ড মুহাম্মদ ইউনূস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এই সংগঠন শিগগিরই একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। দল গঠনের এই উদ্যোগকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি একটি ছাত্র আন্দোলন মনে হলেও, বাস্তবে এর রাজনৈতিক অভিসন্ধি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের অভিবাসী বিষয়ে ট্রাম্পের নীতিনির্ধারণী কী হবে?
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি খড়গহস্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ২০ জানুয়ারি অভিষিক্ত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘এই মুহূর্তে আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হলো’ বলে ভাষণ শুরু করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা সব দেশের ঈর্ষার কারণ হব। কাউকে আমাদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা আদায়ের সুযোগ দেব না। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান নীতিই হবে “আগে আমেরিকা”। আমাদের সার্বভৌমত্ব আর নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। বিচারের দাড়িপাল্লায় পুনঃভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। আমেরিকা আগের চেয়ে বহুগুণ মহান ও ব্যতিক্রম হবে। আমরা এক নতুন যুগে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে আছি। আমেরিকার পতন আজ থেকে শেষ হয়ে গেল। ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আমেরিকাকে আবার মহান করার জন্য।’

পুলিশ যেন জনবান্ধব হয়
গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পুলিশ সংস্কার কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাবগুলো জমা দিয়েছে। বলপ্রয়োগ, আটক, গ্রেপ্তার, তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ, মানবাধিকার, প্রভাবমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক বাহিনী গঠন, থানায় জিডি রেকর্ড, মামলা রুজু, তদন্ত ও ভেরিফিকেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। বিশেষ করে বেআইনি সমাবেশ ও শোভাযাত্রা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের শক্তি প্রয়োগের সীমা নির্ধারণ, পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার ও আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা চেয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বাহিনী সংস্কারের জন্য ২২টি আইনের সংশোধন ও পরিমার্জন চেয়েছে কমিশন।
উগ্র মতবাদ নয়, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক হোক ন্যায্যতার ভিত্তিতে
উগ্র মতবাদ নয়, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক হোক ন্যায্যতার ভিত্তিতে
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করে কানাডা
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ছাত্রচালিত বিপ্লবকে কীভাবে দেখছে কানাডা সরকার এবং নাগরিকরা?
ট্রাম্প-কমলার ভোটের লড়াই ও বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি ট্রাম্প জিতে যায়, তাহলে কী হবে? নিশ্চিতভাবে ট্রাম্প তার পুরোনো নীতিতে ফিরে যাবেন। আসলে নিজের প্রথম মেয়াদের ৪ বছরে ট্রাম্প যুদ্ধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং স্থিতিশীলতা এবং আস্থার সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার নতুন কূটনীতি গ্রহণ করেছিলেন। ট্রাম্পের নীতি তার পূর্বসূরি রিপাবলিকানদের থেকেও পৃথক ছিল। এ কারণে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের অনেকেই ট্রাম্পকে ‘রিপাবিলিক্যান প্রেসিডেন্ট’ না বলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অতএব, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বাইডেন নীতির বিপরীতেই অবস্থান নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না : ওয়াকার-উজ-জামান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে দেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ হতে হবে।
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স প্রয়োজন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্তহীন কাজ, আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব আদায় বাড়ানো, বাজারে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা, ঘুষ-দুর্নীতির লাগামহীন রাশ টেনে ধরা, খেলাপি ঋণ হ্রাস করা, ব্যাংকিং জগতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে বিষয়টি মানুষকে বেশি আহত করেছে তা হলো দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার। এই কলামে শুধু অর্থ পাচার এবং তা ফেরত আনা নিয়ে কথা বলব। বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন, আর গভর্নর আহসান এইচ মনসুর একজন সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ। দেশের ব্যাংকিং সেক্টর ও সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে তারা দুজনই বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে গেছেন, তাই অর্থনীতির শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার প্রয়োগে যথাসময়ে যথাবিহীত ব্যবস্থা গৃহীত হবে- এই প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।
ভারত সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দরকার। কিন্তু সেই সম্পর্ক হবে ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে।’
সীমান্ত হত্যার বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে ড. ইউনূসের নিন্দা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত-রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশীদের হত্যার নিন্দা জানিয়ে এটিকে নিষ্ঠুরতা আখ্যায়িত করেছেন। হত্যা কোনো সমাধান নয় উল্লেখ করে তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।