ব্যাংকিং খাত
খেলাপি ঋণ সৃষ্টির জন্য ঋণগ্রহীতা নাকি ব্যাংকার বেশি দায়ী?
খেলাপি ঋণ সৃষ্টির জন্য ঋণগ্রহীতা নাকি ব্যাংকার বেশি দায়ী?
জরুরি ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুরু করা প্রয়োজন
ছাত্রদের আন্দোলনের পর এক বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রায় তিন মাস অতিক্রম করতে চলেছে। এই সরকারের প্রতি জনপ্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি। তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে সৃষ্ট ক্ষত দূরীকরণের মাধ্যমে দেশকে টেকসই উন্নয়নের পথে ধাবিত করবে, এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা; কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ক্রমেই ফিকে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কিছু কমিশন গঠন করা হলেও সেই কমিশনের কার্যক্রম এবং অগ্রগতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ খুব একটা জানতে পারছে না। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী চিন্তা করছে এবং সেই চিন্তার প্রতিফলন আমরা আগামীতে কতটা প্রত্যক্ষ করতে পারব, তা নিয়ে সাধারণভাবে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এমডি বদল, নীতি বদল কবে?
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর জারিকৃত এক সার্কুলারের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬টি ব্যাংকের (সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা বেসিক ও বিডিবিএল) ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারের (এমডি ও সিইও) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের ইতিহাসে এর আগে আর কখনোই একযোগে এতজন এমডির নিয়োগ বাতিল করা হয়নি। একযোগে এতজন এমডির নিয়োগ বাতিলের বিষয়টি ব্যাংকিং খাতে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ব্যাংকিং খাত সংস্কারের এখনই সময়
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশ এখন নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণরায়ের ভিত্তিতে গঠিত একটি নতুন সরকারের কাছে দায়িত্ব অর্পণ করা।
ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই
অর্থনীতিবিদ হিসেবে সব সময়ই আমি শুধু তত্ত্ব চর্চায় আটকে না থেকে গুণমুখী উন্নয়ন চিন্তাগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে যুক্ত থাকতে সচেষ্ট হয়েছি। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকেই সব সময় আমার গবেষণার কেন্দ্রে রেখেছি। গণমানুষের কল্যাণে অর্থনীতি চর্চাকে প্রাসঙ্গিক করার সুযোগ সবার জীবনে আসে না। তবুও সব সময়ই আগ্রহ ছিল নীতিনির্ধারণের সুযোগ পেলে এই গবেষণার অভিজ্ঞতাগুলো বাস্তবে কাজে লাগাব। ১৯৯০-এর দশকের একেবারে শেষদিকে একবার সুযোগ এসেছিল জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়। প্রায় দুবছর সময় পেয়েছিলাম ‘জনতা ব্যাংক জনতার ব্যাংক’ স্লোগানের আলোকে ‘ঘরে ঘরে জনতা ব্যাংক’ এবং কৃষক ও খুদে উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক লেনদেনের সুযোগকে অবারিত করার। পাশাপাশি ব্যাংক সেবাকে আরও গণমানুষের কাছাকাছি নেওয়ার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থা চালু করে তরুণদের যুক্ত করতে সচেষ্ট হই। সে সময় ওই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীসহ সব ব্যাংকারই যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন অংশগ্রহণমূলক ও মানবিক ব্যাংকিং চালু করতে তা এক কথায় ছিল অনন্য। তাই ব্যাংকটি সব সূচকেই বাংলাদেশের এক নম্বর ব্যাংকে পরিণত হতে পেরেছিল।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না : আইএসপিআর
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের গুজবে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
আর্থিক শক্তির নির্দেশক ব্যক্তির পার্চেজিং পাওয়ার
ব্যক্তিগত জাগতিক সুখার্জনে কনজ্যুমার্স পার্চেজিং পাওয়ার বা ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার কোনো বিকল্প নেই। যদিও বলা হয়, অর্থই সকল অনর্থের মূল অথবা টাকা-পয়সা হাতের ময়লা। এতসব বিরূপ মন্তব্যের পরও আমরা কোনোভাবেই ব্যক্তির জীবনে অর্থের আবশ্যকতা উপেক্ষা করতে পারি না। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বাস্তবতা হচ্ছে এটাই যে, অর্থ ছাড়া আমাদের একমুহূর্তও চলে না। যে কোনো কাজের জন্যই অর্থের প্রয়োজন হয়। বিনিময়ের মাধ্যম হচ্ছে টাকা, যা ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার ভিত রচনা এবং শান্তির পথ রচনা করে। তিন ধরনের শক্তি মানুষের জীবনকে আবর্তন করে রাখে। এগুলো হচ্ছে শারীরিক শক্তি, মানসিক শক্তি এবং আর্থিক ক্ষমতা বা শক্তি। এই তিনটি শক্তি কারও জীবনে একত্রিত হলে তিনি সবচেয়ে বেশি সুখি মানুষ হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন।
ব্যাংকিং খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি হ্রাস কিসের লক্ষণ?
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং সেক্টরে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। আমানতের ওপর প্রদেয় সুদের হার বাড়ানো সত্ত্বেও উদ্বৃত্ত অর্থের মালিকরা এখন আর আগের মতো ব্যাংকে আমানত সংরক্ষণ করছেন না। গত মার্চ মাসে ব্যাংকিং সেক্টরে আমানতের প্রবৃদ্ধি সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। এই সময় আমানতের প্রবৃদ্ধ হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এটা গত ৫ মাসের মধ্যে আমানত প্রবৃদ্ধির সর্বনিম্ন অবস্থা। আমানতের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাবার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ব্যাংকে রক্ষিত তাদের আমানতকৃত অর্থ তুলে নিচ্ছে। গত মার্চ মাসে আমানতকারীরা সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছে।