মহাসড়কে ছয়লেন: সিলেটে ভূমিগ্রহণ জটিলতায় কাজ বন্ধ
জমি অধিগ্রহণ সমস্যায় আটকে আছে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ছয়লেন নির্মাণ কাজ। চার বছরে প্রকল্পের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের ২১ কিলোমিটার কাজের মাত্র ১০ শতাংশ শেষ হয়েছে। তবে সিলেট অংশে এখনও কাজই শুরু হয়নি।
পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পটির বাকি আছে আর এক বছর। এই সময়ে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। কবে নাগাদ শেষ হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলতেও পারছেন না। তবে ২০২৮ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ শেষ হওয়ার আশা তাদের।
উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ বিশেষ করে ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও চীনের সঙ্গে যোগাযোগে ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ কেন্দ্রবিন্দুতে। এসব বিবেচনায় প্রকল্পটিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। মূল সড়কের উভয় পাশে ধীরগতির যান চলাচলে ৫.৫ মিটার প্রশস্ত সড়ক ছাড়াও ৬৬টি সেতু, ৩০৫টি কালভার্ট, সাতটি ফ্লাইওভার-ওভারপাস এবং ছয়টি রেলওয়ে ওভারপাস থাকবে। ফলে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলাবাসীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ অর্থ জোগান দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাকি টাকা দেবে সরকার। এ মেয়াদে ঢাকার কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২০৯ কিলোমিটার ছয়লেন এবং সিলেট থেকে তামাবিল পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার চারলেন দৃশ্যমান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বারবার নকশা পরিবর্তনসহ নানা জটিলতায় ঘুরপাক খাচ্ছে প্রকল্পটি। প্রথমে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটিকে চারলেন করার কথা ছিল। পরে ঢাকা-সিলেট ছয়লেন এবং সিলেট-তামাবিল সড়ক চারলেনের প্রকল্প চূড়ান্ত হয়।
এর মধ্যে ঢাকা-সিলেট অংশের ১৩টি প্যাকেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ছয়লেনের সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের প্রায় ৬০ কিলোমিটার কাজের তিনটি প্যাকেজের মধ্যে একটি শেষ হয়েছে। ঢাকা-সিলেটের ২০৯ কিলোমিটারের মধ্যে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের ১২১ কিলোমিটারের জমি এখনও অধিগ্রহণ হয়নি। সব মিলিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ১০ শতাংশ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহণ ও ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াই মহাসড়কটিকে ছয়লেনে উন্নীত করতে ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। কয়েক মাস পর কাজ শুরু হয়। তবে ধীরগতিতে এখন কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
কাজের ধীরগতির পেছনে জমি অধিগ্রহণ জটিলতাকে দায়ী করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে