সুশীল সমাজ
রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে
বাংলাদেশে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন যা মূলত রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার পেছনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনীহা, কায়েমি স্বার্থবাদীদের প্রভাব এবং সামাজিক চাহিদার দুর্বলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে নীতি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তবে তা কাঠামোগত ও কার্যকর রূপ লাভ করতে পারেনি। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত প্রকৃতি সংস্কার বাস্তবায়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামোতেই গণতন্ত্রের অভাব থাকায় তারা জাতীয় পর্যায়েও গণতন্ত্র ও সুশাসনের সংস্কার বাস্তবায়নে আগ্রহী নয়। দলীয় নেতাদের একচ্ছত্র আধিপত্য, উত্তরাধিকারভিত্তিক নেতৃত্ব এবং দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনিয়মিত প্রক্রিয়া রাজনৈতিক সংস্কারের পথে বড় অন্তরায়।
তথ্য নির্ভুলতায় বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও পরিপ্রেক্ষিত
তথ্য যাচাই আর নীতি নির্ধারণে আইবিএম প্রোগ্রামার জর্জ ফুয়েশেলের কথাটা প্রণিধানযোগ্য- ‘গার্বেজ ইন, গার্বেজ আউট’। মানে যত আবর্জনা বা ভুল তথ্য অন্তর্জ্বালে ভরা হবে, তত ভুল তথ্যই সমাজে ছড়ানো হবে। তথ্য বিশ্লেষণে আর নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মিথ্যা ও অবিশ্বস্ত তথ্য বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্তের দিকে নিয়ে যায়। এতে যে খারাপ নীতিগুলো প্রবর্তিত হয়, তার প্রতিক্রিয়া হতে পারে মারাত্মক। সঠিক তথ্য প্রকাশ করার ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলো কঠিন সিস্টেম তৈরি করেছে; কিন্তু বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই এখানে তথ্য প্রকাশ করে দেয়ার প্রবণতা আছে। তথ্য সংগ্রহের একেবারে শুরু থেকেই এটা চলছে। ফলে এই গরমিল জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণেও প্রভাব ফেলেছে। এই অসংগতির প্রভাব পড়েছে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থেকে শিক্ষাগত নীতি পর্যন্ত।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না : আইএসপিআর
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের গুজবে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং সর্বস্তরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে ‘৭১ এর পরাজিত শক্তি ঘাতক-দালালদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।