বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফরেন পলিসি নিয়ে কাজ করার জন্য আসেনি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফরেন পলিসি নিয়ে কাজ করার জন্য আসেনি
সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যাচ্ছে, অনেক যুদ্ধেও এত মানুষ মারা যায় না
সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যাচ্ছে, অনেক যুদ্ধেও এত মানুষ মারা যায় না
উগ্র মতবাদ নয়, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক হোক ন্যায্যতার ভিত্তিতে
উগ্র মতবাদ নয়, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক হোক ন্যায্যতার ভিত্তিতে
অজ্ঞতাই সমস্যার সূতিকাগার
বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল নির্বাচন অজ্ঞতাই সমস্যার সূতিকাগার
বেসরকারি শিক্ষকদের দৈন্যদশা দূর করুন
বাংলাদেশে শিক্ষকদের বেতন এমনিতেই কম। সেখানে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের অবস্থা তথৈবচ। মাসিক বেতন দিয়ে শিক্ষকরা কোনোরকমে দিন এনে দিন খান। বেতনের টাকায় পোষাতে পারেন না বলে অনেকে প্রাইভেট পড়ান, ছোটখাটো ব্যবসা করেন। গ্রামাঞ্চলে অনেক শিক্ষক কৃষিকাজও করেন। বাংলাদেশের শিক্ষকদের এই অবস্থা মোটামুটি আবহমান কাল ধরেই। এর মধ্যে দেশ অনেক উন্নত হয়েছে; কিন্তু শিক্ষকদের অবস্থার উন্নতি হয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের পথ তৈরি করতে পারে, বাস্তবায়ন করুক নির্বাচিত সরকার
নিয়মিত সরকারের কর্মকাণ্ড মূল্যায়নের জন্য ১০০ দিন খুব বেশি সময় নয়। আর এই বিশেষ ধরনের সরকারের ক্ষেত্রে আমাদের আরও নমনীয় হতে হবে। তবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ১০০ দিনে এই সরকার কী কী দায়িত্ব পালন করতে পারতেন এবং কী কী দায়িত্ব পালন করেছেন তার একটি পর্যালোচনা হতে পারে। বর্তমান সরকারের ভূমিকাকে আরও কার্যকর করার জন্যই এ ধরনের পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। নিয়মিত সরকারের চেয়ে এই সরকারের আবার অনেক কিছু করার সুযোগ বেশি। কারণ এই সরকারের কোনো রাজনৈতিক পিছুটান নেই। তারা চাইলে জনস্বার্থে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবেন। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন হবার কারণে তাদের কাছে প্রত্যাশা বেশি। তাদের ভোটের চিন্তা নেই। যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষা তাদের হিসাবের মধ্যে থাকে তাহলেই তারা অনেক অর্থবহ কাজ করতে পারবেন।
বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি অপসারণে কয়েকটি প্রশ্ন
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামল নিয়ে সমালোচনা করার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলা হচ্ছে, যা কাম্য নয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল অনেকে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু পরস্পর সম্পর্কিত, আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৫ বছরের শাসনামল নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুকে সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকে মুক্তিযুদ্ধকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছেন, যা দেশের জন্য অপ্রত্যাশিত।
ব্যাংকিং খাতে বিপর্যয় ঠেকানোর জন্য আইনি সংস্কার জরুরি
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে ব্যাংকিং সেক্টরের দুরবস্থা তুলে ধরেছে। সংস্থাটি বলেছে, গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে। ফলে এই সেক্টর বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পতিত হয়েছে। দেশে ব্যবসায়রত ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে অন্তত ২৯টি নানা কারণেই স্বাভাবিক গতিতে চলছে না। এর মধ্যে অন্তত ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হবার পর্যায়ে রয়েছে। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের স্থল ব্যাংকিং সেক্টরকে লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সংঘটিত ২৪টি বড় ধরনের দুর্নীতির ঘটনায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে একটি চিহ্নিত মহল। ব্যাংকিং সেক্টর থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে লুটে নেয়া এই অর্থের পরিমাণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১২ শতাংশ।
নভেম্বর ১৯৭৫: ধোঁয়াশাপূর্ণ অধ্যায়ের ইতিবৃত্ত ও খালেদ মোশাররফের প্রচেষ্টা
১৯৭৫ সালের নভেম্বরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে ২০২৪ সালের পালাবদলের একটি মিল রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর ৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো সরকার ছিল না। ২০২৪ সালেও শেখ হাসিনার পতনের পরও কয়েক দিন সরকারশূন্য ছিল। যে যেভাবেই ব্যাখ্যা করুক না কেন ১৯৭৫ সালের নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক আবছা, রক্তাক্ত অধ্যায়। ইতিহাসের এই ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি আর দোষারোপের শেষ নেই। প্রায় ৫০ বছর পর রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতো করে দিনটিকে পালন বা উদযাপন করে আসছে। কেউ করে অসমাপ্ত বিপ্লবের আক্ষেপ, কারও কাছে দিনটি বিপ্লব ও সংহতির আবার কারও কাছে দিনটি মুক্তিযোদ্ধা হত্যার শোকাবহ দিন। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় পর্যায় ও রাজনৈতিক পরিসরে দিনটি ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে পালিত হয়েছে। এ সময় গণমাধ্যম ও রাষ্ট্রযন্ত্রে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের শক্তিশালী বয়ান প্রতিষ্ঠিত ছিল। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় ২০২৪ সালে ভিন্ন আঙ্গিকে দিনটি পালিত বা উদযাপিত হবে। সামনে আসবে নতুন আলোচনা নতুন তথ্য, নতুন সমীকরণ, নতুন ব্যাখ্যা। সেই আলোচনায় যাওয়ার আগে আসুন একটু নির্মোহভাবে জানার চেষ্টা করি ঠিক কী ঘটেছিল ওই কয়েকদিন।
শেখ হাসিনার ‘পদত্যাগ’ কোনো ম্যাটার করে না
বীর মুক্তিযোদ্ধা জেড আই খান পান্না। প্রবীণ আইনজীবী। আইনি সহায়তা সংস্থা ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্রের’ চেয়ারম্যান। বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ও গণঅভ্যুত্থানে তার বলিষ্ঠ অবস্থান উল্লেখ করার মতো। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানেও ছাত্রদের হয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম, আইন, সংবিধান ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বিষয়ে ‘ভিউজ বাংলাদেশ’-এর মুখোমুখি হয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গিরীশ গৈরিক ও হাসান শাহাদাত তৌহিদ।