ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরে মঙ্গলে যাবেন ইলন মাস্ক
দ্বিতীয়বারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বিশ্বমিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন ইলন মাস্ক। অনেক মিডিয়া এমনো খবর প্রকাশ করছে যে, জিতল কি আসলে ট্রাম্প না কি ইলন মাস্ক? আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে যারা খবর রাখেন তারা জানেন ট্রাম্পের নামে এবারের মার্কিন নির্বাচনে বড় বাজি ধরেছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণায় তিনি ব্যয় করেছিলেন ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। শুধু অর্থ দিয়েই খ্যান্ত হননি, নিজেও নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। ট্রাম্প তাকে আখ্যা দিয়েছিলেন রিপাবলিকান দলের সবচেয়ে বড় তারকা। অনেকে তাই বলছেন এবারের মার্কিন নির্বাচনে আসলে ট্রাম্প জিতেননি, জিতেছেন ইলন মাস্কই এবং ট্রাম্পের হাত ধরে হোয়াইট হাউস বস্তুত চালাবেন ইলন মাস্ক।
ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকতে পারেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করবেন বলে জানা যায়। প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, অর্থনীতি, অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখভালের জন্য ট্রাম্পের পছন্দের সম্ভাব্য তালিকায় কোন কোন ব্যক্তি স্থান পেতে পারেন, তার একটা ধারণা দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আপডেট ২০২৪
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ ভোটার। সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এ নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।তাদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আভাস দিয়েছে বিভিন্ন জনমত জরিপ। ভোটের আগে সবশেষ জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছেন হ্যারিস। তবে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ হিসেবে বিবেচিত রাজ্যগুলোতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যবধান সামান্য। নির্বাচনের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিউজ বাংলাদেশের সঙ্গেই থাকুন।
যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলেন কমলা হ্যারিস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেন হারলেন কমলা হ্যারিস? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় ভোটের লড়াইয়ে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ভাষণ থেকেই। তিনি বলেছেন,‘আই অ্যাম নট গোয়িং টু স্টার্ট ওয়ার, আই অ্যাম গোয়িং টু স্টপ দ্য ওয়ারস। ’ এর অর্থ ডোনাল্ড ট্রাম্প আর কোনো যুদ্ধ চান না, বরং চলমান যুদ্ধগুলো থামাতে চান। নানা সমালোচনা, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্পের প্রথম বাক্যটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রবাসীকে নয় বরং বিশ্ববাসীকেই দারুণ আশান্বিত করেছে। আর এটাও যুক্তিসঙ্গতভাবেই বলা যায়, গত চার বছর ধরে জো বাইডেনের যুদ্ধ বিস্তৃতির নীতিতে অতিষ্ঠ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। তাই তারা ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর প্রতি আর আস্থা রাখতে চাননি। আর এ কারণেই কপাল পুড়েছে কমলা হ্যারিসের। জয়ের মুকুট চলে গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথায়। বাইডেনের ভুল নীতির কারণেই পপুলার ভোট, সিনেট আর কংগ্রেস- প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুস্পষ্ট বিজয় পেয়েছেন রিপাবলিকানরা।
মার্কিন নির্বাচনে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী যে কারণে পরাজিত হতে পারেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে আগামী ৫ নভেম্বরে ভোট দেবেন সে দেশের নাগরিকরা। আর সেই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী কিন্তু বিজয়ী নাও হতে পারেন। মার্কিন গণতন্ত্রের আলাদা কিছু দিক রয়েছে, আর সেগুলো নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের গণতন্ত্রকে অনুকরণীয় হিসেবে দেখিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, স্বাধীনতা অর্জনের পরে কিংবা স্বৈরশাসককে সরিয়ে দেয়ার পর গণতন্ত্র পুনর্গঠনে কোনো দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র উদাহরণ হতে পারে। আজকের ডেমোক্র্যাটরা যেখানে বহুজাতিগত গণতন্ত্রের ধারণাকে গ্রহণ করছেন, সেখানে রিপাবলিকানরা পুরোনো শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যকে পুনরুজ্জীবিত করে দেশকে আবার মহান করতে চাচ্ছেন। ফলে বহু জাতির গণতন্ত্রের ধারণা এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের ধারণা এখন সাংঘর্ষিক মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছে।
ইরানের তেল স্থাপনায় হামলা হলে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে
২৬ অক্টোবর, ২০২৪; প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার উড়ে গিয়ে ইসরায়েলের শতাধিক বিমান তিন দফায় ইরানের রাজধানী তেহরান ও পশ্চিমাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এই হামলা পহেলা অক্টোবরে ইরানি হামলার প্রতিশোধ। হামলার প্রথম দফায় সিরিয়া, ইরাক ও ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়। পরবর্তী দুটি দফায় বিনা প্রতিরোধে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় আক্রমণ চালানো হয়। এই হামলায় ইসরায়েল শুধু ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং দ্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানাকে টার্গেট করেছে, আমেরিকার নিষেধ থাকায় ইরানের পারমাণবিক ও অর্থনৈতিক স্থাপনায় আক্রমণ করেনি। ইসরায়েল তাদের এই হামলার নাম দিয়েছে ‘অনুতাপের দিন’
ট্রাম্প-কমলার ভোটের লড়াই ও বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি ট্রাম্প জিতে যায়, তাহলে কী হবে? নিশ্চিতভাবে ট্রাম্প তার পুরোনো নীতিতে ফিরে যাবেন। আসলে নিজের প্রথম মেয়াদের ৪ বছরে ট্রাম্প যুদ্ধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং স্থিতিশীলতা এবং আস্থার সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার নতুন কূটনীতি গ্রহণ করেছিলেন। ট্রাম্পের নীতি তার পূর্বসূরি রিপাবলিকানদের থেকেও পৃথক ছিল। এ কারণে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের অনেকেই ট্রাম্পকে ‘রিপাবিলিক্যান প্রেসিডেন্ট’ না বলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অতএব, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বাইডেন নীতির বিপরীতেই অবস্থান নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
বিশ্ব তাকিয়ে আছে ৫ নভেম্বরের দিকে
আর মাত্র কয়েকদিন বাকি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের। এ নিয়ে টানটান উত্তেজনা চলছে দেশটিতে। সব মিডিয়া বলছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জমে উঠেছে। এ মুহূর্তে দুই প্রার্থী এবং দলীয় প্রচারকারীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সুইং স্টেট, অর্থাৎ যে রাজ্যগুলো যে কোনো দিকে ঝুকতে পারে সেই রাজ্যগুলোতে। আরেকটু খুলে বললে, ২০১৬ সালে যে রাজ্যগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী করেছিল, অথচ ২০২০ সালে এসে বাইডেনকে জয়ী করেছে সেই স্টেটগুলোতে অধিক মনোযোগী হয়েছেন দুই প্রার্থী।
বিজয়মাল্য কে পরতে যাচ্ছেন ট্রাম্প নাকি কমলা
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নির্বাচনি প্রচারে নেমে প্রথম সমাবেশেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। নভেম্বরের নির্বাচনকে তিনি প্রাক্তন প্রসিকিউটর এবং দোষীসাব্যস্ত অপরাধীর মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার লড়াই হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের দৌড় থেকে নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে তার রানিংমেট কমলা হ্যারিসের নাম প্রস্তাব করেছিলেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে। তারপর এটাই ছিল হ্যারিসের প্রথম প্রচার সমাবেশ। যদিও বিশ্বজুড়ে এক কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছে গণতন্ত্র। চরম এক অস্থিরতায় ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষ। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কেবল দেশটির নাগরিকদের কাছেই নয়, বিশ্বের অন্য দেশগুলোর কাছেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সঙ্গে কমলা হ্যারিসের নতুন সমীকরণ
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর ঘটনা বলছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তোলার সময় এসেছে। ট্রাম্পের সমাবেশে যে ব্যক্তি গুলি চালিয়েছেন, তার রাজনৈতিক বিশ্বাসই বা কী, এটা এখনো পরিষ্কার নয়। সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, ট্রাম্প নিরাপদ; কিন্তু তার সমাবেশে আসা অন্তত একজন এবং সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়েছেন; কিন্তু এ ঘটনা নিশ্চিত করেই ইঙ্গিত দিচ্ছে, নির্বাচনি বছরে অঘটনের মাত্রা বাড়বে। বিশেষ করে, যখন নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা অব্যাহত হুমকি ও সহিংসতার ভয় পাচ্ছেন। গত জুনের শেষ দিকে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে বেরিয়ে এসেছে, ট্রাম্পের পক্ষে সহিংসতায় সমর্থনের চেয়ে তার বিরুদ্ধে সহিংসতায় সমর্থন বেড়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানদের মধ্যে ১০ শতাংশ বা ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ট্রাম্পের বিপক্ষে সহিংসতায় সমর্থন জানিয়েছেন।