Dhaka University
পালাটানা ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণের দিনগুলো
বিলোনিয়ার প্রথম যুদ্ধের পর ২১ জুন, ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী প্রচণ্ড গোলাগুলি, সন্ত্রাস, অবিশ্বাস্য রকমের ধ্বংসযজ্ঞ ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিলোনিয়ার ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত এসে অবস্থান গ্রহণ করে। তার আগেই অবশ্য সমগ্র এলাকার জনগণ জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচানোর স্বাভাবিক তাগিদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে, বিশেষত বিলোনিয়া শহরে এসে আশ্রয় নেয়। বিলোনিয়া শহর তখন পূর্ব বাংলার মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ জনগণ দ্বারা প্লাবিত। ভারতীয় জনগণ হাসিমুখে তাদের বরণ করে নেন এবং আশ্রয় দেন। পালাটানা ট্রেনিং ক্যাম্পে যোগদানের উদ্দেশ্যে আমি আগেই বিলোনিয়া এসে পৌঁছেছিলাম। পথে আমার সঙ্গে যোগ দেয় বন্ধু ওয়ালী। বিলোনিয়ায় পরিচয় হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহাঙ্গীর ও আনসারের সঙ্গে।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক কি ভুল সময়ে মারা গেলেন?
জীবনের সোনালি সময় কেটেছে যে ক্যাম্পাসে, মৃত্যুর পরে সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য হলো না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের। শুক্রবার জুমা নামাজের পরে রাজধানীর ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়েছে আজিমপুর কবরস্থানে।
৫ আগস্টের পর থেকে রাজনৈতিকভাবে নারীদের দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন অভ্যুত্থানের আগে ছিল কোটাবিরোধী আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরা সব নারী শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে আসতাম। প্রথম দিকে এলেও, ছেলেদের হলে যেহেতু ছাত্রলীগের প্রেসার থাকত, পরে আস্তে আস্তে তাদের সংখ্যা কমে যায়। মেয়েদের হলে যেহেতু প্রেসারটা সেভাবে ছিল না, দেখা যেত মেয়েরা বড় মিছিল নিয়ে আসতে পারত। এখানে বদরুন্নেছা কলেজ, পাশে ইডেন কলেজ আছে, ঢাকা নার্সিং কলেজ আছে, সব জায়গা থেকেই মেয়েরা বিরাট মিছিল নিয়ে আসত। এই যে মেয়েদের স্বতঃস্ফূর্ত বড় একটা অংশগ্রহণ, এটা আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। আমরা ভেবেছিলাম মেয়েদের বিশাল অংশগ্রহণ থাকলে ছাত্রলীগ মারার সাহস পাবে না।
ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক তৈয়েবুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক তৈয়েবুর রহমান।
তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।
সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আলাদা হলো সাত কলেজ: কিসের দাবিতে এই সংঘাত
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে মুক্ত হচ্ছে ঢাকার এই সাত সরকারি কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ।
ঢাবির সোমবারের সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোমবারের সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ঢাবি, ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাওকে কেন্দ্র করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়েছেন বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷ এতে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
অতিমাত্রায় বিদেশি ঋণ জাতির আর্থিক স্বাধীনতা বিপন্ন করে
গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। সেই অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মার্কিন অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কেন হচ্ছে না, সে সম্পর্কে তার গুরুত্বপূর্ণ মতামত উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষকরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো মার্কিন অধ্যাপকের বক্তব্য শ্রবণ করছিলেন। এমন সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এক তরুণ শিক্ষক দাঁড়িয়ে মার্কিন অর্থনীতিবিদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আমাদের অর্থনীতির ওপর নানাভাবে হস্তক্ষেপ করছেন বলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নয়ন অর্জন করতে পারছি না। মার্কিন অর্থনীতিবিদ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর তরুণ অধ্যাপকের উদ্দেশে বলেন, যে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ৮০ শতাংশ অর্থ আমরা জোগান দিই, সেই অর্থনীতি কি আপনাদের নাকি আমাদের? আপনার যদি নিজস্ব উৎস থেকে উন্নয়ন কাজের অর্থায়ন করতে পারতেন তাহলে আমাদের পরামর্শ দেবার কোনো প্রয়োজন হতো না। তার এই বক্তব্য শুনে বাংলাদেশি তরুণ অধ্যাপক আর কোনো কথা না বলে বসে পড়েন।
‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’ গ্রাফিতি ঘিরে কেন এত অরাজকতা?
মাঝে মাঝে মনে হয় দেশটি যেন মগের মল্লুক হয়ে গেছে। কখন যে কে কেন কী করে কিছুই বুঝে আসে না। যেন যা খুশি তাই করার দেশ। যে পাতায় লেখা হয়েছে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যর বাণী, সে পাতা নিয়েই হট্টগোল, মারামারিতে ৩৩ জন আহত। এ রকম ঘটনা সম্ভবত বাংলাদেশেই সম্ভব। কারণ এ জাতি আজ কাণ্ডজ্ঞান হারিয়েছে, যৌক্তিক বুদ্ধি বিচার হারিয়েছে। বিশেষ করে কিছু বিশেষ মহল সারাক্ষণই ঘোলা পানিতে রাঘব বোয়াল শিকারের পাঁয়তারা করে। এ ছাড়া এ ঘটনাকে আর কোনোভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় না।