প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন রেফাত আহমেদ
দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
রবিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বঙ্গভবনে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে শনিবার (১০ আগস্ট) পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়ি-ঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিগণকে শারীরিক হেনস্থা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজ কোর্ট ও রেকর্ড রুম রক্ষার স্বার্থে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
এরপর বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ষ্ট্রপতির আদেশে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এবং প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদের ছেলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে ডিগ্রী অর্জন করেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরে যুক্তরাজ্য থেকে বিএ ও এম এ ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি ডিগ্রীও লাভ করেন এই বিচারপতি।
১৯৫৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতে, ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
এরপর ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি এবং দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, ভারত, পাকিস্তান, আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল সহ পৃথিবীর বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে