Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

ঘটনাপঞ্জি: কেএনএফের ব্যাংক ডাকাতি

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

দুই দিনে বান্দরবানের দুই উপজেলায় তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আর এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা বহু বছরের মধ্যে দেশে এই প্রথম। যা সারাদেশে সাড়া ফেলে। এখানে কেএনএফের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাপঞ্জি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো।

ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ৪ মামলা
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক থেকে অর্থ ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ৪টি মামলা হয়েছে। তার মধ্য রুমা থানায় ৩টি ও থানচি থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে এসব মামলা শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে কুকি-চিন জঙ্গিদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোঃ রায়হান কাজেমী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার আসামিরা অজ্ঞাত। সিসিটিভি ফুটেজ, আঙুলের ছাপ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

বান্দরবান যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার ৪ দিন পর বান্দরবানে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রুমা উপজেলা কমপ্লেক্স এবং ব্যাংক পরিদর্শন করবেন তিনি।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য, বান্দরবান জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার (এসপি)।

ব্যাংক পরিদর্শন শেষে বেলা সাড়ে ১২টায় বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বান্দরবানের রুমা উপজেলা কমপ্লেক্সের মসজিদ ঘেরাও করে ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায় এবং ব্যাংকে তাণ্ডব চালায় বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন কুকি-চিন (কেএনএফ)। পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) থানচি বাজার ঘেরাও করে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখা তছনছ করে এবং ব্যাংকের কাউন্টার ও উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়।

পরিবারের কাছে ফিরলেন সোনালী ব্যাংকের বাঞ্চ ম্যানেজার নিজাম
অপহরণের দুই দিন পর বান্দরবানের রুমার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র ্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র ্যাব)। পরে আজ (৫ এপ্রিল) নিজাম উদ্দিনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে র ্যাব সদর দপ্তরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বান্দরবানের বাথেলপাড়া এলাকা থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র ্যাব সদস্যরা।

এ ব্যাপারে ওই দিন বিকেলে নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী নাজমুল নাহার জানান, সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তাদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় খাগড়াছড়ির সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান।

খাগড়াছড়ির জেলা সদর ও উপজেলা সদরের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকরা জানান, ‘নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। তবে বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে সর্তক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।’

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের এজিএম সমর কান্তি ত্রিপুরা বলেন,‘ঘটনার পর ব্যাংকে ভার্চুয়ালি সভা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া আমাদের ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে।’

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক খাগড়াছড়ি শাখার ব্যবস্থাপক দেবাশীষ ত্রিপুরা বলেন, ‘আমাদের কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে যেহেতু জেলা শহরে আছি তাই নিরাপত্তা নিয়ে তেমন আশঙ্কা করছি না। কিন্তু সর্তক আছি। নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এখন দুইজন গানম্যান দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো সংকট আছে কি না তা জানতে চেয়েছে।’

ডাচ বাংলা ব্যাংক খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ব্যবস্থাপক মো.নুরুউদ্দিন চৌধুরী বলেন,‘সকাল থেকে একাধিকবার পুলিশ সদস্যরা ব্যাংক পরিদর্শন করেছে। সরকারিভাবেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। এছাড়া ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।’

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান,‘আমরা সবাইকে বার্তা দিয়েছি তারা যেন সর্তক থাকে। পুরো জেলায় পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া যতটুকু নিরাপত্তা দরকার ততটুকু নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান বলেন,‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোতে পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ‘কোর কমিটি’র মিটিংয়েও ব্যাংকের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে।

১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ পরিশোধে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার উদ্ধার
সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) দাবিকৃত ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ পরিশোধের মাধ্যমে রুমার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। র‌্যাবের মধ্যস্থতায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। পরে বৃহস্পতিবার তাকে ছেড়ে দিতে ১৫-২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসে বাজারের মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে সবাইকে জিম্মি করে রাখে। এ সময় তারা সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকাসহ ডিউটি পুলিশের ১০টি অস্ত্র ও আনসার বাহিনীর ৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সেইসঙ্গে যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।

থানচি বাজারকে ঘিরে রেখেছে কেএনএফ
ব্যাংক ডাকাতির সময় বান্দরবানের থানচি বাজার ঘিরে রাখে কেএনএফ। থানচি সোনালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির সময় গুলি চালায় এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা। সে সময় বাজারের বেশির ভাগ মানুষের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় তারা।

রুমায় ব্যাংকের ভল্ট সুরক্ষিত, খোয়া যায়নি টাকা: সিআইডি
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় ভল্ট সুরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত দল-সিআইডি।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার থেকে তদন্তে আসা সিআইডির এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সিআইডি চট্টগ্রাম রেঞ্জের কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ নেওয়াজ খালেদ জানান, কক্সবাজার থেকে ক্রাইম সিনের দুটি তদন্ত দল এসে ব্যাংকের সব আলামত সংগ্রহ করেছে। ভল্টের সব টাকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “এখানে ভল্টে রাখা হয় মোট ১ কোটি ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। সব টাকাই ভল্টে আছে। ভল্ট ভাঙ্গতে পারেনি। অক্ষতই আছে। একটা ভল্টে দুটো চাবি ছিল।”

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রুমা শাখার সোনালী ব্যাংকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে লুট করে। তারা কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পকেট ও ড্রয়ারে থাকা টাকা নিয়ে যায়। এ সময় শাখার ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বুধবার পর্যন্ত তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি।

এ ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে রুমা ব্যাংক লুটের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকেও লুটের ঘটনা ঘটে। থানচি শাখার কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার হ্লা সুই থোয়াই মারমা জানান, তার শাখা ব্যাংক থেকে মোট আড়াই লাখ টাকা খোয়া গেছে।

তাছাড়া সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে ১৫ লাখ খোয়া গেছে বলে জানিয়েছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন।

সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ১৪ ঘন্টায়ও মামলা হয়নি
বান্দরবানের রুমায় সোলালী ব্যাংকে ডাকাতি ও ১৪টি অস্ত্র লুটের ১৪ ঘন্টা পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বুধবার (৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাজাহান।

এদিকে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় রুমা মসজিদে তারাবি নামাজ পড়ার সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মসজিদের সবাইকে জিম্মি করে। সে সময় তারা সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার কে জানতে চায়। সবাই চুপ থাকলে এক পর্যায়ে ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে সনাক্ত করে। তারপরে তাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকের গেইট ভেঙ্গে অফিসে ঢুকে। এরপর অফিসের সরঞ্জামাদি নষ্ট করে ও ব্যাংক নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের মারধর করে। তারপর কার্তুজসহ মোট ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

এ বিষয়ে রুমা সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার উথোয়াইচিং মারমা জানান, ডরমিটরি বাইরে যুব উন্নয়ন অফিসের পাশে গিয়ে চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে মুখে কালি লাগানো অপরিচিত তিনজন লোক অস্ত্রের মুখে তাকে দাড় করায়। তার শরীর তল্লাশি চালিয়ে পকেটে থাকা ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ব্যাংকের চাবি নিয়ে নেয়।

তিনি আরও জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনী আসার পর ব্যাংকে গিয়ে দেখেন অফিস সরঞ্জামদি ছড়ানো ছিটানো রয়েছে। এছাড়া তার জানামতে ভল্টের ভেতর ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা জমা ছিল। ভল্টের দুইটি চাবির মধ্যে তার কাছে ১টি এবং অপহরণের শিকার ম্যানেজারের কাছে অপরটি থাকত। ভল্ট না খোলা পর্যন্ত টাকা লুটের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

এদিকে জেলার পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, পুলিশের ৮টি চায়না রাইফেল, ২টি এসএমজিসহ ১০টি অস্ত্র ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি,আনসারের ৪টা শর্টগান ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে সন্ত্রাসীরা। তবে কে বা কারা এটি করেছে তা ক্রাইমটিম আসলে ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তদন্ত করবে। এছাড়াও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশে এই কর্মকর্তা।

জেলাপ্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সোনালী ব্যাংকের ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ব্যাংকের ভল্ট চেক করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রাইমসিন টিম আসলেই বুঝা যাবে টাকা খোয়া গেছে কি না? ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ, ৱ্যাব, সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকে লুট, ম্যানেজার অপহরণ
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক শাখায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হানা দিয়ে নগদ অর্থ লুট করে নিয়েছে। তারা ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণও করে। এর পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাংলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার বাহিনীর ৪টি এবং ব্যাংকে নিয়োজিত পুলিশের ১০টি অস্ত্র নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে পুরো রুমা বাজার ও আশাপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, অপহৃতকে উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে গেছেন।

রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, কারা এই হামলা করেছে, এ ব্যাপারে আমরা যাচাই-বাছাই করছি। আর কত টাকা নিয়ে গেছে, সে ব্যাপারে ভল্ট পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আসছেন। তারপর ভল্টে ঢুকে সেটা দেখা হবে।

এদিকে বিষয়টি স্বীকার করে রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল হক রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।






মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ