জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে, তাদের শাস্তির আওতায় আনুন
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ভবনে (গ্রিন কোজি কটেজ) মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ফলে প্রায় অর্ধশত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের এই মর্মান্তিক ঘটনা দেশের প্রতিটি বিবেকবান মানুষকে মর্মাহত করেছে, করেছে ব্যথিত। এ ধরনের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অবশ্য এটা ঠিক যে, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং জনবহুল রাজধানী ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নতুন কিছু নয়। মাঝে মাঝেই আমাদের এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হতে হচ্ছে। কোনো স্থানে অগ্নিকাণ্ডে বা এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কিছু দিন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে হই চই হয়। গঠিত হয় এক বা একাধিক তদন্ত কমিটি। এরপর এক সময় দুর্ঘটনার বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। হয়তো আরও কোনো দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে আগের দুর্ঘটনার স্মৃতি আমাদের মন থেকে মুছে দেয়।
এভাবেই চলছে বছরের পর বছর; কিন্তু অগ্নি বা এ ধরনের অন্যান্য দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আমরা কখনোই সেভাবে সচেতন হই না। ফলে বিভিন্ন সময় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে অনেকটা প্রতিকারহীনভাবে। দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়তই জান-মালের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা সেই ক্ষতি অনেকটাই প্রতিবাদহীনভাবে মেনে নিচ্ছি। অথচ আমরা যদি পূর্ব থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করতাম তাহলে অগ্নি দুর্ঘটনার মতো কোনো কোনো দুর্ঘটনার মাত্রা কমাতে পারতাম। দুর্ঘটনা ঘটলেও তার ক্ষতির পরিমাণ অন্তত সহনীয় পর্যায়ে সীমিত রাখতে পারতাম। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি, দুর্ঘটনার ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলা গেলে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যেত।
দেশে অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিশেষ করে কোনো বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হলে তার প্রভাব অত্যন্ত বেশি হয়। এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও তুলনামূলকভাবে অন্য যে কোনো দুর্ঘটনার চেয়ে বেশি হয়। রাজধানীতে শুধু যে বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে তা নয় অনেক সময় আবাসিক ভবনেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এসব অগ্নিকাণ্ডে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যে কোনো অগ্নিকাণ্ডের একাধিক কারণ থাকতে পারে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি), ২০২০ অনুসরণ করে একটি ভবন নির্মিত হয়েছে কি না, তার ওপর দুর্ঘটনা সংঘটিত হবার ব্যাপারটি অনেকটাই নির্ভর করে। ভবন নির্মাণকালে সঠিকভাবে অগ্নি নিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, সেটা দেখার বিষয় বটে।
প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক জানা গেছে, বেইলি রোডের যে বিল্ডিং এর সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটে তার উৎপত্তিস্থল ছিল নিচ তলা। অর্থাৎ ভবনটির নিচ তলা থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল। সেখান থেকে আগুনের শিখা ওপরের দিকে উঠে যায়। নিচ তলায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হবার পর সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে অগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা সেই কাজে ব্যর্থ হয়। কারণ ভবনের সিঁড়িতে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে সেসব সিলিন্ডার থেকে গ্যাস নির্গত হয় এবং আগুনের ভয়াবহতা অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়। এই ভবন থেকে সংকটকালে জরুরি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। জরুরি নির্গমনের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক সিঁড়ি না থাকার কারণে আগুন লাগার পর অনেকেই নিচে নেমে আসতে পারেনি। বিকল্প পথে নিচে নামার জন্য সিঁড়ির ব্যবস্থা থাকলে এতগুলো মানুষ হয়তো মারা নাও যেতে পারতো।
যে বা যারা (প্রকৌশলী) এই ভবনের ডিজাইন করেছেন তারা নিশ্চয়ই বিএনবিসি মেনেই ডিজাইন করেছেন। তাতে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি এড়ানোর জন্য নিশ্চয়ই ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এখন প্রশ্ন হলো, ডিজাইন তৈরি করার পর যখন ভবনটি নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয় তখন কি অনুমোদিত ডিজাইন হুবহু মেনে নির্মাণ কাজ করা হয়েছে? এখানে ব্যত্যয় ঘটতে পারে। ভবনে একাধিক রেস্টুরেন্ট ছিল। এসব রেস্টুরেন্টে সব সময় রান্নার কাজ করা হতো। রান্নার কাজে গ্যাস ব্যবহার করা হতো। অগ্নিকাণ্ডের সময় এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। যখন কোনো ভবনে রেস্টুরেন্টের মতো স্থাপনা থাকবে তখন সেই ভবনের জন্য বাড়তি অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা রাখতে হয়। কিন্তু এই ভবনে সম্ভবত তা ছিল না। একই সঙ্গে ভবনে যদি বাড়তি সিঁড়ি থাকত তাহলে অনেকেই ওপর তলা থেকে দ্রুত নিচে নেমে আসতে পারত।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভবন নির্মাণকালে অগ্নি নিরোধক ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়। ফলে কোনো সময় ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলেও তাতে বেশি ক্ষতি হয় না। বাংলাদেশ অগ্নিকাণ্ডের উচ্চ মাত্রার ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও ভবন নির্মাণকালে অগ্নি নিরোধক ম্যাটেরিলায় ব্যবহার করা হয় না। অনেকেই সামান্য বাড়তি ব্যয় সাশ্রয় করার জন্য সাধারণ ম্যাটেরিয়াল দিয়ে ভবন নির্মাণ করে থাকেন। তারা একবারও ভাবেন না যে সাধারণ ম্যাটেরিয়াল ব্যবহারের মাধ্যমে কিছু অর্থ বাঁচানো গেলেও এতে বিপদের ঝুঁকি থেকে যায়। যারা অগ্নি নিরোধক কাজে নিয়োজিত আছেন, যেমন ফায়ার ব্রিগেড তাদের জনবল বাড়ানোসহ উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে কোনো ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে তারা অতি দ্রুত সেখানে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করতে পারে। ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যরা অতি দ্রুত অগ্নি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছুতে পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই সীমিত রাখা সম্ভব হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ঢাকা শহরের রাস্তাগুলো অত্যন্ত সংকীর্ণ। বিশেষ করে পুরোনো ঢাকার রাস্তাগুলো খুবই সংকীর্ণ। ফলে এসব স্থানে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হলে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছুতে পারে না। যে দূরত্বটুকু পেরোনোর জন্য হয়তো ৩০ মিনিট সময় প্রয়োজন তা অতিক্রম করতে ১ ঘণ্টা দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। এতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।
রাজধানী ঢাকার অগ্নিকাণ্ডে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আরও একটি জটিল সমস্যা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি প্রাপ্তির সমস্যা। রাজধানীর জলাধারগুলো অপরিকল্পিতভাবে ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে রাজধানীতে চাইলেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যায় না। পানির অভাবে অনেক সময় ফায়ার ব্রিগেডের লোকদের পক্ষে প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। ফলে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছুলেও তারা পানির অভাবে আগুন নেভানোর কাজ সঠিকভাবে শুরু করতে পারেন না।
কোনো ভবনে আগুন লাগলে কীভাবে দ্রুত ভবন থেকে বেরিয়ে আসা যায় কীভাবে এলার্ম বাজাতে হবে এসব বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য মাঝে মাঝেই বাস্তব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কোনো ভবনে অগ্নিকাণ্ডে সূত্রপাত হলে আতঙ্কিত না হয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বিকল্প পথে ভবন থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য আগে থেকেই প্রতিটি ভবন, বিশেষ করে বহুতল ভবনে একাধিক বিকল্প সিঁড়ির ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভবন নির্মাণকালেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সবাই চাইলেই সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত এবং নিরাপদে নিচে নামতে পারেন না। তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ ব্যাপারে দক্ষ করে তুলতে হবে। অনেকেই মনে করেন, আমাদের ভবনে তো আর আগুন লাগছে না তাহলে সচেতনতার দরকার কি? কিন্তু মনে রাখতে হবে, বিপদ কখনো বলে কয়ে আসে না। বিপদ হঠাৎ করেই আসে। তাই সার্বক্ষণিক বিপদ মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমাদের দেশে দেখা যায়, কখনো অগ্নিকাণ্ড বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তা নিয়ে কিছুদিন বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক মাত্রায় হৈ চৈ হয়। তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হয় না। আর রিপোর্ট প্রকাশিত হলেই তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় খুব কম ক্ষেত্রেই। যত কিছুই করা হোক না কেন, দুর্ঘটনা ঘটে যাবার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কিছুই হবে না। তাই দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে। বা ঘটলেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, তার উদ্যোগ নিতে হবে।
যারা কোনো ভবনে বাস করেন তাদের দুর্ঘটনা সচেতন হতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, নির্মাণকালেই ভবনগুলো এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে তা দুর্ঘটনা সহনীয় হয়। কোনো ভাবেই সামান্য অর্থ বাঁচানোর জন্য নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে ভবন নির্মাণ করা যাবে না। দুর্ঘটনা সহনীয় উপকরণ দিয়ে যদি ভবন নির্মাণ করা যায় তাহলে দুর্ঘটনা ঘটলেও ক্ষতি হবে খুবই কম। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পূর্ব সতর্কতা হিসেবে ভবন নির্মাণের উপকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, যারা রাজধানীর ভবনগুলোর তদারকির দায়িত্বে আছেন তাদের নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তদারককারীরা যদি সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন তাহলে কারও পক্ষেই বিল্ডিং কোড উপেক্ষা করে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে ভবন তৈরি করা সম্ভব নয়। প্রতিটি ভবনের সামনে এবং আশপাশে বেশ কিছু স্থান খালি রাখতে হয়; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেকেই বিল্ডিং কোড উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণ করে নিজেদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেন। এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যদি বিল্ডিং কোড উপেক্ষা করে নিজেদের ইচ্ছে মতো ভবন তৈরি করে থাকেন, তাহলে সেসব ভবন সিলগালা করে দেয়া যেতে পারে। এমনকি প্রয়োজনে ভবনটি ভেঙে ফেলা যেতে পারে। কারও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য অন্য কারও জীবন বিপন্ন করে তোলা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। উন্নত দেশগুলোতে ভবন নির্মাণকালে বিল্ডিং কোড সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় বলেই সেখানে দুর্ঘটনার হার খুবই কম। হোটেল রেস্টুরেন্টের মতো প্রতিষ্ঠান স্থাপনের আগে দেখতে হবে সেখানে আশপাশে ফায়ার সার্ভিসের অফিস আছে কি না এবং গাড়ি চলাচলের ভালো ব্যবস্থা আছে কি না। কারণ হোটেলে রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এসব প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমোদন দানকালে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনুমোাদন ছাড়াই হোটেল রেস্টুরেন্টের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এ ধরনের প্রবণতা কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
রাজধানী শহর ঢাকার গুরুত্ব দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের এখনে কোনো স্থাপনা নির্মাণের পূর্বে অন্তত আগামী ৫০ বছরের সম্ভাব্য পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখা হয় সেই উদ্যোগ নিতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে রাস্তাঘাট এবং ভবন সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সঠিক করা হয়, যাতে এগুলো পরিবেশ সহনীয় এবং দুর্ঘটনামুক্ত থাকতে পারে। আগামীতে ঢাকা শহরে যেসব বিল্ডিং ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে, তা যেন পরিবেশবান্ধব এবং দুর্ঘটনা সহনীয় হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে।
আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তার চেয়েও বড় প্রয়োজন হলো কোনো আবাসিক ভবনে যেন হোটেল বা রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় চালানো না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আর কোনো কারণে যদি আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেয়া হয়, তাহলে প্রথমেই নিশ্চিত হতে হবে ভবনটি অগ্নি দুর্ঘটনা সহনীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে কি না। যারা বিল্ডিং কোড উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণ করছেন, তাদের দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে শাস্তির আওতায় আনা যেতে পারে। কাউকেই মানুষের জীবন ও সম্পদ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া যায় না। বেইলি রোডের অগ্নি দুর্ঘটনাই যেন শেষ দুর্ঘটনা হয়। আর কোনো অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটুক তা কেউই চায় না।
লেখক: সিনিয়র সহকারী ইঞ্জিনিয়ার, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও রিসার্চ ফেলো, ইউনিভার্সিটি অব কুইবেক, কানাডা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে