‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা’
২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বব্যাংকের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আন্না বিজার্ড।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে তার প্রথম সফর শেষে তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে জরুরি ভিত্তিতে গভীর সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতের সংস্কার প্রয়োজন।
বিজার্ড বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণামূলক।”
সফর শেষে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “মুদ্রা ও রাজস্ব নীতিতে দ্রুত ও সাহসী সংস্কার বাংলাদেশকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, আর্থিক খাতের ঝুঁকি হ্রাস করতে এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম করবে।”
বিজার্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন।
বিজার্ড বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব নিয়ে আমি গর্বিত, দেশটি লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সহায়তা করেছে। আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত গড়ে তুলতে, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং জলবায়ুর অভিঘাত ও ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা অব্যাহত রাখব এবং একই সঙ্গে কেউ যেন পেছনে পড়ে না থাকে তা নিশ্চিত করব।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) অর্থায়নে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ ও রেয়াতি ঋণ আকারে প্রায় ৪১ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম চলমান আইডিএ কর্মসূচি এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে