বাংলাদেশ ক্রীড়া সাংবাদিক সমিতি
বিসিবিতে দ্বন্দ্ব: ক্রিকেটের এ কোন রূপ!
ড. ভূপেন হাজারিকা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের নানা ঘটনাচক্রে হয়তো লজ্জায় মুখ লুকাতেন! প্রয়াত এ শিল্পীর লেখা ‘এই পৃথিবী এক ক্রীড়াঙ্গন’ গানের ‘ক্রীড়া হলো শান্তির প্রাঙ্গণ’ কথাটা যে ১ লাখ ৪৯ হাজার ২১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ ভূখণ্ডে একদমই খাটছে না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) স্বীকৃতি অর্ধশতাধিক ক্রীড়া ফেডারেশনের কোথাও বিখ্যাত ভারতীয় শিল্পীর গানের ওই কথাটা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশনে তা স্পষ্ট হয়েছে আগেই। এবার সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক ঘটনাচক্র।
ক্রীড়া সাংবাদিক থেকে গণমাধ্যমের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আসীন হওয়া কঠিন কেন?
কোনো এক আলাপচারিতায় ২০০৭ সালে শফিক রেহমানকে বলতে শুনেছি, ‘তোমাদের অনেকেরই হয়তো জানা নেই; আমি কিন্তু একসময় ক্রীড়া সাংবাদিক ছিলাম।’ যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদকের ক্রীড়া সাংবাদিকতার অধ্যায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা হয়নি। এটুকু জানা যায়, বাংলাদেশে ক্রীড়া সাংবাদিকতা থেকে গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার উদাহরণ খুব বেশি নেই। দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন একসময় তুখোড় ক্রীড়া সাংবাদিক ছিলেন। মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমানের ক্রীড়া সাংবাদিকতার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কেও বিভিন্ন সময় জানা গেছে। ক্রীড়া সাংবাদিকতার সিঁড়ি বেয়ে সম্পাদক হওয়ার এমন নজির বর্তমান সময়ে আদৌ আর কি না- সে তথ্যও জানা নেই। বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিকতা দিবস উপলক্ষে জানার চেষ্টা করা হয়েছে- সাবএডিটর কিংবা বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক রিপোর্টারদের তুলনায় ক্রীড়া সাংবাদিকতা থেকে গণমাধ্যমের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আসীন হওয়ার হার কেন কম?