নয় মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২১,৯৩০ কোটি টাকা
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার সাড়ে ৬৩ শতাংশ রাজস্ব আদায় হয়েছে। অন্যদিকে অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্য দেয়া হয়েছে, তার চেয়ে ২১ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা কম আদায় করতে পেরেছে এনবিআর।
প্রতিবছরের মতো এবারও অর্থবছরের শুরু থেকেই লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে পড়েছে এনবিআর। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেয়া ঋণের শর্ত হিসেবে এবার বাড়তি রাজস্ব আদায়ের শর্তও পূরণ করতে হবে সংস্থাটিকে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, রাজস্ব খাতে সংস্কারের পাশাপাশি প্রতি বছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ হারে বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই-মার্চ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৪ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় হয়েছে। এই সময়ে সংস্থাটির রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২ লাখ ৮১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। গত ৯ মাসে মাসওয়ারি হিসেবে গড়ে ২৮ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সব মিলিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেয়া হয়েছে এনবিআরকে।
এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আমদানি, ভ্যাট ও আয়কর-এই তিন খাতের মধ্যে কোনোটিতেই গত নয় মাসে লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি এনবিআর। এই তিন খাতের মধ্যে আমদানি খাতে রাজস্ব আদায়ে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে। এই খাতে নয় মাসে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। গত জুলাই-মার্চে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৮৩ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। এই সময়ে আদায় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা।
অন্যদিকে আয়কর খাতে নয় মাসে ৯৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার বিপরীতে ৮৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এই খাতে ঘাটতি ৮ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। ভ্যাট খাতে ঘাটতি ৪ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। ভ্যাট আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬৫০ কোটি টাকার। এই খাতে গত নয় মাসে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকা।
চাহিদা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে না পারলে বিভিন্ন খাতে সরকারের খরচ কমাতে হয়। খরচ কমানোর অংশ হিসেবে বরাদ্দ কমানো হয় উন্নয়ন প্রকল্পে। কারণ, বেতন-ভাতা, ঋণের কিস্তি পরিশোধ, ভর্তুকি-এসব খাতে সরকারের খরচ কমানোর সুযোগ নেই।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে