জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়া উপকূলে জিম্মি অবস্থায় থাকা এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের মুক্ত করতে জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর পাড়ে ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় তিনি এ বিষয়ে কথা জানান।
সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, নাবিক ও জাহাজের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে? এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমুখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারের কোনো অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেক দুর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভবপর হবে।”
গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল জাহাজটি। জিম্মি ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।
অস্ত্রের মুখে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। সেখানে পৌঁছানোর পর বার বার জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করা হয়। ছিনতাইয়ের নয় দিনের মাথায় জলদস্যুদের সাথে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় জাহাজের মালিকপক্ষের।
হাছান মাহমুদ বলেন, “সেই জাহাজের আশেপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের উপর নানামুখী চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকরি করে, ঈদের আগে পরে হিসাব করে তাদের কোনো ছুটি হয় না। তারা যায় ছয়মাস কিংবা একবছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হত, তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সাথে মিলিত হবার কথা ছিল না।”
এদিকে জাহাজে দস্যুদের হামলার খবর পেয়ে আবদুল্লাহকে অনুসরণ করেছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার যুদ্ধজাহাজ। কিন্তু নাবিকরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি থাকায় অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও কোন রকম অভিযানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বাহিনীকে সম্মতি দেয়া হয়নি। জাহাজের মালিকপক্ষ বারবার জানায় অতীতের মত এবারও তারা মুক্তিপণ দিয়ে নাবিক ও জাহাজটি মুক্ত করতে চায়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে