেন, কালো টাকা এবং অপ্রদর্শিত অর্থ একই জিনিস। আসলে তা নয়। রং দিয়ে অর্থের চরিত্র চিত্রণ করা হয় না। বরং অর্থ উপার্জনের কৌশল এবং পদ্ধতির কারণে টাকাকে কালো বা সাদা বলে আখ্যায়িত করা হয়। কালো টাকা হচ্ছে সেই অর্থ যা অবৈধ না অনৈতিক পথে উপার্জিত এবং দেশের কর নেটওয়ার্কের বাইরে থাকে। যেমন, কেউ হয়তো অস্ত্র বিক্রি, চোরাচালানি বা এ ধরনের নিষিদ্ধ কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করলেন এবং উপার্জিত অর্থের ওপর প্রচলিত ধারায় ট্যাক্স প্রদান করলেন না তখন সেই অর্থকে কালো টাকা বলা যেতে পারে। আর বৈধভাবে উপার্জিত কিন্তু দেশের প্রচলিত আইনে ট্যাক্স প্রদান করা হয় না এমন অর্থকে অপ্রদর্শিত অর্থ বলা হয়। কালো টাকার মালিকরা একই সঙ্গে দুটি অপরাধ করেন। আর অপ্রদর্শিত অর্থের মালিকরা একটি অপরাধ করেন।
কালো টাকা এবং অপ্রদর্শিত অর্থের প্রসঙ্গ এলেই মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি এসে যায়। মানি লন্ডারিং নিয়ে অনেকের মাঝেই বিভ্রান্তি রয়েছে। একবার দেশের একজন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদদের নিকট জানতে চেয়েছিলাম, মানি লন্ডারিং কাকে বলে? তিনি নির্দ্বিধায় বললেন, মানি লন্ডারিং হচ্ছে অর্থ পাচার। আসলে তার এই বক্তব্য সঠিক নয়। অর্থ পাচার মানি লন্ডারিংয়ের একটি কৌশল মাত্র; কিন্তু তাই বলে মানি লন্ডারিং এবং অর্থ পাচার এক বিষয় নয়। অর্থ পাচার এক দেশ থেকে আর এক দেশের মধ্যে সংঘঠিত হয়। আর মানি লন্ডারিং দেশের অভ্যন্তরে যেমন সংঘটিত হতে পারে তেমনি দেশের বাইরেও সংঘটিত হতে পারে। মানি লন্ডারিংয়ে উদ্দেশ্য হচ্ছে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ এবং অপ্রদর্শিত অর্থকে নানা রূপান্তর ও স্থানান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির মূল শ্রোতে প্রবিষ্ট করানো। অনেকেই মনে করেন, মানি লন্ডারিং শব্দের উদ্ভব হয়েছে ‘লন্ডি’ শব্দ থেকে। লন্ডিংতে ময়লা কাপড় যেমন পরিষ্কার করা হয় মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে তেমনি অবৈধ অর্থকে বৈধতা দেয়া হয়।
অর্থনীতিতে ‘ট্রিকেল ডাউন ইফেক্ট’ বলে একটি থিউরি আছে। এই মতবাদের ধারকরা মনে করেন, দেশের বিত্তবান শ্রেণিকে যদি নৈতিক-অনৈতিকভাবে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা এবং কর মওকুফ সুবিধা দেয়া হয় তাহলে তারা নানা ধরনের শিল্প কারখানা স্থাপন করবে। দরিদ্র মানুষ সে সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। এটা পুঁজিবাদি চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
বিহেভিয়ারাল ইকোনমি নামে একটি থিউরি আছে। কয়েক বছর আগে রিচার্ড থ্যালার নামে একজন অর্থনীতিবিদ বিহেভিয়ারাল ইকোনমি নিয়ে গবেষণা করে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এই থিউরির মূল্য প্রতিপাদ্য হচ্ছে, যখন বাজারে কোনো পণ্যের মূল্য হ্রাস করা হয় তখন ভোক্তাদের আচরণে এক ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়। তারা আগের তুলনায় পণ্যটি বেশি পরিমাণে ক্রয় করতে উৎসাহী বা আগ্রহী হয়ে উঠে। এই অবস্থা আমরা প্রতিনিয়তই প্রত্যক্ষ করছি। অর্থনীতির মূল্য উপজীব্য হচ্ছে মানুষ। কোনো কিছুই মানুষকে বাদ দিয়ে নয়। মানুষের আচার-আচরণই অর্থনীতির বিভিন্ন থিউরির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড ও অর্থনীতিবিষয়ক লেখক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে