বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
বিদেশি ভাষা ব্যবহারে জাতীয় ভাষানীতি অবলম্বন করতে হবে
অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃরাষ্ট্রিক ঘাত-প্রতিঘাত ও সংশ্লেষণের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র গতিশীল থাকে। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে উপজাতি, ধর্মীয় সম্প্রদায়, বিশেষ আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য-সম্পন্ন জনগোষ্ঠী, ভাষাগত পার্থক্য ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে আলাদা আলাদা জনগোষ্ঠী দেখা দেয়। রাষ্ট্রের জনপ্রকৃতিতে বিরাজ করে বৈচিত্র্য। বৈচিত্র্যর স্বীকৃতি দিয়ে, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয়- এই নীতি অবলম্বন করে সরকারকে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ জনপ্রকৃতির বৈচিত্র্যগত সমস্যার সমাধান করতে হয়। সংস্কৃতির বহুত্ববাদের (Pluralism in culture) কথা বলে জাতির ভেতরে অনৈক্য সৃষ্টি করলে জাতি টেকে না। তাতে রাষ্ট্রের অস্তিত্বের শর্তও নষ্ট হয়।
সংবিধান নিয়ে কাউকে ছেলেখেলা করতে দেয়া যাবে না
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয় তার পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
ঐকমত্য তৈরি না হলে সংস্কার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার একটি কঠিন সময়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। তবে তাদের প্রতি একনিষ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে ছাত্র-জনতা ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। এই সরকারের কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশার মাত্রা অনেক উচ্চ ছিল, যা পূরণ করা স্বভাবতই অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসনে কিছুটা অদক্ষতা ও দুর্বলতা দেখা গেলেও, মূলত আগের সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাগুলোকে পঙ্গু করে রেখে যাওয়ার প্রবণতার কারণেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি সক্ষম হতে পারেনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এই সংগঠন শিগগিরই একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। দল গঠনের এই উদ্যোগকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি একটি ছাত্র আন্দোলন মনে হলেও, বাস্তবে এর রাজনৈতিক অভিসন্ধি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
অমর একুশে বইমেলা: বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বই নিয়ে এবার কী হবে?
বাঙালির প্রাণের মেলা ও প্রাণের উৎসব বললে যে দুটি আয়োজনের কথা আমাদের চোখে ভাসে, তার একটি অমর একুশে বইমেলা- যেটি প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে চলে বাংলা একাডেমি এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। অন্যটি পয়লা বৈশাখ। পয়লা বৈশাখের কিছু আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে মতভিন্নতা থাকলেও বইমেলার প্রশ্নে কোনো বিভক্তি নেই। কেননা এই আয়োজন ও উৎসবের সঙ্গে কোনো ধর্ম বা রাজনীতির গন্ধ নেই। বইমেলার ভেতরে মাঝে-মধ্যে কিছু রাজনৈতিক গন্ধ ছড়ানো হলেও বা যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তাদের কিছু প্রভাব থাকলেও সামগ্রিকভাবে বইমেলাকে দল-মত-ধর্ম ও বয়স নির্বিশেষে সব মানুষের প্রাণের মেলা বলে স্বীকার করে নিতে কারো দ্বিধা নেই। এমনকি একুশের চেতনায় গড়ে ওঠা এই আয়োজনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব বললেও ভুল হবে না।
বই প্রকাশ নিয়ে পুলিশের মন্তব্য অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ
পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশের পুলিশ এরকম মন্তব্য করেছে কি না, জানি না! বাংলাদেশের পুলিশ সেই বিস্ময়কর মন্তব্য করলেন, বই প্রকাশের আগেই পাণ্ডুলিপি যাচাই করুক বাংলা একাডেমি। গতকাল শুক্রবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবারের বইমেলার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন। তার মন্তব্য শুনে দেশের কবি-সাহিত্যিকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখছেন, তার এই মন্তব্য কি দুঃখজনক, না কি হাস্যকর বুঝতে পারছি না। অনেকে লিখছেন, তাহলে কি আওয়ামী লীগ আমলের পুলিশই এখনো রয়ে গেল!
বাণিজ্যিক সিনেমা অক্সিজেনের অভাবে ভুগছে আর ভিন্ন ধারার সিনেমা দর্শক খরায় ধুঁকছে
পেশাগত প্রয়োজনে একবার চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বলছিলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন ধরনের সিনেমা নির্মাণ হবে। কোনো ছবি হলে দর্শক টানবে, লোকে লাইন ধরে দেখবে। আবার কোনো সিনেমা বিদেশের মাটিতে প্রতিনিধিত্ব করবে, পুরস্কার জিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে। শুনে ভেতর থেকে একটি দ্বিধার বিদায় ঘটে। ভিন্ন ঘরানার ছবির ঝুলিতে রাশি রাশি পুরস্কার জুটলেও হলে সারি সারি দর্শক জোটে না।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনিশ্চয়তা দূর করুন
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যতগুলো মেগা প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে তার প্রায় সবই এখন গলার কাঁটা হয়ে গেছে। কিছু প্রকল্প চালু হয়ে যাওয়ার পরও আশানুরূপ লাভের মুখ দেখছে না। যেমন, কর্ণফুলী টানেল। আর অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে তা সরকার বলতে পারছে না। এর মধ্যে একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র।
দাগি অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করার সাহস পায় কী করে?
গণঅভ্যুত্থানের পর আশা করা হয়েছিল সমাজে অপরাধ কমবে; কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অপরাধ তো কমেইনি বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেড়েছে। দাগি অপরাধী হিসেবে যারা চিহ্নিত, তারা কেবল প্রকাশ্যে ঘুরছে না, তারা খুনাখুনিতেও জড়াচ্ছে। তাদের নামে অসংখ্য মামলা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের কিছু বলছে না এবং অনেক আসামি জেলখানা থেকে ছাড়া পেয়ে নতুন নতুন অপরাধে জড়াচ্ছে।
বাংলাদেশের অভিবাসী বিষয়ে ট্রাম্পের নীতিনির্ধারণী কী হবে?
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি খড়গহস্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ২০ জানুয়ারি অভিষিক্ত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘এই মুহূর্তে আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হলো’ বলে ভাষণ শুরু করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা সব দেশের ঈর্ষার কারণ হব। কাউকে আমাদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা আদায়ের সুযোগ দেব না। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান নীতিই হবে “আগে আমেরিকা”। আমাদের সার্বভৌমত্ব আর নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। বিচারের দাড়িপাল্লায় পুনঃভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। আমেরিকা আগের চেয়ে বহুগুণ মহান ও ব্যতিক্রম হবে। আমরা এক নতুন যুগে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে আছি। আমেরিকার পতন আজ থেকে শেষ হয়ে গেল। ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আমেরিকাকে আবার মহান করার জন্য।’