নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ধন্যবাদ। সেই চ্যালেঞ্জে সফল হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকসহ যারা এ নির্বাচন অনুষ্ঠান সফল হওয়া নিয়ে সংশয়ে ছিলেন, তারা সবাই ইতোমধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে হওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনীতিতে যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছিল, তারও অবসান হলো।
আমাদের জাতীয় জীবনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একের পর এক বোমা হামলা আর রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বড় ধরনের হুমকির মধ্যে পড়েছিল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিপুল বিজয়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসে।
এরপর থেকে বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। এই ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে নতুন মাত্রায় অগ্রগতি আর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়েছে; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে চরম নেতিবাচক রাজনীতির মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেয়ার যে পথ বেছে নিয়েছিল বিএনপি, সেই পথ আজও ছাড়েনি। বিরোধী দলে থেকেও নাশকতা, আগুনসন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে বিএনপি বার বার ভুল রাজনীতির পথেই থেকেছে।
এবারও নির্বাচন বর্জন করে ভুলের ধারাবাহিকতাকে দীর্ঘায়িত করেছে। একই সঙ্গে সেই বিএনপি-জামায়াতের নেতিবাচক রাজনীতির অভিজ্ঞতায় সেই পুরোনো আশঙ্কাও থেকেই গেছে। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির নির্বাচন বর্জন এবং প্রতিহত করার ঘোষণা কিছুটা আশঙ্কার সৃষ্টি করেছিল; কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশন দক্ষতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে সেই আশঙ্কাকে পরাভূত করে সফল নির্বাচন উপহার দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে, দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।
এখন নির্বাচনে বিজয়ী দলের সরকার নতুন উদ্যমে বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে–সেটাই প্রত্যাশা। নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করল। এর আগে ১৯৯৬ সালেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করেছিল।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন দেশের মানচিত্র পেয়েছিলাম। আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে এগিয়ে গেছে, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। গত ১৫ বছর তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। এবার স্মার্ট বাংলাদেশের পথে সফলতার নতুন অধ্যায়ের পথে যাত্রা শুরু হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে