ক্রীড়াঙ্গনে ‘ঐতিহ্যের কঙ্কাল’ পুরান ঢাকা
শিশুর মানসিক বিকাশের অন্যতম অনুষঙ্গ খেলাধুলা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, প্রতি ব্যক্তির জন্য ন্যূনতম ৯ বর্গমিটার খোলা জায়গা প্রয়োজন। সেটা হতে পারে পার্ক, কিংবা মাঠ। সে হিসাবে ১ হাজার মানুষের জন্য সোয়া ২ একর খোলা জমি প্রয়োজন। রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের সমানুপাতিক হারের খোলা জমি তো কল্পনাই করা যায় না। ঢাকায় যে পরিমাণ মানুষ বসবাস করে, তার মাত্র ১৬ শতাংশ খেলাধুলার ন্যূনতম পরিষেবা পাচ্ছে! ‘দেশের নগর এলাকার খেলার মাঠের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা; চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’- শীর্ষক মতবিনিময় সভার বক্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ঢাকার খেলাধুলা সম্পর্কে এখন যে চিত্রটা দেখা যাচ্ছে, তা হচ্ছে মুদ্রার এক পিঠ। অপর পিঠে অবস্থান করছে সমৃদ্ধ অতীত। দেশের খেলাধুলার চর্চার তীর্থস্থান ছিল ঢাকা; বিশেষ করে পুরান ঢাকা। বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় গড়ে ওঠা কয়েক শত আখড়া ছিল ক্রীড়াচর্চার কেন্দ্রবিন্দু, যা একসময় ঢাকাবাসীর প্রধান বিনোদনের মাধ্যম ছিল। অবিভক্ত ভারতের নানা অঞ্চল থেকে বিভিন্ন খেলা পারদর্শীরা আখড়াগুলোকে কেন্দ্র করে ঢাকায় বসত গড়েছিলেন, যা তৎকালীন ক্রীড়া কর্মকাণ্ডে বৈচিত্র্য এনেছে।
কিন্তু হাজারো, লাখো তরুণের আবেগ, ভালোবাসা এবং স্বপ্নের আখড়াগুলো ইট-পাথরের আগ্রাসনে হারিয়ে গেছে। ক্রীড়াচর্চার এসব আখড়া কোন সময় গড়ে উঠেছিল- সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি। ঢাকার কুস্তি এবং ক্রীড়াচর্চার রেফারেন্স পাওয়া যায় হাকিম হাবিবুর রহমানের ‘ঢাকা পাঁচাস বারস প্যাহলে’ বইয়ে। অখণ্ড ভারতের উর্দু লেখক নিজের বইয়ে লিখেছেন, ‘এই চর্চা মোগল যুগে মুসলমানদের সঙ্গে ঢাকায় এসেছে।’ সময়ের সঙ্গে সেটা বিস্তৃত হয়েছে।
ব্রিটিশ শাসনামলের শেষদিকে আখড়াগুলোর কার্যক্রমের ওপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। কুস্তির আখড়াগুলোকে কেন্দ্র করে শরীরচর্চা করতেন ছাত্র-তরুণরা। যাদের অনেকে ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবে সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করতেন। এ জন্য কুস্তির আখড়াগুলোর ওপর ওই সময়ের শাসকদের আক্রোশ ছিল। সে আক্রোশ পুরান ঢাকাকে ঘিরে গড়ে ওঠা আখড়াগুলোকে সংকুচিত করেছে। একসময় ঢাকায় ছিল প্রায় ৩০০ আখড়া। বর্তমান সময়ে কার্যক্রম সচল তো দূরের পথ; কোনো আখড়ার অস্তিত্বও নেই!
আখড়াগুলোর প্রধান খেলা ছিল কুস্তি। কুস্তি লড়াইয়ের নির্দিষ্ট স্থানকে ফুলকা বলা হতো। ফুলকায় থাকত লাল মাটি। বর্তমান সময়ে খেলা হয় ম্যাটে, ওই সময় ম্যাটের বিকল্প হিসেবে লাল মাটি দিয়ে তৈরি করা ফুলকা ব্যবহার করা হতো। খেলার আগে ওই লাল মাটিতে ঘি, মাঠা এবং তেল মাখানো হতো। ফুলকার জন্য তিন স্থানের লাল মাটিকে প্রসিদ্ধ মনে করা হতো। আজিমপুর মাঠ, মাঠ-সংলগ্ন তালাও বা পুকুর এবং ময়মনসিংহ সড়ক-সংলগ্ন তালাওয়ের লাল মাটি নিয়ে আসা হতো ফুলকার জন্য। এ মাটি ফুলকায় ঢালার জন্য আখড়া সংলগ্ন মহল্লার পরহেজগার ও মুত্তাকী ব্যক্তিদের মনোনীত করা হতো। নবাব এবং সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা ছিল আখড়া মালিক এবং ক্রীড়াচর্চার পৃষ্ঠপোষক। সব ধর্ম এবং স্তরের লোকজন কুস্তিচর্চা করলেও মুসলমানদের অধিক্য ছিল বলে বিভিন্ন বর্ণনায় জানা যায়। সংখ্যায় কম হলেও ওই সময় বেশকিছু প্রসিদ্ধ হিন্দু পালোয়ানের কথাও বিভিন্ন বর্ণনা মারফত জানা যায়। এতেই পরিষ্কার ওই সময়কার কুস্তি চর্চা ছিল সার্বজনীন। সব শ্রেণি-পেশার উদীয়মানদের স্বপ্নের জায়গা ছিল আখড়াগুলো।
কুস্তি চর্চার গুরু ‘খলিফা’ নামে পরিচিত ছিলেন। এ খেলায় বিশেষ পারদর্শীদের ‘পালোয়ান’ বলা হতো। ঢাকায় পালোয়ানদের কয়েকটি বংশও ছিল। ক্রীড়াঙ্গনে সেই বংশের ছিল প্রচণ্ড দাপট। রঘুনাথ শাঁখারী, বুচে খলিফা, কালা খলিফা, আজিজুদ্দিন খলিফা, বেচারাম দেউড়ীর হায়দার পালোয়ান, হিংগু পাহলোয়ান, লতিফ পাহলোয়ান, আগ্রা-বাসী এনায়েত পাহলোয়ান, জালাল খলিফা, জুম্মন খলিফার মতো ব্যক্তিরা ছিলেন ওই সময়ের আলোচিত।
একসময়কার দেশ সেরা বক্সার আব্দুল হালিমের ক্রীড়াচর্চা শুরু হয়েছিল পুরান ঢাকার আখড়ায়। তার বর্ণনায়ও পুরান ঢাকায় ক্রীড়াচর্চায় উদীয়মানদের আগ্রহের কিছুটা বর্ণনা পাওয়া যায়, ‘শৈশবে বাবার হাতধরে কায়দে আজম ব্যায়ামাগারে (পরবর্তীতে নামকরণ হয় নবযুগ শরীরচর্চা কেন্দ্র) যেতাম। কুস্তি, শরীর গঠন, ভারোত্তোলন, বক্সিংয়ের মতো অনেক খেলার চর্চাই ছিল সেখানে। বিভিন্ন বয়সি লোকজন সেখানে নানা কসরত করতেন; আসতেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক উদীয়মানও। বছরের বিভিন্ন সময় এখানে জাঁকজমপূর্ণ নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও আয়োজিত হতো। মোঘল আমল, ব্রিটিশ আমল তো বটেই, পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের গোড়ার দিকে ঢাকার ক্রীড়াচর্চার প্রাণকেন্দ্র ছিল পুরান ঢাকা। বিভিন্ন সময়ের ক্রীড়াচর্চা নিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে গল্প শুনেছি। উদীয়মানদের স্বপ্নের জায়গায়, আগ্রহের কেন্দ্র ছিল আখড়াগুলো।’
সময়ের বিবর্তনে আখড়গুলোর পরিচর্যার ধরন বদলেছে। এ সম্পর্কে আব্দুল হালিম বলছিলেন, ‘আমরা শুনেছি আখড়ায় থাকা তালাওয়ে একসময় ঘি ঢালা হতো। সে দৃশ্য অবশ্য আমি দেখিনি। আমাদের সময়ে দেখতাম খাঁটি সরিষার তেল এবং মাঠা মাখানো হতো। বিভিন্ন ক্রীড়াবিদ কসরত শুরুর আগে তালাওয়ের লাল মাটি গায়ে মাখাতেন। ভোর থেকেই শুরু হয়ে যেত আখড়াগুলোর কার্যক্রম।’
ঢাকার ক্রীড়া ঐতিহ্যর শেষ চিহ্ন ছিল নবযুগ শরীরচর্চা কেন্দ্র। সেটাও এখন স্মৃতির অ্যালবামে চলে গেছে। বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী কুস্তি প্রশিক্ষণ ও চর্চার স্থান নবযুগ শরীরচর্চা কেন্দ্রের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ক্রীড়াচর্চার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েই না কি ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, পাঁচ তলার এ ভবনের এক কোণে ছোট পরিসরে একটা জিম রাখা হয়েছে বলে বিভিন্ন ব্যক্তি মারফত শোনা যায়। বাস্তবে তার অস্তিত্ব আছে কি না- জানা নেই ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের। এ সম্পর্কে আব্দুল হালিম বলছিলেন, ‘আমি শুনেছি, নবযুগ শরীরচর্চা কেন্দ্রের জায়গায় গড়ে ওঠা বহুতল ভবনের এক কোণে একটা জিম গড়া হয়েছে। আদৌ তার অস্তিত্ব আছে কি না- দেখতে গিয়েছিলাম সম্প্রতি; কিন্তু ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সেখানে সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করেছে। এ কারণে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছে। খোঁজ না নিয়েই ফিরে এসেছি।’
কেবল কুস্তি বক্সিং, ভারোত্তোলন নয়; পুরান ঢাকায় অন্যান্য ক্রীড়াচর্চার সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে, যার অন্যতম হকি এবং শরীর গঠন। হকির ঐতিহ্য এখনো হারিয়ে যায়নি। সে ঐতিহ্য লালনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন সাবেক হকি খেলোয়াড় ফজলুল ইসলাম। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুনিয়ার মায়া ছেড়ে গেছেন ‘ওস্তাদ ফজলু’ নাম পরিচিত এ কোচ। ওস্তাদ ফজলুর প্রয়াণে আরমানিটোলা স্কুলকে ঘিরে চলা হকি চর্চা নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা দূর করতে মাকসুদ আলম হাবুল-সেলিম লাকীর মতো সাবেক খেলোয়াড়রা এগিয়ে এসেছেন। তাদের উদ্দেশ্যে রফিকুল ইসলাম কামাল-রাসেল মাহমুদ জিমির উঠে আসার সিঁড়িটা যাতে সচল থাকে।
প্রবীণ সংগঠক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ছাত্রজীবন থেকেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত। পুরান ঢাকায় গড়ে ওঠা শরীরচর্চা কেন্দ্র বা আখড়াগুলো সম্পর্কে মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলছিলেন, ‘শৈশবে আমিও পুরান ঢাকার বিভিন্ন মহল্লার ক্রীড়া উন্মাদনা দেখেছি। সকাল থেকেই আখড়া বা শরীরচর্চা কেন্দ্রগুলো প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠত। ওই সময়ে বিভিন্ন বিশেষ দিবস উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল আখড়াগুলোকে কেন্দ্র করে চলা নানা খেলাধুলা। সময়ের বিবর্তনে ওসব এখন কেবলই স্মৃতি।’
১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশ অ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশনের শীর্ষ পদে আসীন তাবিউর রহমান পালোয়ান। নামের সঙ্গে লেগে থাকা ‘পালোয়ান’ উপাধিটা পাওয়া কুস্তি খেলা থেকে। ৪৪ বছর ধরে দেশের কুস্তি ফেডারেশনের সঙ্গে জড়িত তাবিউর রহমান পালোয়ান হারানো দিন নিয়ে স্মৃতি কাতর হয়ে গেলেন, ‘একটা সময় রাজধানীর খেলাধুলা মানেই ছিল পুরান ঢাকা। বিভিন্ন আখড়াকে কেন্দ্র করে সে কি উন্মাদনা...! আমার পূর্বসূরিরা এসব আখড়ায় নানা ক্রীড়া কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। সে ধারাবাহিকতায় আমার ক্রীড়াঙ্গনে উঠে আসা। প্রতি পাড়া ও মহল্লা আখড়াগুলোকে কেন্দ্র করে জমজমাট থাকত। নিজে কুস্তি খেলেছি। খেলতে খেলতে সংগঠক হয়েছি; কিন্তু পুরান ঢাকার ক্রীড়াচর্চা কেন্দ্রগুলো এখন কেবলই স্মৃতি।’
কুস্তির পর আখড়াগুলোতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিল শরীর গঠন। খেলাটির আন্তর্জাতিক জাজ জহির চৌধুরী পুরান ঢাকার আখড়ায় একসময় খেলা পরিচালনা করেছেন। এ সম্পর্কে বর্ষীয়ান টেকনিক্যাল অফিসিয়াল ও সংগঠক জহির চৌধুরী বলছিলেন, ‘ব্রিটিশ শাসনামল কিংবা তারও আগে পুরান ঢাকায় কয়েক শত আখড়া ছিল বলে বিভিন্ন বর্ণনায় আমরা জেনেছি; কিন্তু আমি হাতে গোনা কয়েকটি আখড়া দেখেছি। একাধিক আখড়ায় জাজ হিসেবে শরীর গঠন প্রতিযোগিতা পরিচালনাও করেছি।’ শরীর গঠন এবং বক্সিংয়ের আইন নিয়ে কাজ করেছেন জহির চৌধুরী, লিখেছেন একাধিক বই। পুরান ঢাকার ক্রীড়া কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আখড়াগুলো বিলুপ্ত হওয়ায় অন্যান্য ক্রীড়া কর্মকাণ্ড হারিয়ে গেছে। পুরান ঢাকা থেকে শরীর গঠন কিন্তু সেভাবে হারিয়ে যায়নি। বেশকিছু ফিটনেস ক্লাব গড়ে ওঠার কারণে চর্চাটা রয়ে গেছে। ফিটনেস ক্লাবগুলোতে অবশ্য সৌখিন শরীর গঠকদেরই অধিক্য। পেশাদারি চর্চা অনেক কমে গেছে। খেলাটা ব্যয়বহুল বলে পেশাদারি চর্চা কমে এসেছে।’
একটা সময় ক্রীড়াঙ্গন ছিল সৌর্য-বীর্য এবং দেহ সৌষ্ঠব প্রদর্শনের মাধ্যম। নিজেকে সেরা প্রমাণে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা লক্ষণীয় ছিল ক্রীড়াবিদদের মাঝে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সব ক্রীড়ায় পেশাদারি বাতাস বয়ে গেছে বটে; পুরোপুরি পেশাদার কাঠামো অবশ্য গড়ে ওঠেনি। খেলাধুলা বিকাশে স্বাধীনতার পর ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। নাম বদলে সেটা এখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্তশাসিত এ সংস্থার প্রধান কাজ ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন; কিন্তু অতীতে বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীনদের ক্রীড়াঙ্গন থেকে অর্থ লোপাটের মাধ্যম ছিল এনএসসি। বর্তমানে এনএসসির অধীনে সবকিছু হচ্ছে বটে, ক্রীড়া উন্নয়ন হচ্ছে না।
একদিকে পেশাদারিত্ব আসেনি, অন্যদিকে পাড়া-মহল্লাকেন্দ্রিক খেলাধুলা চর্চায় আগ্রহ এবং পৃষ্ঠপোষকতাও কমে এসেছে। দুয়ের যোগফলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন ক্রমেই রুগণ হচ্ছে। এ কারণেই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক বক্সার আব্দুল আলিম আক্ষেপ করে বললেন, ‘মাদকের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত আমাদের যুব সমাজ নানা নেতিবাচক বিষয়ে জড়িয়ে গেছে। তাদের সঠিক পথে আনতে হলে ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই।’
মাহবুব সরকার: ক্রীড়া সাংবাদিক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে