বন্যা
ইয়েমেনে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ৯৭, বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ
ক্ষুধা, দারিদ্রতা এবং গৃহযুদ্ধের মধ্যে কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেন। এমনিতেই বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।
বন্যা-পরবর্তীতে কৃষি পুনর্বাসন হোক প্রধান অগ্রাধিকার
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, মধ্য ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো। আকস্মিক এই বন্যায় এরই মধ্যে ভেসেছে ১১টি জেলা। তার আশপাশের জেলাগুলোতেও রয়েছে বন্যার প্রভাব। তাতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫৭ লাখ মানুষ। পানিবন্দি হয়েছে প্রায় ১০ লাখ। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৩ জন। দুর্বিসহ ক্ষুধা আর রোগ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন আরও অসংখ্য মানুষ। যারা পেরেছে, তারা অপেক্ষাকৃত উঁচুস্থানে, হাটে, স্কুলে, বাঁধে, বড় সড়কে কিংবা রেল স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছে। যারা পারেনি, তাদের চোখের পানি বন্যার পানির সঙ্গে মিশে হয়েছে একাকার। তাদের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। পুকুর পরিণত হয়েছে অথৈ শায়রে। মাছ, হাঁস-মুরগি, গৃহপালিত পশু ভেসে গেছে সবই। তাদের খাদ্যের অভাব, সুপেয় পানির অভাব, ওষুধের অভাব, কাপড়ের অভাব বন্যাকবলিত এলাকায় তারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। কেউ কেউ আকাশের পানে তাকিয়ে তাদের সৃষ্টি ও পালনকর্তাকে ডাকছে।
বাংলাদেশে বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে: ইউনিসেফ
বাংলাদেশে চলমান ভয়াবহ বন্যায় ২০ লাখেরও বেশি শিশু গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।
বন্যায় চট্টগ্রামে মৎস্যখাতে ২৯০ কোটি টাকার ক্ষতি
বন্যায় চট্টগ্রামে মৎস্যখাতে প্রায় ২৯০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ।
ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ার বিষয়ে যা বলল ভারত
ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়া সম্পর্কে ভারত সরকার বলেছে, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করার জন্য ভুয়া ভিডিও, গুজব এবং ভীতি ছড়ানোর খবর দেখেছে তারা, যা সত্য দিয়ে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করা উচিত।
নদী-সংক্রান্ত আইন ভারতও মানে না, বাংলাদেশও মানে না
বন্যা বেশি হয়েছে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে। ১০-১২টা জেলায়। একটানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। এর কারণ হলো, মৌসুমি বায়ু যেটা দক্ষিণ থেকে উত্তরের দিকে যায়, সেই বায়ুটা যে গতিতে চলে যায়, এটা বাধা পায় অনেক সময়। বাধা পেলে স্থানীয়ভাবে ঘনীভূত হতে থাকে। তখন বাতাসের ভেতরে থাকা জল ঝরতে থাকে। ফলে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হয়। যদি সরে যায়, তাহলে আর বৃষ্টি হয় না। আমরা দেখেছি যে বৃষ্টিপাতটা ত্রিপুরাকে কেন্দ্র করে হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত ক্রমেই ত্রিপুরা থেকে মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার থেকে সিলেট হয়ে চলে যেত; কিন্তু তা না হয়ে এখানে হয়েছে।
কুমিল্লায় গোমতীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে, বাঁধ ভাঙনের আতঙ্কে এলাকাবাসী
কুমিল্লা জেলায় গোমতী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে রবিবার (২৫ আগষ্ট) বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে লোকালয়ে প্রবেশ করছে নদীর পানি। এদিকে নদীর তীব্র স্রোতে কখন বাঁধ ভেঙে যায়, সেই আতঙ্কে দিন পার করছেন আরও ৪টি এলাকার মানুষেরা।
বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে সর্বাত্মকভাবে দাঁড়াতে হবে
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ এবং নদীবিধৌত সমতল বদ্বীপ অঞ্চল। বন্যা বাংলাদেশের জন্য অনেকটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীগুলো হারিয়েছে নাব্য, খালবিলে সবখানেই পানির ঠাঁই নেই। সবখানে দখলদারদের বাণিজ্যিক থাবা। অন্য দিকে হাওর-বাঁওড়ের পানির উৎস ভারতের আসাম ও মেঘালয়। সেখানে আষাঢ়ের মৌসুমে বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি ঢল নামে। আমাদের হাওর-বাঁওড় অধ্যুষিত সিলেট, চট্টগ্রাম ও নেত্রকোনার হাওররক্ষা বাঁধ নিয়ে বহুকালের রাজনীতি আছে। এখানে বাঁধ নির্মাণে গাফিলতি নতুন নয়। এবারে সেই গাফিলতি চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। প্রথমে একবার বন্যায় বোরোর আবাদ তলিয়ে গেছে বানের পানিতে, কৃষক নিঃস্ব হয়েছে। সব শেষ হলে সবাই ঘরে ফিরে গেছে। তখনো বাঁধ নিয়ে আর ভাবেনি কেউ। এই দূরদর্শিতার সংকটে এবারে ঢলের পানিতে ভাসছে জনপদ, ভাসছে মানুষ। খাবার সংকট, পানির সংকট, ওষুধের সংকট- অথচ পানি থই থই চারদিকে।
খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধ, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
টানা বৃষ্টিপাতের ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে হ্রদ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
নোয়াখালীতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি
নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।