বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার
সংবিধান নিয়ে কাউকে ছেলেখেলা করতে দেয়া যাবে না
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয় তার পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কেন কমিশন গঠন করা হয়নি!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার সাধনের জন্য কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। কমিটিগুলো ইতোমধ্যেই তাদের সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। অতীতে বেশ কয়েকটি কমিশন শিক্ষা খাতের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন দাখিল করলেও কোনো সরকারই সেই শিক্ষা কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করেনি। ফলে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা যুগের চাহিদা পূরণে সক্ষম হচ্ছে না। আমরা উচ্চ শিক্ষিত জনশক্তি গড়ে তুলছি; কিন্তু তারা কতটা সুশিক্ষিত এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব না হলে কোনো দিনই জাতি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যে জনশক্তি গড়ে তুলছে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে মোটেও সক্ষম নয়।
সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যাচ্ছে, অনেক যুদ্ধেও এত মানুষ মারা যায় না
সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যাচ্ছে, অনেক যুদ্ধেও এত মানুষ মারা যায় না
দুর্বল ব্যাংককে টাকা ধার দিয়ে কি গ্রাহকের আস্থা ফেরত আনা সম্ভব?
দুর্বল ব্যাংককে টাকা ধার দিয়ে কি গ্রাহকের আস্থা ফেরত আনা সম্ভব?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের পথ তৈরি করতে পারে, বাস্তবায়ন করুক নির্বাচিত সরকার
নিয়মিত সরকারের কর্মকাণ্ড মূল্যায়নের জন্য ১০০ দিন খুব বেশি সময় নয়। আর এই বিশেষ ধরনের সরকারের ক্ষেত্রে আমাদের আরও নমনীয় হতে হবে। তবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ১০০ দিনে এই সরকার কী কী দায়িত্ব পালন করতে পারতেন এবং কী কী দায়িত্ব পালন করেছেন তার একটি পর্যালোচনা হতে পারে। বর্তমান সরকারের ভূমিকাকে আরও কার্যকর করার জন্যই এ ধরনের পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। নিয়মিত সরকারের চেয়ে এই সরকারের আবার অনেক কিছু করার সুযোগ বেশি। কারণ এই সরকারের কোনো রাজনৈতিক পিছুটান নেই। তারা চাইলে জনস্বার্থে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবেন। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন হবার কারণে তাদের কাছে প্রত্যাশা বেশি। তাদের ভোটের চিন্তা নেই। যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষা তাদের হিসাবের মধ্যে থাকে তাহলেই তারা অনেক অর্থবহ কাজ করতে পারবেন।
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন কী বার্তা দিল?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ কেসস্টাডি- যারা একই সঙ্গে সরকারে ও বিরোধী দলে থেকে ‘সরকারবিরোধী দল’ নামে একটি নতুন ধারণার জন্ম দিয়েছিল। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে ক্ষমতার ভাগীদার হিসেবে তারা নানাবিধ সুবিধা নিয়েছে। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফে তাদের ‘স্বৈরাচারের দোসর’ বলেও আখ্যা দেয়া হয়েছে। ঘটনার পরম্পরায় গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরদিন শুক্রবার (পয়লা নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না : ওয়াকার-উজ-জামান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে দেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ হতে হবে।
সরকারের ১০০ কোটি টাকার অনুদান পেল শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের সহায়তার জন্য গঠিত জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে।
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স প্রয়োজন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্তহীন কাজ, আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব আদায় বাড়ানো, বাজারে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা, ঘুষ-দুর্নীতির লাগামহীন রাশ টেনে ধরা, খেলাপি ঋণ হ্রাস করা, ব্যাংকিং জগতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে বিষয়টি মানুষকে বেশি আহত করেছে তা হলো দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার। এই কলামে শুধু অর্থ পাচার এবং তা ফেরত আনা নিয়ে কথা বলব। বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন, আর গভর্নর আহসান এইচ মনসুর একজন সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ। দেশের ব্যাংকিং সেক্টর ও সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে তারা দুজনই বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে গেছেন, তাই অর্থনীতির শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার প্রয়োগে যথাসময়ে যথাবিহীত ব্যবস্থা গৃহীত হবে- এই প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।
আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ আজ। বৈঠকে বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন দলকে ডাকা হলেও সদ্য পদত্যাগকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে ডাকা হয়নি বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।