Views Bangladesh Logo

তারেক রহমানকে জনতা তাদের হৃদয়ে নায়ক হিসেবে স্থান দিয়েছেন

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেশের ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জাতির প্রয়োজনে বিএনপির আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। এর মাধ্যমে তখন গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হয়। বিএনপি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা ও অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য অনুধাবন করতে হলে দল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাক হানাদার বাহিনী নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আত্মরক্ষার জন্য ছোটাছুটি শুরু করে। ওই সময়ে জাতির সামনে কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা তাদের কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না। এই অবস্থায় জাতি কিংকর্তব্যবিমূঢ়।

এমন প্রেক্ষাপটে ২৭ মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে জাতির সামনে হাজির হন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। নিজেও ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। তার আকস্মিক ডাকে মানুষও নির্দেশনা পায়। জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় বাংলাদেশ। প্রবাসী সরকারের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। কর্মজীবনে ফিরে যান রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তৎকালীন সরকার তাকে বীরউত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

১৯৭৩ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের চরম ব্যর্থতা ও গুরুতর অনিয়ম সবার মুখে মুখে ছিল। জনগণের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ হয় শেখ মুজিব সরকার। ব্যাংক ডাকাতি, রাহাজানিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। বিদেশ থেকে আসা পুনর্বাসনের রিলিফও লুটপাট হয়। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রশাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনেন। তিনি সংসদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ এবং চারটি ছাড়া সব পত্রিকাও বন্ধ করা হয়।

২৫ জানুয়ারির পর দৃশ্যত আর কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব ছিল না। কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ মোজাফফর একদলীয় শাসনব্যবস্থার সমর্থনে বাকশালে যোগ দেয়। সরকারি কর্মচারী, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ সবাইকে বাকশালের সদস্য হতে বাধ্য করা হয়।

এই অবস্থায় ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়। ঘটে গেল রাজনৈতিক পটপরিবর্তন। এই ইতিহাস কারও কাছে মর্মান্তিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। গণতন্ত্রে বিশ্বাসীদের কাছে কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ সেনা অভ্যুত্থান করলেন। বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম রাষ্ট্রপতি হলেন। নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা দিলেন খালেদ মোশাররফ। জিয়াউর রহমানকে তার বাড়িতে বন্দি করলেন। ৬ নভেম্বর থেকে ঢাকা শহরে সিপাহিরা রাস্তায় নামল, সঙ্গে জনগণ। ক্যু-পাল্টা ক্যুর মধ্য দিয়ে ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান সফল হয়।

জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান ও চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হলেন। বিচারপতি সায়েম রাষ্ট্রপতিই থাকলেন। বছরখানেক পর হ্যাঁ-না ভোট। তার পর জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। নিবন্ধনের মাধ্যমে সবাইকে রাজনীতির সুযোগ দিলেন। যারা গোপনে ছিলেন তারাও প্রকাশ্যে এলেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হলো। জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি ও আওয়ামী লীগের পক্ষে জেনারেল এম এ জি ওসমানী রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হলেন। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, মুসলিম লীগ, লেবার পার্টি, ইউনাইটেড পিপলস পার্টির সমন্বয়ে গঠন হয় জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট। পূর্ববর্তী সরকারের শাসনব্যবস্থা বহাল রেখে জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি হলেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তিনি জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টকে একত্রিত করে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠন করেন।

১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ উন্মুক্ত আকাশের নিচে রমনার বটমূলের সামনে একটি ছোট টেবিল আর গোটা সাতেক চেয়ার ছিল, সামনে কিছু সাংবাদিক। এই সংবাদ সম্মেলন সফল করতে আমি (গয়েশ্বর চন্দ্র রায়) ও বরকতউল্লাহ বুলু (বর্তমানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান) ছিলাম।

এই সংবাদ সম্মেলনের জন্য কোনো প্যান্ডেল ছিল না। বিকাল ৫টায় জিয়াউর রহমান এলেন। সবার সঙ্গে হাত মেলালেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১০ মিনিটে তার রাজনৈতিক লক্ষ্য ঘোষণা করলেন।

বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে একটি দল গঠনেরও প্রয়োজন ছিল। জিয়াউর রহমান সেই কাজটি করলেন। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবন্ধ করলেন। সর্বস্তরে গণতন্ত্রচর্চা শুরু করেন তিনি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রকে গুরুত্ব দিয়েছেন, দল গঠনের ব্যাপারেও গণতন্ত্রকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে কাউকে একাধিক পদে অধিষ্ঠিত হতে দেননি। সংসদ সদস্যদের অধিকাংশ থানা ও জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি। গ্রাম থেকে জেলা কমিটি পর্যন্ত গণতান্ত্রিক উপায়ে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তার পর রাষ্ট্রের উন্নতি ও অর্থনৈতিক বিকাশে তার হাতেই ঘটে গার্মেন্টশিল্পের সূচনা, শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, স্বপ্ন বুনালেন দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশীদের সংস্থা সার্কের, জনশক্তি রপ্তানির শুরু সূচনা। জিয়াউর রহমান কোনো ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিলেন না। দেশ গঠনে নারী-পুরুষ সবার হাতকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে সবকিছু শুরু করেছিলেন, হয়তো পরিপূর্ণতা দিতে পারেননি। জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম ও সততা নিয়ে তার চরম শত্রুরাও প্রশ্ন তুলতে পারেনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দেশের বাইরে থাকা অবস্থায়ই ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। জিয়াউর রহমান ১৭ মে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। এর কয়েক দিনের মাথায় ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে শাহাদতবরণ করেন জিয়াউর রহমান।

এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকাসহ সারা দেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সব রাজনৈতিক দলের নেতারা বঙ্গভবনে ছুটে যান, প্রতিবাদ করেন। যে উদ্দেশ্যে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়, তা ব্যর্থ হয়। ষড়যন্ত্র সফল না হওয়ার পেছনে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের অবদান ছিল। তখন শূন্যতা পূরণে নতুনভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়ে। তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব চালাচ্ছিলেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হয়। তখন আওয়ামী লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ প্রার্থী করলেন ড. কামাল হোসেনকে। বিএনপির প্রার্থী হলেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। জিয়াউর রহমান যত ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তার চেয়ে অধিক ভোটে সাত্তার নির্বাচিত হন।

বলে রাখা ভালো, জিয়াউর রহমান সরকারের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দু-একদিন খালেদা জিয়াকে দেখেছিলাম। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদতের পর আমাদের মধ্যে কেউ কেউ তখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। যদিও পরে আলোচনার মাধ্যমে আর এগোয়নি। কিছুদিন পর তিনি দলের সদস্য হলেন। তার পর ভাইস চেয়ারম্যান। এসব কোনো কিছুই নিজের ইচ্ছায় হননি। দলের ঐক্য ও নেতৃত্ব ঠিক রাখার জন্য আমাদের আহ্বানে খালেদা জিয়া সাড়া দিলেন শুধু। তিনি আসার পর তরুণ, যুব ও ছাত্ররা প্রাণ পায়। দলে গতি আসে।

৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাকে বলতে হয়, এখনো আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আছি। কারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হলেও মাঝপথে ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কর্তৃক গণতন্ত্র হোঁচট খায়। এর পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তরুণ, যুব ও ছাত্ররা রাজপথে নেমেছেন। তার দীর্ঘ পথ চলায় সাহসিকতা ও আপসহীনতা তরুণ সমাজকে আকৃষ্ট করেছে। যে কারণে এত ষড়যন্ত্র ও অভাব-অনটনের মধ্যেও আন্দোলনে আমরা পিছিয়ে পড়িনি।

বিএনপি দলটা যেন এক ধরনের বাগান। বাগান পরিচর্যা করা কঠিন। বাগানে নানা রঙের ফুল। এর মধ্যে জঙ্গল থাকে, সেটা পরিষ্কার করতে হয়। এক গাছ থাকলে আরেকটি গাছ হয় না, এমনো আছে। বিএনপিতেও নানা চিন্তা ও শ্রেণির লোক আছে। এখনো বাম ও ডান চিন্তার লোক আছে। এসব কিছুর মধ্যে নেতৃত্ব দিয়ে সবাইকে একসঙ্গে রেখেছেন খালেদা জিয়া। এটা বিএনপির জন্য আশীর্বাদ। দূরদর্শী নেতৃত্বের মধ্যে সবাইকে গুছিয়ে রেখেছেন। যার কারণে বিএনপির অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়নি।

’৯১ সালে ক্ষমতায় এসে মৌলিক পরিবর্তন আনলেন খালেদা জিয়া। রাষ্ট্রপতিব্যবস্থা থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে এনে গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করলেন। চারদিকে তার প্রশংসা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০০১ সালে ভূমিধস বিজয় লাভ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার গঠন করে।

এখানে বলে রাখা ভালোÑ এই বিজয়ের নেপথ্যে কাজ করেন বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে থেকেই একাডেমিক ওয়ার্ক, নানা হিসাব-নিকাশ ও কারিগরি ভাবনা দলের কাজকে সহজ করে দেয়। সেই বিবেচনা থেকে তারেক রহমান তরুণ বয়সেই রাজনীতিতে এসেছেন। তার আগেও পর্দার অন্তরালে রাজনৈতিক কার্যক্রম করেছেন। তারেক রহমান তার কর্ম দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন। বাবা জিয়াউর রহমানের মতো মাঠেঘাটে, পথে-প্রান্তরে ছুটে চলতে থাকেন। দলেও ফিরিয়ে আনেন গণতন্ত্রচর্চা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর মেয়াদ পূরণ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাসমর্থিত একটি সরকার গঠন করা হয়। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অবস্থায় তারেক রহমানের ওপর চরম নির্যাতন চালানো হয়। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া হয়। দেশি-বিদেশি চাপে বছরখানেক পর উন্নত চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয় সরকার। সেই থেকে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং একমাত্র কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে যুক্তরাজ্যেই অবস্থান করছেন। সেখানে থাকা অবস্থায় দলীয় কাউন্সিলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তারেক রহমান। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় সাজা দিয়ে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়।

জিয়াউর রহমানের আদর্শ, খালেদা জিয়ার দেখানো পথে সবার মতামতের ভিত্তিতে দল পরিচালনা করেন তারেক রহমান। বিএনপিকে ধ্বংস করতে ভিত্তিহীন মামলায় খালেদা জিয়াসহ দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে সাজা দেয়া, গুম, খুন করা, ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১ লাখ ৪৫ হাজার মামলা, নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে; কিন্তু তারেক রহমানের সঠিক নেতৃত্বের কারণে নানা ষড়যন্ত্রের মাঝেও বিএনপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল এখন। শুধু তা-ই নয়; সবশেষ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তার নেপথ্যের ভূমিকা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখার অন্যতম কারিগর ছিলেন তারেক রহমান। তার কথায় দলের বহু নেতাকর্মী এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। বহু নেতাকর্মী পঙ্গুত্ববরণ করছেন।

আজ শেখ হাসিনার চরম স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী আওয়ামী লীগ নামের দল ও দলটির নেতাকর্মীদের রাজনীতি ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছেন। স্বৈরাচার এরশাদের চেয়েও ভয়ংকর শাসক হিসেবে দেশে-বিদেশে শেখ হাসিনার নাম ঘৃণাভরে উচ্চারণ করছে মানুষ। অন্যদিকে ’৭১-এ জিয়াউর রহমান, ’৯০-এ বেগম খালেদা জিয়ার মতো ২০২৪-এ তারেক রহমানকে জনতা নায়ক হিসেবে তাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : রাজনীতিবিদ, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ