Views Bangladesh Logo

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাই এখন অগ্রাধিকার, ডাকসু নয়: ঢাবি প্রো-ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেছেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় এ মুহূর্তে আমরা ডাকসু’র (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ) কার্যক্রমের গতি কমিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি।’ সোমবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় ভিউজ বাংলাদেশকে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি জানান, ঢাবি শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মর্মাহত।

তিনি বলেন, ‘শাহরিয়ার আলম সাম্যর হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ডিএমপিকে চাপ দিচ্ছি, আশা করছি শিগগির আমরা ফল পাবো।’

এ সময় তিনি জানান, আজ একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা তথা কবি সুফিয়া কামাল হল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব হলের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা আলোচনায় এসেছে।

সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর ডাকসু বানচাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ডাকসু অবশ্যই আমাদের মনোযোগের বিষয়। আমরা সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছিলাম। সাম্য খুন হওয়ার পরের দিন বুধবার একটি সভা হওয়ার কথা ছিল। সেখানে ডাকসুর গঠনতন্ত্র ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল; কিন্তু সেটা আর পরে সম্ভব হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ডাকসুর গঠনতন্ত্র ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে একটা প্ল্যান করেছিলাম এবং সেই প্ল্যান অনুযায়ী আমরা আগাচ্ছিলাম কিন্তু এই মুহূর্তে সেই কাজ কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।’

ঠিক কি কারণে এখনো নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়নি সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার যখন শেষ পরামর্শ সভা করছিলাম তখন অনেক গুলো বিষয় উঠে এসেছে। আমাদের বুধবার একটা মিটিং হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু সাম্য খুন হলো মঙ্গলবার রাতে, যার কারণে আমরা আর বসতে পারিনি। নির্বাচন কমিশন গঠন করা বাহিরে থেকে যতটা সহজ মনে হয় ঠিক ততটা সহজ নয়। একজন নির্বাচন কমিশনারকে মোটামুটি অভিজ্ঞ হতে হবে। আমরা তো একজন লেকচারারকে নির্বাচন কমিশনার বানাতে পারি না। সকল রাজনৈতিক দল ও মতাদর্শের মানুষের কাছে তাকে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।’

সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাদের যাদের দায়িত্ব পাওয়ার কথা তারা দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন।

ডাকসুর কমিটি নিয়ে প্রো ভিসি বলেন, ‘আমাদের তিনটি কমিটি হয়েছে। এগুলো হলো- ছয় সদস্য বিশিষ্ট পরামর্শ কমিটি (প্রধান প্রো ভিসি প্রশাসন), সাত সদস্যবিশিষ্ট আচরণবিধি প্রণয়ন বা সংশোধন কমিটি (প্রধান প্রো-ভিসি শিক্ষা) এবং গঠনতন্ত্র সংশোধন বা পরিমার্জন কমিটি (আইন অনুষদ ডিন)। এই তিন কমিটির প্রথম ধাপের কার্যক্রম শেষ করে আমার দ্বিতীয় ধাপে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনি এমন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটে গেল।’

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ