ইসরায়েল গণহত্যার অভিযোগে আইসিজের রায় মানতে কতটা বাধ্য?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসিদের হাতে ইহুদি নিধনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালে গণহত্যা কনভেনশন প্রণয়ন করা হয়। সেই কনভেনশন অনুযায়ী কোনো জাতিগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে পুরোপুরি অথবা আংশিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অভিপ্রায়ে ঘটানো কর্মকাণ্ডই গণহত্যা। আইসিজে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিলেও এই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় পেতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। এ আদালত যে রায় দেন, তার বিরুদ্ধে আপিল করার কোনো সুযোগ নেই। তবে ওই রায় মানতে বাধ্য করার ক্ষমতা নেই আদালতটির। যদিও ইসরায়েল গণহত্যা কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ হওয়ায় আইসিজের আদেশ মানার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আইসিজের আদেশ ঘোষণার সময় দ্য হেগে আদালতের বাইরে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ চলছিল। আদেশ ঘোষণার সময় বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলকে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছে, যদিও তারা যুদ্ধ বন্ধ করতে বলেনি। এর আগে, গত ২৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে মামলা করেছিল। ইসরায়েল অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়। নেদারল্যান্ডসের হেগে শুনানিতে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস আইসিজের বিচারক এই মামলায় প্রথমবারের মতো কোনো নির্দেশ জারি করল; কিন্তু মূল যে অভিযোগ–‘গণহত্যা’, সেটির রায় আসতে দীর্ঘসময় এমনকি কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে।
যদিও আদালত ইসরায়েলকে দক্ষিণ আফ্রিকার দাবি অনুযায়ী গাজায় সামরিক তৎপরতা বন্ধ করতে বলেনি, তারপরও আদালতের এই আদেশ যারা এ মামলার পক্ষে ছিল তাদের জন্য বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এক বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আর ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেন, এই রায় প্রমাণ করে কোনো রাষ্ট্রই আইনের ঊর্ধ্বে নয়; কিন্তু এটিকে দক্ষিণ আফ্রিকা বা ফিলিস্তিনিদের জন্য সম্পূর্ণ বিজয় বলা যায় না। কারণ প্রশ্ন উঠছে ইসরায়েল আদালতের এ আদেশ মানবে তো?
জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত গাজার পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বিপর্যয়মূলক বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। আইসিজে দেখতে পায় যে এটি বিচারের আওতায় পড়ে এবং মনে করে যে সম্ভবত ১৯৪৮ সালের জেনেভা কনভেনশন মানা হয়নি, যাতে করে গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণ অপূরণীয় ক্ষতির হুমকির মধ্যে আছে। ফলে আদালত ইসরায়েলের কাছে বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে, যার বেশিরভাগই আসলে দক্ষিণ আফ্রিকা যে নয়টি সাময়িক পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়েছিল, তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আদালত ১৭ জন বিচারকের মধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আদেশ দেয় যে, ইসরায়েল প্রশাসনকে ফিলিস্তিনিদের হত্যা, তাদের মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক আঘাত, গাজার বসবাসের অযোগ্য পরিবেশ অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনিদের জন্মগ্রহণে বাধা দেয়া, এসব কিছু এড়ানোর জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করতে হবে।
একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে বলা হয় জনগণকে গণহত্যায় প্ররোচনা দেয়া ঠেকাতে ও শাস্তির আওতায় আনতে ইসরায়েলের আরও বেশি চেষ্টা করা উচিত। এ ছাড়া গাজার মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। অস্ত্রবিরতির কথা উল্লেখ না থাকলেও, যেসব দাবি দাওয়া ইসরায়েলের কাছে তোলা হয়েছে, সেগুলো যদি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে গাজায় চলমান ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।
যদিও ইসরায়েল বরাবরের মতোই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে, বরং তাদের যুক্তি যে ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলার জন্য হামাসই দায়ী। তারা বলছে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ শহর ও শরণার্থী শিবিরের ভেতর ও নিচে ঢুকে হামাস তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, ফলে ইসরায়েলের পক্ষে বেসামরিক লোকদের হত্যা এড়ানো একরকম অসম্ভব করে দিয়েছে। তাদের দাবি সাধারণ লোকদের সতর্ক করে দিতে ও ঝুঁকি এড়াতে তারা যা-যা করার সবই করছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরাসরি আদালতের এই রায়ের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইসরায়েলের অগাধ শ্রদ্ধা আছে, একই সঙ্গে আমাদের নিজেদের মাতৃভূমি রক্ষার ব্যাপারেও আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ইসরায়েলের ইহুদি নাগরিকদের মধ্যে একটা বিশ্বাস সর্বজনীন যে, তাদের সেনাবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক বাহিনী; কিন্তু গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলিদের সামরিক অভিযানের ফলে গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর মধ্যে ৮৫ শতাংশই এখন বাস্তুচ্যুত। যারা যুদ্ধ থেকে পালিয়েছে, তারা আশ্রয় নিয়েছে জরাজীর্ণ, উপচেপড়া আশ্রয় কেন্দ্রে, যেখানে তেমন কোনো স্বাস্থ্যসেবা বা মানবিক সাহায্য নেই বললেই চলে। আইসিজের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের জোয়ান ডনোঘেউ তার বক্তব্য শুরু করতেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে, গাজার জরুরি অবস্থা আদালত সবচেয়ে বেশি আমলে নিয়েছেন এবং ইসরায়েলের মামলা খারিজ করে দেয়ার চেষ্টা সফল হয়নি। জোয়ান ডনোঘেউ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিরা যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তার একটা সারাংশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন বিশেষ করে শিশুদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি হৃদয়বিদারক। তবে গণহত্যার ব্যাপারে এটিই আদালতের চূড়ান্ত রায় নয়, সে রায় আসতে সামনে কয়েক বছরও লেগে যাতে পারে।
কিন্তু যেসব পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো মূলত গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের সুরক্ষার কথা ভেবে করা হয়েছে, একই সঙ্গে বিচারকরা দক্ষিণ আফ্রিকার মূল যে অভিযোগ সেটা নিয়েও কাজ করবেন। আদালত বলেছেন, ইসরায়েল কী কী ব্যবস্থা নিল সেটা এক মাসের মধ্যে তাদের জানাতে হবে। এখন ইসরায়েলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আইসিজের রায়ের আইনি বাধ্যবাধকতা আছে; কিন্তু সেটা প্রয়োগে বাধ্য করার কোনো ক্ষমতা নেই তাদের। ইসরায়েল চাইলে বিচারকদের অবজ্ঞাও করতে পারে। ইসরায়েল পাল্টা যুক্তি দেখাতে পারে যে, তারা আদালতের চাহিদা পূরণে এরই মধ্যে কাজ করছে; কিন্তু যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়–যেটির এখনো কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, তারপরও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগটি থেকেই যায়, যে মামলার ব্যাপারে আইসিজে মনে করে এটির বিশ্বাসযোগ্যতা আছে এবং আরেকটু বিশ্লেষণ করে দেখা যায়।
ইসরায়েল-যে রাষ্ট্রটিই শূন্য থেকে সৃষ্টি এবং যেখানে গণহত্যার জঘন্যতম উদাহরণ আছে, তাদেরই এখন আদালত রায় না দেয়া পর্যন্ত আইনি ছায়ার নিচেই থাকতে হচ্ছে। গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ২৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতের বেশিরভাগই হলো নারী ও শিশু। এ ছাড়া, আহত মানুষের সংখ্যা সহস্রাধিক। এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ইসরায়েলের ওপর হামাসের অতর্কিত আক্রমণের পর। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল। তাদের প্রায় সবাই ছিল বেসামরিক নাগরিক। হামলাকারীরা সেদিন প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।
ফিলিস্তিনকে জোরালোভাবে সমর্থন করে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা আদালতের কাছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়টি বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছিল। যার মাঝে ছিল, গাজায় সামরিক তৎপরতা বন্ধ করা, যেটিকে গণহত্যা বলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায় ইসরায়েল কতটা মেনে চলবে সেটি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় থাকলেও এটি তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের ওপরও নৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এটি একটি আগ্রহোদ্দীপক রায়। কারণ, বিচারকরা দক্ষিণ আফ্রিকার বেশির ভাগ যুক্তির সঙ্গে একমত হয়েছেন। তারা সম্মত হয়েছেন, এই মামলার বিচার করার এখতিয়ার তাদের রয়েছে, তাই তারা বিচার করছেন। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগের মধ্যে কিছু বিষয় অবশ্যই গণহত্যা সনদের সংজ্ঞার মধ্যে পড়েছে বলেও আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন।
তবে অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়টি অন্তর্বর্তী আদেশে না থাকাটা দক্ষিণ আফ্রিকাকে আশাহত করবে। যদিও কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ইসরায়েলকে অবশ্যই নিতে হবে। এক মাসের মধ্যে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে ইসরায়েলকে আইসিজেতে হাজির হতে হবে। আদেশে বলা হয়েছে, গণহত্যার মধ্যে পড়তে পারে এমন কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ইসরায়েলকে তার ক্ষমতার মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনি বিশেষজ্ঞদের এখন এর ওপর নজর দিতে হবে। কারণ, গণহত্যা সনদ অনুযায়ী অধিকার সুরক্ষিত গোষ্ঠীর আওতায় পড়ে এমন লোকজনের প্রাণহানী ঠেকানোর বিষয়টিও এর মধ্যে রয়েছে। এখন ইসরায়েলকে এ রায়ে কীভাবে সাড়া দেবে, সে ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আইসিজের আদেশ মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে; কিন্তু সেটি কার্যকর করার কোনো ক্ষমতা আদালতের নেই।
তবে নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েলিদের যুক্তিসংগত প্রত্যাশার যেমন বাস্তবায়ন প্রয়োজন, তেমনি ফিলিস্তিনিদেরও আইনসম্মত প্রত্যাশা পূরণ জরুরি। সে জন্য জাতিসংঘের বিধান, আন্তর্জাতিক আইন ও পূর্ববর্তী চুক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সম্পূর্ণ স্বাধীন, কার্যকর ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বাস্তবায়ন করতে হবে। ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসানও এ ক্ষেত্রে জরুরি। সম্প্রতি ইসরায়েলি সরকার দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। বারবার যেভাবে তারা এটি অগ্রাহ্য করছে, তা অগ্রহণযোগ্য। আজ এই টেবিলের চারপাশে যারা বসে আছেন, তারাসহ ইসরায়েলের বন্ধুরাও এ আবেদন করেছেন। তা সত্ত্বেও ইসরায়েল এমন আচরণ করছে। এই প্রত্যাখ্যান এবং ফিলিস্তিনি মানুষের রাষ্ট্রের অধিকারের অস্বীকৃতি চলমান সংঘাতকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দীর্ঘায়িত করবে, যা বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকির কারণ। এতে মেরুকরণ আরও বাড়বে এবং সর্বত্র উগ্রবাদীরা উৎসাহিত হবে।
ফিলিস্তিনি মানুষের স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার অধিকার সবাইকে অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান গ্রহণে যে কারও অস্বীকৃতি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। এখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা স্পষ্ট। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, যাতে কার্যকর শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়। দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বহুবার কলঙ্কিত ও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এবং অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। অথচ এটিই ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, সর্বোপরি এ অঞ্চলে টেকসই ও ন্যায়সংগত শান্তি অর্জনের একমাত্র উপায়। তা গত তিন মাসের ঘটনাগুলো দুঃখজনকভাবে আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে। অথচ ভয়, ঘৃণা ও সহিংসতার অন্তহীন চক্র থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় এই দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে