মানুষের ভোট দেয়ার অধিকার যে কোনো উপায়ে থাকতেই হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি যেটা বুঝি গণতন্ত্র মানে মত প্রকাশ বা অধিকার প্রয়োগ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বে যেটা গ্রহণযোগ্য সেটা হচ্ছে ভোটের মাধ্যমে মানুষ তার মতামত প্রকাশ করে থাকে। স্বাভাবিকভাবে মানুষের ভোট দেয়ার অধিকার যে কোনো উপায়ে থাকতেই হবে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর মিন্টু রোডে আবু সাইদ কনভেনশন সেন্টারে ‘যার গল্প আমাদের দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, আমরা দেখেছি যখন দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার সময় এসেছে, দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার সময় এসেছে, সেই সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে আসার জন্য মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন। একজন সৈনিক হিসেবে তিনি সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করেছেন। আল্লাহর রহমতে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি বিশ্বাস করি যেহেতু তিনি ( জিয়াউর রহমান) সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ছিলেন, আগামীতে যারা সশস্ত্র বাহিনীতে আসবেন; দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, দেশের মাটিকে রক্ষা করার শপথ নিয়ে যারা আসবেন তাদেরকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের কাজগুলো উজ্জীবিত করবে, সাহসী করবে।
জিয়াউর রহমানের জীবনাদর্শ তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, 'আমরা দেখেছি তিনি যখন রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ শুরু করলেন, তিনি কিন্তু ঢাকার মধ্যে বসে থাকেননি। একজন রাজনীতিবিদের কাজ হচ্ছে দেশের মানুষকে সহযোগিতা করা, মানুষের কাছে তিনি ছুটে গিয়েছেন। মানুষের সাথে কথা বলেছেন, মানুষের সমস্যা জানতে চেয়েছেন, সেভাবেই তিনি সমস্যা সমাধান করেছেন।
সকল পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি পরিচয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন বলেই তার দল বিএনপি সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা নিয়ে টিকে আছে।
দেশে শিল্পের প্রসারে জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং গার্মেন্টস শিল্প প্রসার করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছিলেন জিয়াউর রহমান। সৈনিক, রাজনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রপ্রধান-সব পরিচয়েই সফল হয়েছিলেন তিনি।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র মানে মতপ্রকাশ বা অধিকার প্রয়োগ। ভোটের মাধ্যমে মানুষ সেটা প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশে বিভিন্ন দলের আদর্শের মধ্যে পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে যে কোনো মূল্যে কথা বলার অধিকার থাকতে হবে। এ বিষয়ে দলমত নির্বিশেষে ঐকমত্য থাকতে হবে। সেইসঙ্গে মানুষের ভোটদানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই আমরা আগামী ১৫/২০ বছর গণতন্ত্র ধ্বংসের রাহু থেকে মুক্ত থাকব। পাশাপাশি স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশ আমরা ধীরে ধীরে গড়ে তুলতে পারব।
অনুষ্ঠানে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি যোগ দেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে উৎসর্গ করে একটি কবিতা পাঠ করেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে