পদত্যাগ করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা সিএনএনের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকে কিমের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব তোলার পরপরই বুধবার পদত্যাগ করেন তিনি। ডেমোক্রেটিক পার্টি ছাড়াও সামরিক আইন জারির বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য তার অপসারণেরও দাবি জানান ইয়ুনের পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতারাও।
এই পরিস্থিতিতে দায় স্বীকার করে কিম ইয়ং-হিউন বলেন, সামরিক আইন সম্পর্কিত সমস্ত পদক্ষেপ তার কর্তৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল। জনসাধারণের ‘উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি’র জন্য ক্ষমাও চান তিনি।
এ ঘটনায় এরইমধ্যে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিমের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে সৌদি আরবে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চোই বিয়াং-হিয়াককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জারি করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সামরিক আইন প্রত্যাহারের ইস্যু নিয়ে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন। তাঁর পদত্যাগের জন্য এরইমধ্যে ছয়টি বিরোধী দল তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। শুক্রবার বা শনিবার মধ্যরাতের মধ্যে এ বিষয়ে সংসদে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও ইউনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে আকস্মিক ভাষণে সামরিক আইন জারির মাধ্যমে বিরোধীদের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়াকে সমর্থন এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এমনকি তাদের কৌঁসুলিদের অভিশংসন এবং একটি সরকারি বরাদ্দ প্রস্তাব আটকে দেওয়ার চেষ্টা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ৩০০ আসনের সংসদের ১৯০ ভোটে আইনপ্রণেতারা দ্রুত আদেশটি বাতিল করে দেন। ফলে ইয়ুন আদেশ প্রত্যাহার করে বুধবার ভোরেই মোতায়েন করা সেনাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে