ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
ভারতের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ
ভারতের জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
রোজায় ভারতীয় ভিসার আবেদন গ্রহণ বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত
ভারতীয় হাই কমিশন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে জানায়, রমজান মাসে আগামী ১২ মার্চ থেকে শুধু যমুনা ফিউচার পার্কের ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভিসার আবেদন গ্রহণ করবে।
ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশিদের জন্য ‘অন-অ্যারাইভাল’ ভিসা চালু এখন সময়ের দাবি
বিভিন্ন রাজনীতিক, কূটনীতিক, ব্যবসায়িক নেতা ও নীতিনির্ধারকদের মতে, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান উচ্চ-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্থান এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চ্যালেঞ্জের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশি নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার বিষয়টি ভারতের বিবেচনা করা উচিত।
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহ দেখিয়েছে ইইউ
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক কালে এ আগ্রহের কথা জানান ইউরোপীয় কমিশনাররা।
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শুরু হয়েছে মূলত ১৯৭১ সালে, যখন পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের উপর গণহত্যা শুরু করে, ঠিক সেই সময় থেকে। বাংলাদেশে গণহত্যা শুরুর খবর যখন কলকাতায় পৌঁছাল তখন রেডিওতে দেশাত্মবোধক গান হচ্ছিল। সেই সময় কলকাতা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম গণহত্যার খবর প্রচার করে। বাংলাদেশে সংঘটিত এই গণহত্যার সংবাদ প্রচারের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন যাত্রা শুরু হয়। এমনিতে তো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে হাজার বছরের সম্পর্ক রয়েছে সেটা ভিন্ন কথা; কিন্তু নব পর্যায়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সৃষ্টি হয় তার সূচনা ১৯৭১ সালে।
শূন্য-সমষ্টি নয়, পারস্পরিক লাভজনক দৃষ্টিভঙ্গি হবে মূল
জানুয়ারির ৭ তারিখ বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের দৌড় অনেক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট পক্ষের জন্য রাজনৈতিকভাবে স্নায়ুবিনাশী ছিল। এর কারণ পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিল, দেশের জাতীয় নির্বাচন দৃশ্যত বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক রাজনীতির জন্য একটি জীবন-মরণ বাজির প্রতিযোগিতা হয়ে উঠেছে। হয়তো বাজিটি এত চড়া নয়, তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একটি প্রতিযোগিতার ব্যাপার যে আছে, সেটা বাস্তব এবং তা বেশ কিছু সময় ধরে চলছে। প্রতিযোগিতার বিষয়টিকে চীনের বিআরআই মোকাবিলায় ভারতের বাফার রাষ্ট্র-সংক্রান্ত অগ্রাধিকার; চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি রাশিয়াকে বিশ্বব্যাপী বিচ্ছিন্ন করায় যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো যে প্রেক্ষাপট থেকেই দেখা হোক না কেন, মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে রাশিয়ার অবকাঠামোগত স্বার্থ রয়েছে এবং সম্প্রতি তারা বাংলাদেশের পক্ষে প্রকাশ্য রাজনৈতিক সমর্থনকারী হয়ে উঠেছে। অনেকের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা বা উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে কর্তৃত্ববাদ, একচ্ছত্র শাসন এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমনের অভিযোগ। এসবের ভেতর দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছেন।